আমি যা পেয়েছি তাতেই সন্তুষ্ট: মমতাজ

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২১ । ১৩:২৩ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২১ । ১৩:২৭

বিনোদন প্রতিবেদক

কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম

মমতাজ। লোকগানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি 'দামাল' সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন তিনি। রায়হান রাফি পরিচালিত এ সিনেমার গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

বেশ বিরতির পর সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। কেমন হলো এবারের গানটি?

গানের কথা, সুর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। 'এ এক আজব বুড়ো খোকা, মাথায় ঘোরে খেলার পোকা'- শিরোনামের গানটি লিখেছেন রাসেল মাহমুদ এবং সুর সংগীত করেছেন আরাফাত মোহসীন নিধি। নিধির সুর-সংগীতে এর আগে আমি একটি গান গেয়েছি। এ নিয়ে তার সুর-সংগীতে এটি দ্বিতীয় গান। গানটি এত চমৎকার যে, এর সুর আমার মাথায় বারবার ঘুরেফিরে আসছে। কিছু গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়। এটি ঠিক তেমনি এক গান। সিনেমাটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পের। আমার বিশ্বাস, গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

এরই মধ্যে নতুন আর কী কী গান করেছেন?

গত শোক দিবসে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য 'বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে, শেখ হাসিনার এই দেশে, স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ' গানটি গেয়েছি। শ্রোতারা ভীষণ পছন্দ করেছে এটি। এর আগে মীর সাব্বিরের পরিচালনায় অনুদানে নির্মিত 'রাতজাগা ফুল', হাসিবুর রেজা কল্লোলের পরিচালনায় 'বন্ধু' সিনেমার গান করেছি।

অনেক দিন ধরে প্রচলিত গান সংগ্রহ করছেন। সেগুলো নিয়ে কোনো সংকলন প্রকাশ করবেন কি?

ইচ্ছা আছে যেসব লোকগান অনেকে শোনার সুযোগ পাননি, তা নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করার। মমতাজ ফাউন্ডেশন এতে সহযোগিতা করছে। গানগুলো খুঁজে পেতেও সময় লাগছে। এ জন্য বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে। এ কাজে অনেকেই আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এই সময়ের ব্যস্ততা কী নিয়ে?

গানের কাজের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনের খোঁজখবর নিচ্ছি। লকডাউনে সংসদ সদস্য হিসেবে অসহায় মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করছি। করোনার প্রকোপ যখন বেশি ছিল তখন মন টানলেও সব সময় এলাকায় যাইনি। কারণ আমি গেলে অনেক লোক জড়ো হয়। এ সময় যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে, তাই এলাকায় কম গিয়েছি। করোনার প্রকোপ একটু হ্রাস পাওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় বেশ সময় দিচ্ছি।

করোনাকালে ঘরে থাকা সময় কীভাবে কাটে?

কাজের ব্যস্ততায় সন্তানদের সময় দিতে পারি না। এখন তাদের সঙ্গে মধুর সময় যাচ্ছে। পুরোনো গান শুনি। টিভিতে খবর দেখে নিজেকে আপডেট রাখি। বাইরে না বেরোলেও অনেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে রান্নাঘরেও যেতে হচ্ছে।

'মমতাজের বয়াতী বাড়ি' মিউজিয়াম নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন?

আব্বা ও আমার হাতের পুরোনো বাদ্যযন্ত্র স্থান পাবে মিউজিয়ামে। সংগ্রহের কিছু গানও থাকবে। পাশাপাশি লোকগান সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি।

সংগীতের এই সময়কে কীভাবে দেখছেন?

একেবারে যে খারাপ যাচ্ছে, তা বলব না। ভালোই। কিন্তু করোনায় আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। আগে হাজার হাজার মানুষের সামনে গান করতাম, এখন তা পারছি না। শ্রোতাদের সামনে যেতে না পারলে শিল্পীদের কি ভালো লাগে! অনেকেই ঘরে বসে গান করছেন। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

তরুণ শিল্পীদের উদ্দেশে আপনার বার্তা-

নতুনরা ভালো করছে। কিন্তু তাদের মৌলিক গান খুব কম। নিজের গান না থাকলে টিকে থাকা কঠিন। তাদের নিজস্ব সত্তা তৈরি করতে হবে।

ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি অনেক। অপ্রাপ্তি আছে কি?

মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। আমি যা পেয়েছি, তাতেই সন্তুষ্ট।


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com