
মৃত্যুর পর শিশুর করোনা পজিটিভ
পরিবারের দাবি মৃত্যু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়
প্রকাশ: ১০ জুন ২১ । ২৩:৩৩ | আপডেট: ১১ জুন ২১ । ১০:৪২
নওগাঁ প্রতিনিধি
ছবি: নওগাঁ
নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় নারী কনস্টেবলের ৮ মাসের শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ৭ দিন পর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনায় শিশুটির মৃত্যুর কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ পরিবার। তাদের দাবি, করোনায় নয়; ওধুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পিসিআর ল্যাবের রিপোর্ট অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
শিশুটির মা মারিয়াম খাতুন নওগাঁর সাপাহার থানায় কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন। তার স্বামী রায়হান উদ্দিন বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত। সাপাহার উপজেলার মাস্টারপাড়া মহল্লায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। একই ফ্ল্যাটের আরেকটি কক্ষে তার বড় বোনের পরিবার থাকে।
মারিয়াম খাতুন জানান, তার আট মাসের শিশুর হঠাৎ বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে ৩০ মে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করা হয়। ২ জুন ভোর ৫টা পর্যন্ত শিশুটি ভালোই ছিল। কিন্তু ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে কর্তব্যরত নার্স এসে শিশুটিকে ক্যানোলার মাধ্যমে পরপর দুটি ইনজেকশন দেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি নার্সকে জানালে তিনি চিকিৎসককে ডেকে আনেন। পরে পাশের একটি কক্ষে শিশুটিকে নিয়ে তারা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে শিশুটি মারা যায়।
মারিয়াম খাতুন বলেন, 'আমার বিশ্বাস, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আমার সন্তান মারা গেছে। কারণ সন্তানকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়া কোথাও যাইনি। করোনার সংস্পর্শে আসবে এমন ব্যক্তি বা স্থান থেকে সব সময় নিরাপদে থাকতাম।'
সাপাহার থানায় কর্মরত মারিয়ামের সহকর্মী মালিহা বেগম বলেন, থানার সব সদস্যের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। সবার রিপোর্ট নেগেটিভ। মারিয়ামের শিশুসন্তানের করোনা হবে- ভাবতেও পারছি না!
মারিয়ামের বড় বোন কুলসুম খাতুন বলেন, তাদের দুই বোনেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। তাদের স্বামীরও কোনো উপসর্গ নেই। তাই শিশুটির করোনা হওয়ার কথা মানতে পারছেন না তারা।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন বলেন, ডায়রিয়াও করোনার একটি উপসর্গ। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না, অথচ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে পজিটিভ। আর পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারব না। তবে শিশুর মা যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com