
বরিশাল বিভাগে বাড়ছে করোনা চিকিৎসার পরিধি
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২১ । ২১:২৭ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২১ । ২১:৪২
বরিশাল ব্যুরো

ছবি: ফাইল
বরিশাল বিভাগে করোনা চিকিৎসার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। বিভাগের ছয় জেলার ৩৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেক্সর প্রতিটিতে ২০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হচ্ছে দুই-একদিনের মধ্যে। এছাড়া মহানগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস মঙ্গলবার বিকেলে সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ২০ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশনা এসেছে। বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিভাগের ৩৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে মোট ৬৮০টি শয্যায় করোনা চিকিৎসা শুরু হবে।
ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল মহানগরের কালীবাড়ি সড়কে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রেও ২০ শয্যার নারী করোনা ইউনিট আজ-কালের মধ্যে চালু করা হবে। সেখানে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের পাশাপাশি নারী কভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
ডা. বাসুদেব বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা চিকিৎসা চালু এবং জেলা সদর হাসপাতালগুলোর করোনা ইউনিটের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হলে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
শেবাচিম হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে গত প্রায় এক মাস ধরে ৩১৫-৩২০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত ১১ জুলাই বরিশাল জেলা সদর হাসপাতালে ২২ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হযেছিল। সেটি এখন ৭০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রোগীর চাপে শেবাচিম করোনা ইউনিটের বেসামাল অবস্থা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীদের ভর্তি করা হলে শেবাচিমের চাপ কমবে। অপরদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের রোগীরা দ্রুত চিকিৎসাসেবা পাবেন। গ্রামগঞ্জ থেকে রোগীদের শেবাচিম হাসপতালে নিয়ে আসতে পথেই অনেক রোগীর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চিকিৎসক, নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। তাদেরও করোনা চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করতে বরিশাল নগরের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে ২০ শয্যার নারী করোনা ইউনিট চালু করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বশক্তি নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, বরিশাল মহানগরসহ জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক। তাই চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে যখন যে রকম পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. আব্দুস সালাম, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. তৈয়বুর রহমান, শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন, সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ ও হাসপতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. জহিরুল হক, আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গৌতম বাড়ৈ প্রমুখ।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com