পাবিপ্রবিতে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০ । ১৭:১৭ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০ । ১৭:২১

পাবনা অফিস

শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি- সমকাল

বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে এক গ্রুপ ফুল ছিড়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

পাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, সকালে শদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য স্বাধীনতা চত্বরে উপস্থিত হই। ভিসি স্যার না থাকায় প্রশাসনের অবহেলায় পুরো অনুষ্ঠানই ছিল বিশৃঙ্খল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শিক্ষক সমতির ব্যানারে অনুসারীদের নিয়ে ফুল দিতে আসেন সমিতির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. ফজলুল হক।

এ সময় সাধারণ শিক্ষকরা পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ড. ফজলুল হক কাউকেই ফুল দিতে না দিয়ে নিজেই পুষ্পস্তবক ছিড়ে তা পদদলিত করে পিষে ফেলেন। শহীদদের প্রতি এমন অমর্যাদা সহ্য করতে না পেরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

পুষ্পস্তবক ছিড়ে ফেলা হয়- সমকাল

ড. ফজলুল হক বলেন, পাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আওয়াল কবির জয়ের নেতৃত্বে একদল শিক্ষক অহেতুক ঝামেলা লাগিয়ে ফুল ছিড়ে ফেলে।

সূত্র জানায়, পাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরে আবার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের সাধারণ সভা না ডেকেই পূর্ববর্তী শিক্ষক সমিতি কার্যক্রম চালাতে থাকে। সাধারণ শিক্ষকরা এতে প্রতিবাদ করেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে গেলেও সাধারণ শিক্ষকরা আপত্তি জানান। সেদিন উপাচার্য উপস্থিত থাকায় শিক্ষকদের দুই গ্রুপ মুখোমুখি হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু বুধবার বিজয় দিবসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী অনুপস্থিত থাকায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ওমর ফারুক ও সম্পাদক ড. ফজলুল হক ফুল দিতে গেলে সাধারণ শিক্ষকরা এতে বাধা দেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীরা পাবিপ্রবি ক্যম্পাসে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধান ফটকেই তাদের আটকে দেন।

পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে হাতাহাতি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে পুষ্পস্তবক ছেড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com