
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাল বাড়ছে দুই বছর
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২১ । ০০:০০ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২১ । ০২:১৮ | প্রিন্ট সংস্করণ
আবু হেনা মুহিব

অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদ বাড়ছে আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের। আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষে খুলে দেওয়া হবে। আরও এক বছরে অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে। অর্থাৎ ডিফেক্ট লায়াবেলিটি পিরিয়ড বা নির্মাণ শেষে কোনো ত্রুটি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়বদ্ধতার জন্য অতিরিক্ত এক বছর সময় বাড়াতে সম্মত হয়েছে আইএমইডি। নতুন মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও নতুন করে ব্যয় বাড়ছে না।
আইএমইডি সূত্র জানিয়েছে, মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে যায় আইএমইডির একটি প্রতিনিধি দল। এ বিভাগের সদস্য সরকারের সচিব প্রদীপ রঞ্জন কর্মকার পরিদর্শন দলের নেতৃত্ব দেন। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইএমইডি। প্রতিবেদনে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে বলা হয়, অতিমারি করোনার কারণে এক বছর ধরে প্রকল্পের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিদেশি পরামর্শক এবং চায়নিজ ঠিকাদারের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এখনও প্রকল্প এলাকায় কাজে ফিরতে পারেনি। প্রকল্পে ১৮টি দেশের চার হাজার বিদেশি কাজ করেন। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করা স্থানীয় কর্মীরাও করোনা-ভীতির কারণে ঠিকমতো কাজে আসেননি। গত মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী এবং দফায় দফায় বন্যায় নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক উচ্চতায় উঠে। তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া অংশে নির্মাণ ইয়ার্ড ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙনে ১২৫টি রেলওয়ে স্লাব ও ১৯২টি রেলওয়ে স্ট্রিংগার তলিয়ে যায়। ফলে সংগত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন।
একনেকে এবার অনুমোদন পেলে তৃতীয় দফা সময় বাড়বে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক বৃহৎ প্রকল্পটির। দ্বিতীয় দফা সংশোধনীর পর এ বছর জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এবার তৃতীয় দফায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
জানতে চাইলে আইএমইডির সচিব সমকালকে বলেন, সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক বড় প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শনে প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তারা। মূলত করোনার বাস্তবতায় প্রকল্পকাজের গতি ব্যাহত হয়েছে। এখানে কারও কিছু করার ছিল না। এ বাস্তবতা মেনে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছেন তারা।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্যাকেজের মধ্যে মাওয়া সংযোগ সড়ক, জাজিরা সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ ৯২ শতাংশ শেষ হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। নদীশাসন ৭৯ শতাংশ। দুই হাজার ৯৩৭টি প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে। এর অতিরিক্ত ৭১২ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পদ্মায় বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) কমিয়ে দুই হাজার ৯৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে এক হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা ওই বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ। সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী, দুই হাজার ৬৯৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করার কথা। এর মধ্যে মাদারীপুর জেলায় এক হাজার ৪৮ হেক্টরের দখল এখনও বুঝে নেওয়া হয়নি; শরীয়তপুরে ৩০ হেক্টর ও মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ১০ হেক্টর।
এর আগে আইএমইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে এখন আর কোনো কারিগরি সমস্যা নেই। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকবল কাজে লাগিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ চলমান রাখতে হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যথাসম্ভব কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বর্ষায় নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে কাজ বিঘ্নিত হতে পারে।
আইএমইডি সূত্র জানিয়েছে, মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে যায় আইএমইডির একটি প্রতিনিধি দল। এ বিভাগের সদস্য সরকারের সচিব প্রদীপ রঞ্জন কর্মকার পরিদর্শন দলের নেতৃত্ব দেন। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইএমইডি। প্রতিবেদনে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে বলা হয়, অতিমারি করোনার কারণে এক বছর ধরে প্রকল্পের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিদেশি পরামর্শক এবং চায়নিজ ঠিকাদারের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এখনও প্রকল্প এলাকায় কাজে ফিরতে পারেনি। প্রকল্পে ১৮টি দেশের চার হাজার বিদেশি কাজ করেন। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করা স্থানীয় কর্মীরাও করোনা-ভীতির কারণে ঠিকমতো কাজে আসেননি। গত মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী এবং দফায় দফায় বন্যায় নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক উচ্চতায় উঠে। তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া অংশে নির্মাণ ইয়ার্ড ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙনে ১২৫টি রেলওয়ে স্লাব ও ১৯২টি রেলওয়ে স্ট্রিংগার তলিয়ে যায়। ফলে সংগত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন।
একনেকে এবার অনুমোদন পেলে তৃতীয় দফা সময় বাড়বে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক বৃহৎ প্রকল্পটির। দ্বিতীয় দফা সংশোধনীর পর এ বছর জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এবার তৃতীয় দফায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
জানতে চাইলে আইএমইডির সচিব সমকালকে বলেন, সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক বড় প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শনে প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তারা। মূলত করোনার বাস্তবতায় প্রকল্পকাজের গতি ব্যাহত হয়েছে। এখানে কারও কিছু করার ছিল না। এ বাস্তবতা মেনে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছেন তারা।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্যাকেজের মধ্যে মাওয়া সংযোগ সড়ক, জাজিরা সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ ৯২ শতাংশ শেষ হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। নদীশাসন ৭৯ শতাংশ। দুই হাজার ৯৩৭টি প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে। এর অতিরিক্ত ৭১২ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পদ্মায় বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) কমিয়ে দুই হাজার ৯৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে এক হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা ওই বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ। সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী, দুই হাজার ৬৯৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করার কথা। এর মধ্যে মাদারীপুর জেলায় এক হাজার ৪৮ হেক্টরের দখল এখনও বুঝে নেওয়া হয়নি; শরীয়তপুরে ৩০ হেক্টর ও মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ১০ হেক্টর।
এর আগে আইএমইডির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে এখন আর কোনো কারিগরি সমস্যা নেই। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক লোকবল কাজে লাগিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ চলমান রাখতে হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যথাসম্ভব কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বর্ষায় নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে কাজ বিঘ্নিত হতে পারে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com