টুখেলের ইতিহাস

প্রকাশ: ০৭ মে ২১ । ১১:০৫

অনলাইন ডেস্ক

টমাস টুখেল

পিএসজিকে গত মৌসুমে চাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলার পরও বরখাস্ত হয়েছিলেন টমাস টুখেল। তাই বলে জার্মান এই কোচ দমে যাননি। চেলসিতে যোগ দিয়ে তাদেরও ফাইনালের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন। গত বুধবার রিয়াল মাদ্রিদকে ২-০-তে হারিয়ে একটি রেকর্ডও করেছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতিহাসে টুখেল হলেন প্রথম ম্যানেজার যিনি কিনা দুটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে টানা দুই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলেন।

নেইমার-এমবাপ্পেদের পিএসজিকে ফাইনালে নেওয়াটা ভালোই চ্যালেঞ্জিং ছিল টুখেলের কাছে। তার পরও করোনার কারণে গত মৌসুমে সিঙ্গেল লেগ পদ্ধতিকে নকআউট পর্বটি হয়েছিল বলে তুলনামূলক চাপ কম ছিল। তবে এবার চেলসিকে ফাইনালে নেওয়াটা বেশ বড় একটা চমক।

২৬ জানুয়ারি চেলসির দায়িত্ব নেন টুখেল। তখন ল্যাম্পার্ডের অধীনে পথ হারিয়ে রীতিমতো গভীর সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে চেলসি। কোনো রকমে মুখ বাঁচিয়ে মৌসুমটা শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচে তারা। সে দলকে দায়িত্ব নেওয়ার ৯৯ দিনের মাথায় ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলেন টুখেল। অথচ তাকে তাড়িয়ে দেওয়া পিএসজি বাদ পড়েছে সেমি থেকে।

কোন জাদুমন্ত্র বলে প্রায় ডুবতে বসা চেলসিকে নিয়ে এই অসাধ্য সাধন করলেন টুখেল! নিশ্চয়ই তাকে অনেক কিছু ঠিকঠাক করতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্ন করা হলে হাসিমুখে টুখেলের জবাব, 'অতটা করতে হয়নি। কারণ একই ক্লাবকে নিয়ে তো দুইবার ফাইনালে উঠিনি। ব্যাপারটা আপনি কীভাবে দেখছেন তার ওপর নির্ভর করছে।'

তবে চেলসিকে ফাইনালে তুলতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি, 'আমরা এটা অর্জন করতে পেরেছি বলে খুশি আমি। ফুটবলে জীবন যাপন করার সুযোগ পেয়ে, প্যাশনটাকে পেশা হিসেবে পাওয়ায় আমি ভীষণ খুশি।'

তবে গত বছরের মতো এবারও যদি শিরোপা অধরা থেকে যায় তাহলে কিন্তু আক্ষেপে পুড়তে হবে তাকে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com