তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি প্রশ্নে এখনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২১ । ২০:১১ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২১ । ০১:৫৩

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

আফগানিস্তানে তালেবানদের গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনই নেবে না বাংলাদেশ। এমনকি দেশটিতে একটি স্থায়ী সরকার গঠনের আগে স্বীকৃতি প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্তই নেবে না বাংলাদেশ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি এও জানিয়েছেন, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে শান্তি ও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য যদি কোনো সংলাপের আয়োজন করা হয়, তাহলে সেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কাবুলে আরও ১০ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এরমধ্যে তিনজন উন্নয়নকর্মী। বাকি সাতজন কাবুলে থেকে যেতে চেয়েছেন। কেন তারা সেখানে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। সেখানে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এর আগে তালেবানরা বলেছিল, অন্তবর্তীকালীন সরকারটি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। যেমন সরকারে নারীর অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু সেটা এখনও দেখা যায়নি। এর আগে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তালেবানদের নিষিদ্ধ করেছিল, সেই তালবানকে বিশ্বের নতুন করে আগ্রহের কারণ ছিল, এবার তালেবানরা পরিবর্তিত চেহারায় আসছে, এমন একটা বার্তা দিয়েছিল। সেই বার্তার প্রতিফলন কতটা হয়, সেটা এখনও দেখার বাকী আছে। বাংলাদেশের একটা আদর্শিক অবস্থান আছে, সেই অবস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশ আপস করবে না। এ কারণে আফগানিস্তানে নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না বাংলাদেশ। পরিস্থিতি গভীরভাবে নজর রাখা হবে। এরপর একটা স্থায়ী সরকার গঠিত হলে, সেটা কীভাবে গঠিত হয়, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পুরো পরিস্থিতি বিচার-বিশ্নেষণ করে একটা সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ। এর আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বীকৃতি প্রশ্নে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ আফগানিস্তানে শান্তির জন্য তালেবানদের সঙ্গে যদি কোনো সংলাপে যায় কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি সেখানে অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য কোনো সংলাপের আয়োজন করে, তাহলে সেসব সংলাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল, আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সহায়তা বিষয়ে একটি সংলাপের আয়োজন করা হলে সেখানে বাংলাদেশ পার্টি হবে কি-না, বাংলাদেশ সেই সংলাপে অংশ নেবে কি-না, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ নীতিগতভাবে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক এবং কোনো ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকুক, সেটা চায়। আফগানিস্তানে যেসব বিদেশি নাগরিক আছে, তাদের নিরাপত্তা এবং নিরাপদে কাবুল ত্যাগ করার ব্যবস্থা হোক, সেটা চায়।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com