এক যুগ গবেষণা শেষে আখের নতুন জাত

প্রকাশ: ৩০ জুন ২১ । ১৯:২৫ | আপডেট: ৩০ জুন ২১ । ১৯:৪২

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

উদ্ভাবিত নতুন জাতের আখের প্রদর্শনী ক্ষেত- সমকাল

এক যুগ ধরে গবেষণার পর ঈশ্বরদীর বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) উচ্চফলনশীল এবং অধিক চিনি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নতুন জাতের আখ উদ্ভাবন করেছে। এরই মধ্যে এই আখ মাঠেও অবমুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান।

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ১৭ জুন জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ জাত অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গবেষকরা বলছেন, এ জাতের ফলন ৯৩.৫০ থেকে ১২১.৫২ টন, যা বহুল প্রচলিত চেকজাত 'ঈশ্বরদী ৩৯' জাতের চেয়ে ৭.৩৬ শতাংশ বেশি। এর চিনি ধারণক্ষমতা (১২.০৬-১৫.১১ শতাংশ) এবং গুড় আহরণ হারও (১০.৭৫ শতাংশ) ওই জাতের চেয়ে যথাক্রমে ০.৩৮ শতাংশ এবং ০.৮৫ শতাংশ বেশি। জাতটি মোটা এবং স্মার্ট ও উইল্ট রোগ প্রতিরোধী। এতে লাল পচা রোগ দেখা যায় না। পাতার ধার কম হওয়ায় এই আখের ক্ষেতে কাজ করাও সহজ।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের দুটি আখের জাতের সংকর থেকে উদ্ভাবিত ক্লোনটিকে পুনরায় নিজেদের মধ্যে সংকরায়ণ করে ২০১১ সালে আই ১১১/১১ ক্লোন নির্বাচন করা হয়। এরপর প্রাথমিক ফলন পরীক্ষা, অগ্রবর্তী ফলন পরীক্ষা, আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষাসহ বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমে এটিকে নতুন জাত হিসেবে অবমুক্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। জাতীয় বীজ বোর্ডের জাত অবমুক্তির এ সভায় সব সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে জাতটি অবমুক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এ জাত সম্পর্কে বলেন, নতুন এ জাতের আখ মাঠে ব্যাপকভাবে চাষ করা হলে চিনিকলগুলোয় লোকসানের মাত্রা অনেকাংশেই কমবে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com