শিমুলিয়া ঘাটে চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২১ । ১২:৫৫

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই লঞ্চে উঠছে মানুষ- সমকাল

করোনার সংক্রমণ উপেক্ষা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এরই প্রভাব পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।

শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বেড়েছে। একই সঙ্গে গত কয়েক দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপও বেড়েছে কয়েক গুণ।

বৃহস্পতিবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দুটি নতুন ফেরি যুক্ত হওয়ার পরও যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ কমানো যাচ্ছে না। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে লঞ্চ চালু হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী ফেরিতে না উঠে লঞ্চেই যাচ্ছেন। লঞ্চে অর্ধেক যাত্রীর বদলে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে ব্যস্ত লঞ্চ চালক ও শ্রমিকেরা।

শিমুলিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি মাত্র দলের তৎপরতায় ঘাটের এই অতিরিক্ত চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।

ঘাটে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদ বলেন, আমরা কোনো লঞ্চকেই অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিতে দিচ্ছি না। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি)শিমুলিয়া ঘাট শাখার উপমহাব্যস্থাপক শফিকুল ইসলাম সকাল ১০টার দিকে জানান, বহরে দুটি নতুন ফেরি যুক্ত হওয়ার পর ১৩টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে এখন ৫ শতাধিক ছোট-বড় ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে, ঢাকা থেকে গণপরিবহনে আসা যাত্রীদের শিমুলিয়া ঘাটের দেড় কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা প্রচণ্ড রোদে পায়ে হেঁটে কিংবা ইজিবাইক ও মিশুকে করে ঘাটে আসছেন।

লঞ্চ ঘাট ও যাত্রীছাউনিতে যাত্রীদের অনেকের মুখে মাস্ক নেই। লঞ্চে গাদাগাদি করে উঠেছেন। তাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব ছিল না। বিআইডব্লিউটিএর লোকেরা মাইকিং করা সত্ত্বেও যাত্রীরা মাস্ক পরছেন না।



© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com