
এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়
খোঁড়াখুঁড়ি আর যানজটে নাকাল নগরবাসী
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২১ । ০০:০০ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২১ । ০২:৪৯ | প্রিন্ট সংস্করণ
অমিতোষ পাল

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলছে বেশুমার খোঁড়াখুঁড়ি। ফলে নগরবাসীর দুর্ভোগেরও অন্ত নেই। রোববার তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার ছবি- সাজ্জাদ নয়ন
বর্ষা এলেই রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ির 'উৎসব' অনেক বছর ধরে রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বর্তমানে রাজধানীর এমন কোনো এলাকা পাওয়া মুশকিল, যেখানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে না। একটি সংস্থা সড়ক খুঁড়ে কাজ সেরে ঢালাই করার কিছুদিন পর নতুন রাস্তায় আবার আরেক সংস্থা খুঁড়তে শুরু করে। এমন খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। সরকার প্রণীত সড়ক খনন নীতিমালাও কেউ মানছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চলমান খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তা যেমন তছনছ হয়ে গেছে, তেমনি বৃষ্টির কারণে নগরজীবনে যুক্ত হয়েছে অতিমাত্রায় ভোগান্তি। সেইসঙ্গে রাজপথে বেড়েছে যানজট।
বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়া হবে না বলে বিভিন্ন সময় নগরবাসীকে ওয়াদা দিয়েছেন দুই মেয়র। কিন্তু বাস্তবে তাদের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। নগরবাসী বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে কিছুদিন আগে কয়েক দফায় প্রায় দুই মাস লকডাউন চলেছে। ওই সময়ে রাজপথ ছিল একেবারেই ফাঁকা। তখন খোঁড়াখুঁড়ির কাজগুলো করলে নগরবাসীর এত যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো না। কিন্তু সেবা সংস্থাগুলো তখন এসব উন্নয়নকাজ না করে হাত গুটিয়ে বসে ছিল। লকডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারাও জোরকদমে কাটাকুটিতে নেমে পড়েছে।
প্রতিবছরই কেন বর্ষা মৌসুমে খোঁড়াখুঁড়ির পুনরাবৃত্তি ঘটছে- সে প্রসঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান সমকালকে বলেন, বর্ষাকালে খোঁড়াখুঁড়ি করলে কাজ ভালো হয় না। দ্রুত ভেঙে যায়। তখন আরেকটা প্রকল্প নেওয়া যায়। এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে যারা বর্ষার জন্য অপেক্ষা করে, সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। দেশে সড়ক খননের একটি নীতিমালাও আছে। সেই নীতিমালাও মানা হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সেবা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। তা না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা থাকার পরও কেন বারবার একই ঘটনা ঘটছে? আর মেয়ররা তো অনেকবার বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে খোঁড়াখুঁড়ি হবে না। তারপরও হচ্ছে। এতে মনে হয়, অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ঢাকার দুই শতাধিক সড়ক খনন করা হয়েছে। আর ঠিক এ মুহূর্তে দুই সিটির কয়টি এলাকায় রাস্তা খননকাজ চলছে, তার সঠিক হিসাব দুই সিটি করপোরেশন সুস্পষ্টভাবে দিতে পারেনি। তবে চলতি অর্থবছরের আগপর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০৬টি এলাকার রাস্তা খননের আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ওয়াসার আবেদন ৬৯টি, ডিপিডিসি আবেদন করে ৫৩টি, আর বিটিসিএল করেছে ৩২টি আবেদন। এ ছাড়া আরও কিছু সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের আবেদন ছিল। সেসবের প্রায় সব মঞ্জুরও করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও আবার নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা আবেদন করেছে। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসারই বেশি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, যাদের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে, তারা রাস্তা কাটার পর সেটা সুন্দর করে মেরামত করবে। এ ছাড়া নির্ধারিত ফি করপোরেশনে জমা দেবে। অনেকেই সেটা করে না। অনুমতি ছাড়াও অনেকে রাস্তা কাটে। তখন জরিমানা করলে সেই জরিমানাও দেয় না। সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসা পুরান ঢাকার প্রতিটি এলাকার রাস্তা কেটে পাইপ বসানোর প্রস্তাব করপোরেশনে দিয়েছে। সেগুলো এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এক প্রকৌশলী কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছেও অনেক আবেদন জমা আছে। তারা নতুন করে আর কোনো রোড কাটিংয়ের অনুমতি দিচ্ছেন না। মূল শহরের কয়েকটি জায়গা ছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোতে তাদের কাজ চলছে বেশি। আর ডিএসসিসির একজন প্রকৌশলী জানান, বর্তমানে বলা যায়, তাদের প্রতিটি ওয়ার্ডেই কাজ চলছে।
সরেজমিন চিত্র: রাজধানীতে কাটাকুটির সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র এখন তেজগাঁও এলাকায়। গুলশান শুটিং ক্লাব থেকে তেজগাঁও শিল্প এলাকা পর্যন্ত সড়কটির একপাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তেজগাঁও শিল্প এলাকার প্রতিটি সড়ক কেটে তছনছ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শুটিং ক্লাব থেকে গাড়িগুলো শিল্প এলাকায় যেতে হলে রামপুরা-মহানগর প্রজেক্ট হয়ে হাতিরঝিল দিয়ে ঘুরে পৌঁছাতে হচ্ছে। শিল্প এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স থেকে আহসানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে লাভ লেনের পুরো সড়কের মাঝবরাবর গভীর গর্ত করে বড় বড় পাইপ বসানো হচ্ছে। আর ইটপাটকেল রাখা হয়েছে কোথাও রাস্তার মাঝখানে, কোথাও ফুটপাতে। হাঁটার মতো অবস্থাও নেই। সেখান থেকে মগবাজার ফ্লাইওভার পর্যন্ত শিল্প এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কটিও কেটে তছনছ করা হয়েছে।
হাতিরঝিলের বেগুনবাড়ী থেকে সেটেলমেন্ট প্রেস হয়ে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়কটিরও একই অবস্থা। আর এসেনসিয়াল ড্রাগসের দক্ষিণ পাশ দিয়ে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পর্যন্ত দুটি সড়ক গভীরভাবে খুঁড়ে সেখানেও পাইপ বসানো হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে খুঁড়ে তোলা রাস্তায় রাখা মাটি-কাদায় সয়লাব হয়ে গেছে পুরো রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে যান চলাচলের কোনো উপায় নেই। বিআরটিসির বাস ডিপো, পুলিশের যানবাহনের ওয়ার্কশপ, হা-মীম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়, দৈনিক সমকাল, বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরসহ ওই এলাকার কোনো প্রতিষ্ঠানের যানবাহনই সড়কটি ব্যবহার করতে পারছে না। তেজগাঁও সাত রাস্তা থেকে বিজি প্রেস অভিমুখেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।
একই চিত্র দেখা যায় নর্থ সাউথ রোডের সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে। সড়কের পশ্চিম পাশ কেটে তছনছ করা হয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেই এ সড়কে আরেকটি সংস্থা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাস্তা মেরামত করেছিল। সম্প্রতি আবার আরেকটি সংস্থা খোঁড়া শুরু করেছে। নয়াপল্টন সংলগ্ন পুলিশ হাসপাতাল থেকে নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোর পর কার্পেটিং ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে। এভাবে রোকেয়া সরণির আগারগাঁও থেকে সেনপাড়া সড়কটিতে পাইপ বসানো হলেও বাকি কাজ করা হয়নি। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গভীর গর্ত তৈরি হয়ে আছে। রোকেয়া সরণির শেওড়াপাড়া থেকে কামাল সরণি (৬০ ফুট) পর্যন্ত সড়কটিতে পাইপ বসানোর পর সেটাও ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। এ সড়কটিতে চলাচলের উপায় নেই। বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে।
এসব খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানজট বাড়ছে বলে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মনিবুর রহমান। তিনি সমকালকে বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। ফলে অনেক স্থানে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এসব কারণে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। ট্রাফিক সদস্যদের এই যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা গেছে, কোথাও ওয়াসা, কোথাও ডিপিডিসি, ডেসকো, সিটি করপোরেশন, বিটিসিএল, কোথাও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এসব খোঁড়াখুঁড়ি করছে। তারা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে সরকারের দোহাই, বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর চাপ, প্রভাবশালীদের অনুরোধসহ নানা অজুহাতে অনুমতি নিয়ে নিচ্ছেন। সিটি করপোরেশনও অনুমতি দিতে অনেকটা বাধ্য হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বর্তমানে যেসব জায়গায় কাজ না করলেই নয়, শুধু সেসব স্থানে ডিএনসিসি কাজ করছে। কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলোর জন্য রাস্তা কাটার অনুমতি না দিয়ে পারছি না। যেমন গন্ধর্বপুর থেকে পানির জন্য ঢাকা ওয়াসা ১২ কিলোমিটার রোড কাটিংয়ের অনুমোদন চেয়েছে। এটা বাধ্য হয়েই দিতে হবে। একইভাবে তাদের আরেকটি প্রকল্পের জন্যও অনুমতি দিতে হবে। এ জন্য আমরা চিন্তা করছি, নগরবাসীকে যতটুকু স্বস্তি দেওয়া যায়। আর জনগণকে ভোগান্তি না দিয়ে কাজগুলো করাটাও খুব চ্যালেঞ্জ। আমরা এসব বিষয় পর্যালোচনা করে কাজ করছি।
সড়ক খননে মানা হয় না নীতিমালা: নগরবাসীর ভোগান্তি কমিয়ে আনতে ২০০৩ সালে ঢাকার সড়ক খনন নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্নির্মাণের জন্য একটি নীতিমালা প্রণীত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গঠিত 'ঢাকা শহরে সুশাসন ও উন্নয়ন' শীর্ষক সেলের পরামর্শক্রমে ওই নীতিমালাটি তৈরি হয়। শুরুতে সেটা একটু-আধটু বিভিন্ন সংস্থা মানলেও পরে আর কেউই মানছে না। নীতিমালায় বর্ষা মৌসুমে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তা না খোঁড়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এ নিয়ে নাগরিক সমাজের পাহাড়সম অভিযোগ গণমাধ্যমে বহুবার উঠে আসার পরও এ ব্যাপারে বিশেষ অগ্রগতি নেই। এক সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির পর পুনর্নির্মাণে যায় দীর্ঘ সময়। আবার পুনর্নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যে আবার অন্য সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির বিষয় নিয়মিত ঘটছে।
নীতিমালায় সার্বিক বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে একটি 'ওয়ান স্টপ' সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি 'মনিটরিং সেল' গঠন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বছরের শুরুতেই সব সেবা সংস্থা তাদের উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা ওয়ান স্টপ সেলে জমা দেবে। সে অনুযায়ী একটি এলাকার যাবতীয় কাজ একই সময়ে সব সেবা সংস্থা সম্পন্ন করবে। এ সময়ে সড়কের নিচে পানি, পয়ঃ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ইত্যাদি লাইন বা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করে সংশ্নিষ্ট সংস্থাকে খননের সময় বেঁধে দেওয়া হবে। আবেদনকারীর জন্য সড়ক খননের পদ্ধতি, ব্যবহূত যন্ত্রপাতির বিবরণ, সময়সূচি, জননিরাপত্তা ব্যবস্থা, খননকৃত মাটি-রাবিশের অপসারণ ও প্রাথমিক পুনর্বাসন পরিকল্পনা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। নীতিমালায় রয়েছে- খনন শুরুর ১৫ দিন আগে এলাকায় মাইকে ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা, প্রয়োজনীয় জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া, সাইনবোর্ডে খননের উদ্দেশ্য এবং কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এতে বলা হয়, অনিবার্য না হলে খননকাজ শুধু রাতেই হবে এবং সকাল হওয়ার আগে খনন করা মাটি বা রাবিশ সরিয়ে নিতে হবে।
নীতিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানে বলা হয়েছে, কোনো প্রধান সড়ক খননের জন্য একবার কোনো সংস্থাকে অনুমতি দেওয়ার পর অপরিহার্য না হলে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে ওই সড়কে আর কাউকে খননের অনুমতি দেওয়া হবে না। কিন্তু এসব নিয়ম কেউই মানছেন না। বর্তমানে যেসব স্থানে কাটাকুটি চলছে, সেসব এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, কাটাকুটি কারা করছে- সেটার কোনো সাইনবোর্ডও তারা দেখতে পাননি, মাইকিং তো দূরের কথা। কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ সংবলিত সাইনবোর্ড কোথাও রাখা নেই। এমনকি বর্তমানে যেসব স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, সরেজমিন সেসব জায়গায়ও এ সম্পর্কিত সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। রাতের বেলায় কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিন চিত্রে সেটাও পাওয়া যায়নি। গতকাল তেজগাঁও এলাকায় দেখা গেছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দিনের বেলায় কাজ করছে।
এসব প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাসেরের সেলফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যরা কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com