
বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ
মাঠে 'নন্দিতা সুরক্ষা'
প্রকাশ: ২৮ মে ২১ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হাসানউজ্জামান, ফরিদপুর

মাসিক নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে 'নন্দিতা সুরক্ষা' ফরিদপুর টিমের এক কর্মী সমকাল
সমাজে মা হওয়াকে আনন্দ ও গর্বের বিষয় হিসেবে উদযাপন করা হলেও মাসিক বা পিরিয়ড এখনও যেন ট্যাবু। এই ট্যাবু ভাঙতে ২০১৮ সাল থেকে মাসিককালীন পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'নন্দিতা সুরক্ষা'। বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস নিয়েও পালন করছে বিভিন্ন কমর্সূচি।
দেশের অধিকাংশ মানুষই মাসিক সম্পর্কে অসচেতন। পুরুষরা মাসিককে মেয়েলি লজ্জার বিষয় মনে করে আসছেন প্রাচীনকাল থেকে। তাই মাসিকসংক্রান্ত রোগব্যাধি ও জটিলতায় ভুগলেও সেসবের চিকিৎসা বা পরিচর্যার বিষয়টি উপেক্ষা করেন কিংবা গোপনেই করে থাকেন এ দেশের নারী-কিশোরীরা। কারণ মাসিক নিয়ে খোলামেলা জিজ্ঞাসা করতে গেলে উল্টো অপদস্থ হতে হয় তাদের। অথচ মাসিককালীন সংকট ও সমস্যা লুকিয়ে রেখে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী এ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভোগেন। যা অনেক সময় শারীরিক পর্যায় থেকে মানসিক সংকটও তৈরি করে।
এই অচলাবস্থা দূর করতে ফরিদপুরের অগ্রসর চেতনার কয়েকজন কলেজপড়ূয়া তরুণী 'নন্দিতা সুরক্ষা' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। ৩-৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা প্রতি সপ্তাহের এক দন চলে যেতেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে। প্রথমদিকে বেশ সামাজিক বাধার মুখে পড়লেও প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতামূলক ভূমিকার কারণে এই স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের মাধ্যমে নিরাপদ ও অনিরাপদ স্পর্শ, মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং আত্মরক্ষার প্রাথমিক কলাকৌশল সম্পর্কে কন্যাশিশু ও কিশোরীদের সচেতন করে তোলার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এ পর্যন্ত তারা ২৭ হাজার নারী ও শিশুকে কর্মসূচির আওতায় আনতে পেরেছেন।
করোনাকালীন লকডাউনে এ বছর বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে মে মাসের শেষ সপ্তাহজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে 'নন্দিতা সুরক্ষা'। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনলাইনে ১০০ জন সাধারণ নারীর মুখে সরাসরি শোনা যাচ্ছে মাসিককালীন অসংকোচের গল্প। স্বেচ্ছাসেবীদের সবার ফেসবুক আইডি এবং 'নন্দিতা সুরক্ষা'র গ্রুপ থেকে এ নিয়ে ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। সেরা বক্তাদের উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে ক্রেস্ট ও উপহার। এ ছাড়া এ দিবসের কার্যক্রম হিসেবে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বাগেরহাট এবং ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভলান্টিয়াররা মাসিক সচেতনতা বাড়াতে জনবহুল এলাকায় 'মাসিক সচেতন সমাজ' গড়ে তোলার প্রত্যয়ে রঙিন কাগজে হাতে লেখা পোস্টার লাগিয়েছেন।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'নন্দিতা সুরক্ষা' বিশ্বাস করে প্রতিটি নারীকে স্বাচ্ছন্দ্যে মাসিক নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিলে একটা সময়ে এই শব্দটি প্রচলিত অন্য সব স্বাভাবিক শব্দের মতোই হয়ে উঠবে। আজ একজন কথা বলবে, কাল কথা বলবে পুরো দেশ। মাসিক কোনো রোগ নয়, প্রতিটি নারীর প্রাকৃতিক জীবনচক্রের অংশ। তাই প্রতিটি মেয়ে যাতে একে আতঙ্ক হিসেবে না দেখে স্বাভাবিকভাবে দেখতে শেখে এবং সচেতন হয়, সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং খোলামেলা কথা বলা জরুরি।
রেমি জানান, নারীদের মাসিককালীন সচেতনতা ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার, বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতে সক্রিয় রয়েছেন তারা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনুদান এবং সদস্যদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতে চলছে এ কর্মসূচি। ইতোমধ্যে তারা ফরিদপুরের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি রেস্তরাঁয় মাসিক সুরক্ষা ব্যাংক স্থাপন করেছেন। করোনাকালে ও গত বছরের বন্যা দুর্যোগে এ সংগঠন দুই হাজার পাঁচশ নারীর মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছে।
দেশের অধিকাংশ মানুষই মাসিক সম্পর্কে অসচেতন। পুরুষরা মাসিককে মেয়েলি লজ্জার বিষয় মনে করে আসছেন প্রাচীনকাল থেকে। তাই মাসিকসংক্রান্ত রোগব্যাধি ও জটিলতায় ভুগলেও সেসবের চিকিৎসা বা পরিচর্যার বিষয়টি উপেক্ষা করেন কিংবা গোপনেই করে থাকেন এ দেশের নারী-কিশোরীরা। কারণ মাসিক নিয়ে খোলামেলা জিজ্ঞাসা করতে গেলে উল্টো অপদস্থ হতে হয় তাদের। অথচ মাসিককালীন সংকট ও সমস্যা লুকিয়ে রেখে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী এ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভোগেন। যা অনেক সময় শারীরিক পর্যায় থেকে মানসিক সংকটও তৈরি করে।
এই অচলাবস্থা দূর করতে ফরিদপুরের অগ্রসর চেতনার কয়েকজন কলেজপড়ূয়া তরুণী 'নন্দিতা সুরক্ষা' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। ৩-৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা প্রতি সপ্তাহের এক দন চলে যেতেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে। প্রথমদিকে বেশ সামাজিক বাধার মুখে পড়লেও প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতামূলক ভূমিকার কারণে এই স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের মাধ্যমে নিরাপদ ও অনিরাপদ স্পর্শ, মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং আত্মরক্ষার প্রাথমিক কলাকৌশল সম্পর্কে কন্যাশিশু ও কিশোরীদের সচেতন করে তোলার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এ পর্যন্ত তারা ২৭ হাজার নারী ও শিশুকে কর্মসূচির আওতায় আনতে পেরেছেন।
করোনাকালীন লকডাউনে এ বছর বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে মে মাসের শেষ সপ্তাহজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে 'নন্দিতা সুরক্ষা'। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনলাইনে ১০০ জন সাধারণ নারীর মুখে সরাসরি শোনা যাচ্ছে মাসিককালীন অসংকোচের গল্প। স্বেচ্ছাসেবীদের সবার ফেসবুক আইডি এবং 'নন্দিতা সুরক্ষা'র গ্রুপ থেকে এ নিয়ে ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। সেরা বক্তাদের উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে ক্রেস্ট ও উপহার। এ ছাড়া এ দিবসের কার্যক্রম হিসেবে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, বাগেরহাট এবং ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভলান্টিয়াররা মাসিক সচেতনতা বাড়াতে জনবহুল এলাকায় 'মাসিক সচেতন সমাজ' গড়ে তোলার প্রত্যয়ে রঙিন কাগজে হাতে লেখা পোস্টার লাগিয়েছেন।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'নন্দিতা সুরক্ষা' বিশ্বাস করে প্রতিটি নারীকে স্বাচ্ছন্দ্যে মাসিক নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিলে একটা সময়ে এই শব্দটি প্রচলিত অন্য সব স্বাভাবিক শব্দের মতোই হয়ে উঠবে। আজ একজন কথা বলবে, কাল কথা বলবে পুরো দেশ। মাসিক কোনো রোগ নয়, প্রতিটি নারীর প্রাকৃতিক জীবনচক্রের অংশ। তাই প্রতিটি মেয়ে যাতে একে আতঙ্ক হিসেবে না দেখে স্বাভাবিকভাবে দেখতে শেখে এবং সচেতন হয়, সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং খোলামেলা কথা বলা জরুরি।
রেমি জানান, নারীদের মাসিককালীন সচেতনতা ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার, বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতে সক্রিয় রয়েছেন তারা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনুদান এবং সদস্যদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতে চলছে এ কর্মসূচি। ইতোমধ্যে তারা ফরিদপুরের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি রেস্তরাঁয় মাসিক সুরক্ষা ব্যাংক স্থাপন করেছেন। করোনাকালে ও গত বছরের বন্যা দুর্যোগে এ সংগঠন দুই হাজার পাঁচশ নারীর মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com