বগুড়ায় পুকুরে বিলুপ্তপ্রায় সাদা পদ্ম

প্রকাশ: ৩০ জুন ২১ । ২২:২৬

বগুড়া ব্যুরো

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের সূর্যতা গ্রামের সাহারপুকুরে বিড়ল সাদা পদ্মফুল। ছবি: সমকাল

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের সূর্যতা গ্রাম। এখানকার সাহারপুকুর-রাইকালী রাস্তার পাশে দুটি পুকুর রয়েছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের যৌথ মালিকানাধীন পুকুর দুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসছেন। কারণ পুকুর দুটিতে সারি সারি ছড়িয়ে আছে রূপমাধুরী সাদা পদ্মফুল।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় পুকুর দুটিতে মাছ চাষ করা হতো। বছর তিনেক আগে মাছ চাষের পাশপাশি পদ্মগাছ লাগানো হয়। সেগুলো আস্তে আস্তে পুকুরজুড়ে বিকশিত হতে থাকে। সূর্যতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব শ্রীনন্দন বলেন, পদ্মফুল দুর্গাপূজায় বেশি ব্যবহার করা হয়। এখন আর এই ফুল তেমন দেখা যায় না। আমাদের এলাকায় সনাতন ধর্মের লোকের বসবাস বেশি থাকায় পুকুরে সাদা পদ্মফুল সযত্নে আছে। একই কথা বলেছেন স্থানীয় কলেজশিক্ষক দেওয়ান পলাশ। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় এই পদ্মফুল দেখার জন্য প্রতিদিন নিসর্গপ্রেমীরা সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষাকালে ফুল ফোটা শুরু হয়। তবে শরতে বেশি ফুল ফোটে এবং এর ব্যাপ্তি থাকে হেমন্তকাল পর্যন্ত। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে পদ্মফুল অধিক প্রিয় ও পবিত্র। দুর্গাপূজার সময় এ ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে এখান থেকে পদ্মফুল সংগ্রহ করে অনেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন।

এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল প্লান্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিপিআরডি) গবেষক সিকদার আবুল কাশেম শামসুদ্দিন বলেন, সাদা পদ্মফুল এক সময় এ দেশে ব্যাপক ছিল। এখন তেমন নেই। পদ্মফুল গাছ ভেষজগুণ সমৃদ্ধ। এর ডাঁটা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। চীনে এটি নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। পদ্মগাছ মানবদেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। চুলকানি ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে পদ্মফুল গাছ অতুলনীয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে কাপাশিয়া ও বরেন্দ্র অঞ্চলে এই পদ্ম বেশি দেখা যায়। তাদের প্রতিষ্ঠান কিছুদিনের মধ্যে এই সাদা পদ্ম নিয়ে কাজ করার জন্য খুলনা, কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জ যাবে বলে জানান তিনি।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com