খুবি চলচ্চিত্র উৎসব

দর্শক আবারও সিনেমা হলে ফিরবে: গৌতম ঘোষ

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২১ । ২১:১৫

খুবি প্রতিনিধি

শনিবার রাত ৮টায় এই উৎসবের সর্বশেষ প্যানেল আলোচনায় গৌতম ঘোষ ছাড়াও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস।ছবি: সমকাল

ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেছেন, সিনেমা হলে সবাই একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখার একটা মজা আছে। শুনেছি মহামারি পাঁচ বছর থাকবে। এটা কেটে সিনেমা আবারও বড় পর্দায় ফিরবে। দর্শক আবারও হলে ফিরবে। 

শনিবার রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের প্যানেল আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে ৩৫এমএম-দ্য কেইউ মুভি ক্লাব।

শনিবার রাত ৮টায় এই উৎসবের সর্বশেষ প্যানেল আলোচনায় গৌতম ঘোষ ছাড়াও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস। পরিচালনা করেন আল মুমিন খান স্নেহ।

এ সময় গৌতম ঘোষ আরও বলেন, সিনেমার সবচেয়ে বড় ক্ষমতার জায়গাটা হলো, কথা ছাড়াও সিনেমা কমিউনিকেট করতে পারে। সেটাকে ভিজুয়ালাইজ করতে পারে। এ কারণে যে কোনো ভালো আঞ্চলিক ছবি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে সক্ষম। তাই আমাদের ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে এবং তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

অনম বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে এখন সিনেমার অবস্থা প্রকৃতপক্ষে খারাপ। এটার পেছনে অনেক সামাজিক-রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। আগে এ দেশে মধ্যবিত্তরাও সপরিবারে সিনেমা দেখতে যেত, তবে এখন আর সেটা দেখা যায় না।

এর আগে অনুষ্ঠানের গোলটেবিল আলোচনার বিশেষ দুই পর্বের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীভিত্তিক চলচ্চিত্র আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থী অনুদানে নির্মিত 'মেরুদ্বন্দ্ব' শর্টফিল্মের ডিরেক্টর, সহপরিচালক এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার উপস্থিত ছিলেন। তারা এ ছবি তৈরির পেছনে পুরো গল্পটা তুলে ধরেন। মূলপর্বের আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সাংবাদিক পানোস কোজাথানাসিস, শব্দশিল্পী হরিকুমার পিল্লাই, জাহিদুর রহিম অঞ্জন প্রমুখ।

এ ছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চিত্রগ্রাহক সুমন সরকার এবং স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজিবুল হোসেন পৃথক দুটি চলচ্চিত্র কর্মশালা পরিচালনা করেন।

ক্লাবের সভাপতি বহ্নিশিখা চৌধুরী বলেন, এ রকম একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

এই উৎসবে দেশ-বিদেশের প্রায় ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে এবং শতাধিক শর্টফিল্ম জমা পড়ে। এই চলচ্চিত্রগুলো থেকে ৪০টি শর্টফিল্মকে মূল উৎসবের জন্য বাছাই করা হয়। উৎসবের প্রতিযোগিতা পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা নুরুল আলম আতিক, অনম বিশ্বাস, পিপলু আর খান এবং বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com