
গণহত্যা জাদুঘরে যুক্ত হলো 'জয় বাংলা' স্মারক চিহ্ন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২১ । ২০:১০ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২১ । ২০:২০
সমকাল প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন হিসেবে ঐতিহাসিক 'জয় বাংলা' ইট বুধবার গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুনের কাছে হস্তান্তর করা হয় - সমকাল
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে বাঙালি জাতির অন্যতম প্রেরণা 'জয় বাংলা' স্লোগান। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে বাঙালিরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন 'জয় বাংলা' স্লোগান মানুষকে এতটাই উদ্দীপ্ত করেছিল যে, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার হাট পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রামনিবাসী আব্দুস সামাদ খান ও নুরুল ইসলান খানের উদ্যোগে 'জয় বাংলা' নামে ইট তৈরি শুরু হয়। তবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ব বাংলায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলে তাদের রোষ থেকে রক্ষা পায়নি এই ইটভাটাও। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি ধ্বংস করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে সেই ঐতিহাসিক 'জয় বাংলা' ইট মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন হিসেবে বুধবার গণহত্যা জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকায় এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জিন্নাহ খান এই ইট হস্তান্তর করেন। স্মারক ইটটি গ্রহণ করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন ও ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। এ সময় অনুষ্ঠানে জাদুঘরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুনতাসীর মামুন বলেন, 'জয় বাংলা' ইট জাদুঘরের সংগ্রহশালা ও প্রদর্শনী কক্ষকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
উল্লেখ্য, গণহত্যা জাদুঘর দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র জাদুঘর হিসেবে গড়ে উঠেছে খুলনায়। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা এই জাদুঘর জনগণের বিপুল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দিন দিন সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মারক-নিদর্শন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাদুঘরে হন্তান্তর করে থাকেন।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com