সাক্ষাৎকার: ড. ছিদ্দিকুর রহমান

টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলুক

০৮ জানুয়ারি ২১ । ০০:০০ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২১ । ০১:৪৭

সাক্ষাৎকার গ্রহণ :মাহফুজুর রহমান মানিক

ড. ছিদ্দিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হিসেবে ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি একই ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউনিসেফসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৯ সালে দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ও ১৯৮২ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট অর্জনকারী ছিদ্দিকুর রহমান কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন

সমকাল: করোনা দুর্যোগের প্রভাব শিক্ষা খাত কতটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে আপনি মনে করেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: গত বছরের মার্চ মাসে দেশে যখন প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে একধরনের আতঙ্ক ছিল। আমরা দেখেছি, একে একে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর ধীরে ধীরে সব খুললেও এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু হয়নি। এখন বলা চলে সবই প্রায় স্বাভাবিক। হাট-বাজার, কল-কারখানা, অফিস-আদালত, পরিবহন- কোনো কিছুই বন্ধ নেই। দীর্ঘ সময় শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকার ফলে আমাদের শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।

সমকাল: করোনার এ সময়ে অনলাইনসহ নানাভাবে দূরবর্তী শিখন কার্যক্রম আপনি দেখেছেন নিশ্চয়ই। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইন কিংবা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে দূরবর্তী শিখন কার্যক্রমের বিকল্প ছিল না, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশই কেবল এর মাধ্যমে শেখার সুযোগ পেয়েছে। অধিকাংশই সে সুযোগ পায়নি। তার ওপর শিশুদের জন্য সশরীরে শিক্ষাঙ্গনে উপস্থিত থেকে শেখা আর অনলাইনে শেখা এই দুইয়ের মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে।

সমকাল: শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত কীভাবে দেখছেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ওঠার জন্য অটোপাসের সিদ্ধান্ত যথোচিত বলে আমি মনে করি না। অটোপাসের ফলে লার্নিং গ্যাপ কিন্তু রয়েই গেছে। যেমন: ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি 'টেন্স' বা 'কাল' পড়ানো হয়। এখন সে যদি তা না পড়েই সপ্তম শ্রেণিতে ওঠে, তখন ওই শিক্ষার্থী 'ন্যারেশন' করবে কীভাবে। টেন্স না বুঝলে তো কেউ ন্যারেশন করতে পারবে না। এগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা সংযুক্ত। এ রকম প্রতিটি বিষয়ই- যে শ্রেণিতে যা রয়েছে, তা শেষ না করলে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থী হয় না বুঝে মুখস্থ করবে, না হয় ঝরেও পড়তে পারে।

সমকাল: অটোপাসের বিকল্প কী হতে পারত?

ছিদ্দিকুর রহমান: সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে কয়েক মাসের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যেত। প্রয়োজনে শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে তা সম্পন্ন করা যেত। তাতে তিন বছরের মধ্যে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হতো।

সমকাল: তাহলে এখন করণীয় কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যখন পরবর্তী শ্রেণিতে ক্লাস করবে, শিক্ষকরা সংশ্নিষ্ট বিষয়ে পাঠ দেওয়ার আগে যাচাই করে দেখবেন শিক্ষার্থীর আগের জ্ঞান আছে কিনা। না থাকলে আগের শ্রেণির জ্ঞান দিয়ে পরবর্তী পাঠ কার্যক্রমে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রেণি কার্যক্রমের সময় বাড়ানো যেতে পারে। ছুটি কমিয়ে কিংবা অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

সমকাল: শিক্ষার্থীদের যে 'অ্যাসাইনমেন্ট' দেওয়া হয়েছে, তার সুফল কতটা দেখছেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: অ্যাসাইনমেন্টের ধারণা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, অ্যাসাইনমেন্ট হলো শিক্ষার্থী যা শিখেছে তার চর্চা। শিখন স্থায়ী করার জন্য এটি জরুরি। কিন্তু কেউ কিছু না শিখেই সে বিষয়ে কীভাবে অ্যাসাইনমেন্ট করবে? শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হলেও তাতে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অনেকে বই দেখে হুবহু তার কপি করেছে। তাহলে তা শেখার ক্ষেত্রে কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে?

সমকাল: রোল নাম্বারের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিতে আইডি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: আগে পরীক্ষা হতো, তার ফল অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মেধার আলোকে রোল নম্বর নির্ধারণ করা হতো। এ বছর পরীক্ষা হয়নি বলে স্বাভাবিকভাবেই রোল নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই। রোলের পরিবর্তে দৈবচয়ন বা বর্ণক্রমে আইডি নম্বর দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত।

সমকাল: আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি ছিল। এ বছর নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারি চালু হয়। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: করোনা এক বিশেষ পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি ভালো সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে। একই সঙ্গে প্রথম শ্রেণির জন্যও লটারি পদ্ধতি ঠিক আছে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় সব শ্রেণির জন্য এটি যথার্থ নয়। যেমন ধরা যাক ভিকারুননিসা নূন স্কুল। নামিদামি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের আলাদা মান রয়েছে। এখানে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করলে শিক্ষার্থীর মেধার পার্থক্য উনিশ-বিশ হতে পারে। কিন্তু লটারির মাধ্যমে ভর্তি নিলে পার্থক্য পাঁচ-বিশ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে শিক্ষকের পক্ষে কঠিন হবে।

সমকাল: তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানে ফারাক সৃষ্টি হবে না?

ছিদ্দিকুর রহমান: আমি সমমেধার শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কথা বলছি। বিদেশে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী কম থাকায় শিক্ষক সবার প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন। আমাদের শ্রেণিকক্ষে বেশি শিক্ষার্থী থাকে বলে শিক্ষকের পক্ষে এটি সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে সমমেধার শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকলে শিক্ষকের বোঝানো যেমন সহজ হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের জন্যও সহজ হবে। না হয় কেউ বুঝবে, কেউ বুঝবে না, তাতে ঝামেলার সৃষ্টি হবে। স্কুলের মানের বিষয়টি হলো- যেসব প্রতিষ্ঠান আজ ভালো করছে, তারা একদিনে উঠে আসেনি। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলেছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রশাসন মিলে যদি সেভাবে চেষ্টা করে, তবে তারাও ভালো করতে পারে। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নার্সিং করলে যে কেউ ভালো করতে পারে।

সমকাল: উচ্চ মাধ্যমিকে অটোপাস দেওয়ার পরও ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার কী কারণ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: অবস্থার আলোকে পরীক্ষা না হয়ে জেএসসি ও এসএসসির ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। আমি আগেও বলেছি এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যাহোক, করোনার কারণে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ডিসেম্বরে তার ফল প্রকাশের কথা বলা হয়। দৃশ্যত ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার কথা না থাকলেও কিছু জটিলতা তো আছেই। জেএসসি ও এসএসসির ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নির্ধারণ করাটা সহজ নয় এ কারণে যে, উভয় পরীক্ষায় বিষয় এক নয়। আবার অনেকে বিভাগ পরিবর্তন করেছে। কেউ মাদ্রাসা থেকে এসেছে। ফলে এসব মিলিয়ে ফল নির্ধারণে যেমন ঝামেলা রয়েছে, তেমনি আমার ধারণা ফল প্রকাশের পরও অনেকে সংক্ষুব্ধ হতে পারে।

সমকাল: উচ্চশিক্ষার ভর্তিতে অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছে। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা ভর্তি নিচ্ছে কেন?

ছিদ্দিকুর রহমান: আমি সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে। সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীর ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। আমরা দেখে আসছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে কতটা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে শিক্ষার্থীকে ছুটতে হয়। তার জন্য অর্থ ও শ্রম ব্যয় হয়। করোনার এ সময়ে সবাই একসঙ্গে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হতো।

সমকাল: উচ্চশিক্ষায় বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে, অথচ হল খুলছে না। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে, এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু আবাসিক হল না খোলার বিষয়টি অমানবিক। এখানে করোনার দোহাই দেওয়া হাস্যকর। তাদের যদি পরীক্ষা দিতে ঢাকা কিংবা সংশ্নিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতেই হয়, তাকে হলের বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে, সেখান থেকে ক্যাম্পাসে এসে পরীক্ষা দেওয়ার মাঝে বরং করোনার ঝুঁকি বেশি। অথচ হল খুলে দিলে সেখানে প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারত।

সমকাল: শিক্ষায় পরিবর্তনের কথা আমরা জেনেছি। নতুন কারিকুলাম হচ্ছে। নবম শ্রেণিতে বিভাগের বিভাজন থাকছে না। আপনি এটি কীভাবে দেখছেন।

ছিদ্দিকুর রহমান: পরিবর্তনের কথা বলতে গেলে অনেক বিষয় আসবে। সংক্ষেপে এটা বলা দরকার যে, আমি সবসময়ই পরিবর্তনের পক্ষে। সময়ের আলোকে পরিবর্তন হতে পারে। ২০১২ সালে আমরা শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছিলাম। গত ৮-৯ বছরে তার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কেন হয়নি এবং কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল, তা যাচাই-বাছাই না করেই শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তা কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে, সেটি বড় প্রশ্ন। নতুন শিক্ষাক্রমে ইন্টার ডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচসহ এমন অভিধার কথা বলা হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমাদের ক'জন শিক্ষকই-বা জানেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কতটা পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। আমি চাই পরিবর্তন যেন বাস্তবমুখী ও দেশের চাহিদা অনুযায়ী হয়। যাতে শিক্ষার্থীর কল্যাণ হয় এবং শিক্ষকরা সেজন্য যোগ্য হন।

সমকাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য করণীয় কী?

ছিদ্দিকুর রহমান: আমরা দেখেছি অনেক দেশই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্নিষ্টদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগেই সব শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। টিকা সবাইকে বিনামূল্যে দিতে হবে, আমি তা মনে করি না। সামর্থ্য অনুযায়ী কাউকে বিনামূল্যে, কাউকে অর্ধেক দামে এবং সামর্থ্যবানদের কাছ থেকে পুরো মূল্য নিয়ে টিকা দেওয়া যেতে পারে।

সমকাল: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ঝরে পড়ার চ্যালেঞ্জ কতটা রয়েছে?

ছিদ্দিকুর রহমান: অনেকেই আশঙ্কা করছেন করোনা-পরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ঝরে পড়া ব্যাপক হারে দেখা যাবে। আমিও মনে করি, অনেকেই ঝরে পড়বে। কিন্তু কথা হলো, কতটা তথ্য আমাদের রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যদি যথাযথ তথ্য থাকে- তার কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে, প্রতিষ্ঠান খোলার পর কতজন আসেনি, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়ে এক মাসের মধ্যে যারা আসেনি, তাদের অবস্থা জেনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এজন্য তথ্যভিত্তিক প্রস্তুতি প্রথমেই থাকা চাই।

সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ছিদ্দিকুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভ কামনা।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com