নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের ও একরামুলের সমর্থকদের কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২১ । ২০:৫০ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২১ । ২০:৫৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি বাতিল এবং আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার দাবিতে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে ভূঁইয়ারহাট এলাকায় বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি ছিল।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে কোওন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটেনি। এ সময় সন্দেহভাজন একটি মাইক্রোবাস থেকে ছয়টি ককটেল ও তিনটি লোহারপাতসহ ১৮ যুবককে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কবিরহাট থানার ওসি টমাস বড়ুয়া সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ সদস্য একরামূল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ঘোষণার দাবিতে বিকেল ৫টার দিকে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের জামতলায় বিক্ষোভ করেন।

একই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা একই ইউনিয়নের ওটারহাটে জেলা আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নব গঠিত আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় ওটারহাট এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে ১৮ যুবক আসলে তাদেরকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। ওই গাড়িতে ছয়টি ককটেল ও তিনটি লোহারপাত পাওয়া যায়।

ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন শাহীন জানান, দুই এক দিনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে যে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল সেটি বাতিল করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে- এমন খবরে একরামুল করিম চৌধুরী এমপির অনুসারী ভাটইয়ার হাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান স্থানীয় ভূইয়ার হাটে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। অন্যদিকে আমরা ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা সম্ভাব্য আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলের আয়োজন করি।

তিনি বলেন, বিক্ষোভ হলেও প্রশাসন কোনও পক্ষকেই সভা করতে দেয়নি। আমাদের মিছিলের আগে একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী মিজান চেয়ারম্যান পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ও নবীপুর থেকে একটি মাইক্রোবাসে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ একদল সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে আনেন। ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করার জন্য এসেছিল। বিষয়টি ধরতে পেরে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে কবিরহাট থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, শাহীনের নেতৃত্বে এমপির অনুসারী শ্রীনোদ্ধি গ্রামের বাসিন্দা বিজয় ও রাকিব নামের দুই যুবককে ওটারহাট পুলের ওপর ধরে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে। মাইক্রোবাসে অস্ত্র নিয়ে ১৮ যুবক আটক হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে তারা কোথা থেকে কার কাছে কি জন্য এসেছে এ বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

কবিরহাট থানার ওসি টমাস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি লোহারপাত ও ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com