'বাবার অফিসটি মিউজিয়ামে রূপান্তরে কাজ চলছে'

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২১ । ১৩:৪২ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২১ । ১৩:৫৬

বিনোদন প্রতিবেদক

ইরেশ যাকের। মডেল ও অভিনেতা। তিনি এখন ব্যস্ত ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে। এ ছাড়া ৯ জুলাই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান'। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত এই সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

বেশ বিরতির পর টেলিভিশন নাটকে কাজ করছেন-

হ্যাঁ। ব্যক্তিগত নানা ব্যস্ততায় প্রায় তিন বছর ঈদের নাটকের কোনো কাজ করিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও শুরু করলাম। এরই মধ্যে কাজ করেছি আরিফ এ আহনাফের 'মিডনাইট সান', সেতু আরিফের 'হাসনাত বস', খায়রুল পাপনের 'কনটাক্ট ভাই' নাটকের। আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু করব 'মহব্বত ব্যাপারী' নাটকের কাজ।

লকডাউনে সিনেমার শুটিং বন্ধ। টিভি নাটকের শুটিং চলছে কী করে?

নাটক ও সিনেমার শুটিংয়ের বিষয়টি আলাদা। যেহেতু আসছে ঈদে নতুন সিনেমা মুক্তি পাবে না, তাই সিনেমার দৃশ্যধারণে কোনো চাপ নেই। তবে টেলিভিশনে নতুন নাটক প্রচার হবে। আর সে কারণেই রোজার ঈদের পর থেকেই শুরু হয় কোরবানি ঈদের ব্যস্ততা। লকডাউনে টিভি চ্যানেলের অনুমতিপত্র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় নাটকের শুটিং চলছে। টিভি চ্যানেলের অনুমতিপত্র ও সাংগঠনিক পরিচয়পত্র থাকায় শুটিং করতে কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ে লোকবল কমিয়ে নাটকের চিত্রায়ণ করা হচ্ছে।

এবার ওয়েব সিরিজ 'লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান' নিয়ে বলুন ...

'লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান' সিরিজটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার সঙ্গে আমি এর আগেও কাজ করেছি। তিনি তার অভিনয়শিল্পীদের সব সময় উৎসাহ দেন। নিজেও শুটিংয়ে এমনভাবে যুক্ত থাকেন যে, প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সিরিজে আমায় দেখা যাবে একজন সিআইডি অফিসারের ভূমিকায়। এই সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, মামুনুর রশীদ, পার্থ বড়ূয়া, মারিয়া নূর, তাসনিয়া ফারিণসহ অনেকে। গল্প ও চরিত্র মিলে এটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আশা করছি।

আপনার বাবা প্রখ্যাত অভিনেতা আলী যাকেরের স্মৃতি সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?

বাবার স্মৃতি সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তাকে নিয়ে একটা বই প্রকাশের পরিকল্পনা চলছে। বাবা যে অফিসে বসতেন, সেখানে তার অনেক স্মৃতি রয়েছে। অফিসটি একটি মিউজিয়ামে রূপান্তর করার কাজ চলছে।

ফটোগ্রাফি আপনার শখ। ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর কথা বলেছিলেন-

আমি অনেক ছবি তুলি। সেই ছবিগুলো নিয়ে প্রদর্শনী করার চিন্তাভাবনা অবশ্যই আছে। করোনার কারণে বাসায়ই ছিলাম বেশি। এ সময় অনেক ছবি তোলা আছে। এক বছরের মধ্যে ছবিগুলো নিয়ে প্রদর্শনী করার ইচ্ছা রয়েছে। এগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের ছবি। যেজন্য খুব কাছের মানুষের জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে।

হাতে থাকা সিনেমাগুলোর কী অবস্থা?

বেশ আগেই 'মিশন এক্সট্রিম' সিনেমার কাজ শেষ করেছি। এটি এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। 'বাড়ির নাম শাহানা', 'নকশিকাঁথা', 'মুখোশ' সিনেমার কাজও শেষ হয়েছে।

মঞ্চে ফেরা নিয়ে কিছু ভাবছেন?

মঞ্চে অভিনয় রক্তে মিশে থাকে। মঞ্চে অভিনয় আমি বেশ উপভোগ করছি। ছোট পর্দায় যেমন দিনরাত শুটিং হয়, মঞ্চে শুধু দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করতে হয়। সময়-সুযোগ পেলেই মঞ্চে হাজির হই। আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে মঞ্চে ফিরব। এটা কোনো দলের নাটক নয়, একটি রেপার্টরি প্রযোজনা। কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জিং।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com