সংস্কার কাজে আটকে আছে ইবির হল খোলার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২১ । ১৩:০৯ | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২১ । ১৩:০৯

মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু, ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়- ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত সংস্কার কাজের জন্য আটকে আছে বলে জানা গেছে। শনিবার এই কাজ লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ঠিকাদারদের এক মাস সময় দিয়েছে প্রশাসন। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল খোলার দাবিতে সম্প্রতি মশাল মিছিল ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থরা।

প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চটে যাওয়া দেওয়াল প্লাস্টার, মোজাইক পাথরে করা ফ্লোর পরিষ্কার, বিদ্যুৎ, পানির লাইন ও অন্যান্য সংস্কার কাজের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গত জুন মাসে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে আটটি আবাসিক হল ও প্রশাসন ভবন সংস্কারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এই নয়টি ভবনে আকার ও কাজের পরিধি ভেদে দুই থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এই অর্থ বরাদ্দের অন্তত তিন মাস পর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এর দরপত্র উম্মুক্ত করার পর ২ অক্টোবর লটারির মাধ্যমে নয়টি কাজ ঠিকাদারদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারদের পরবর্তী এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সি শহিদ উদ্দিন তারেক বলেন, ‘বাজেট কবে আসছে তা বলতে পারবো না। একাউন্টস শাখা বলতে পারবে। তবে গত মাসে একটা মিটিং হয়, এরপর আমি টেন্ডারের কাজ শুরু করি। কাজের ভলিউম অনুযায়ী তিন মাস সময় দেওয়া দরকার ছিলো। আমরা দিয়েছি একমাস। তবে মৌখিকভাবে ১৫ দিনের ভেতরে কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা করবো।’

সংস্কার কাজের এই বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক সিদ্দিক উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো তথ্য দিতে পারবো না। তথ্য দেওয়া নিষেধ আছে।’ পরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক রেবা মণ্ডল বলেন, ‘আমরা বসে নেই, নিজেদের মতো যতটুকু পেরেছি করেছি। অর্থ সংকটের কারণে অনেক কাজ আছে যা কেন্দ্র সহযোগিতা না করলে পারবো না। কি করতে হবে না হবে ট্রেজারার, প্রক্টর, চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ আরও কয়েকজন এসে দেখে গেছেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সংস্কার বলতে বড় কোনো কাজ না। কিছু জিনিস ঠিক করা দরকার, যেটায় হয়তো শিক্ষার্থীদের সমস্যা হতো। ৪ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।’

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com