
বরিশাল থেকে রোববারও ছাড়েনি ঢাকামুখী লঞ্চ
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২১ । ১৬:৫৩ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২১ । ১৬:৫৬
বরিশাল ব্যুরো

ভোলার ইলিশাঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়। ছবি-ফোকাস বাংলা
গার্মেন্টসহ বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফেরার জন্য বাস ও লঞ্চ চলাচল চালুর ঘোষণা আসলেও বরিশাল থেকে রোববারও কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে যাওয়া শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। পরে কঠোর লকডাউনে আটকে পড়েছেন তারা। তাই প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় লঞ্চ ছাড়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া মাত্র একদিনের জন্য লঞ্চ চালালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেও দাবি করছেন লঞ্চমালিকদের একাংশ।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে রপ্তানিমুখী কলকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউএ) । পরবর্তীতে এ সময় বৃদ্ধি করে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
রোববার বিভাগীয় শহর বরিশালের নৌবন্দরে ৯টি লঞ্চ থাকলেও একটি লঞ্চেও যাত্রী পরিবহন করেননি মালিকরা।
এদিকে লঞ্চ বন্ধ থাকায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে রোববারও ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের ভীড়। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, প্রতি মিনিটে দুটি করে বাস যাত্রী নিয়ে মাওয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আজ বেলা ১২টার দিকে বরগুনা থেকে ঢাকামুখী দুটি লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে ভিড়ে কিছু যাত্রী নিয়ে গেছে। বরিশাল থেকে ঢাকার কোন লঞ্চ ছাড়বে কি-না এ বিষয়ে নিশ্চিত নই।তবে রাতে একটি লঞ্চ ছাড়তে পারে।’
বরিশাল রুটের সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির মালিক ও লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু সমকালকে বরলেন, ‘সরকারিভাবে বিলম্বে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ যাত্রী সড়কপথে ঢাকায় চলে গেছেন। নৌবন্দরে এখনও যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে ১০০-২০০ যাত্রী নিয়ে একটি বড় লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়।’
ঢাকা-বরিশাল রুটের সুরভী লঞ্চ কোম্পানির পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, ‘৫ আগষ্ট পর্যন্ত লকডাউন। তাই অধিকাংশ জনবল ছুটিতে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাষ্টার-ড্রাইভার লঞ্চে নেই। দুজন মাষ্টার ও দুজন ড্রাইভার ছাড়া লঞ্চ চালানো যায় না। তাই তারা লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করবেন না।’
সমকালের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে ‘পূবালী’ ও ‘রাজারহাট’ নামক দুটি লঞ্চ কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আরও বিপুল সংখ্যক যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারেননি।
পিরোজপুরে ভান্ডারিয়া থেকে ‘ঈগল’ ও অগ্রদুত নামক দুটি লঞ্চ পরিপূর্ন যাত্রী নিয়ে রোববার সকাল ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর প্রতিনিধি।
তিনি জানান, ওই লঞ্চ দুটিই পিরোজপুর শহরের হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে যাত্রী তুলেছে।
পটুয়াখালী নৌবন্দরে ঢাকা রুটের ৪টি লঞ্চ রয়েছে। লঞ্চের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, যাত্রী বেশি হলে বিকাল ৫টার দিকে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাবে। তবে কয়টি লঞ্চ যাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি তারা।
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, রোববার সকালে চরফ্যাশন থেকে ৩টি, বোরহানউদ্দিন থেকে ১টি এবং ভোলা শহর থেকে ৯টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে। ভোলা প্রান্তে আর লঞ্চ না থাকায় ওই লঞ্চ পুনরায় ফিরে আসার ওপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে আর কোন লঞ্চ ঢাকামুখী হবে কি-না।

ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে ঢাকা রুটের ১টি লঞ্চ থাকলেও সেটিতে যাত্রী পরিবহন করা হবে না বলে কর্মচারীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন সমকালের ঝালকাঠি প্রতিনিধি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২২
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com