পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা: রিমান্ডে সার্ভেয়ার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২১ । ২২:০৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২১ । ২২:০৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো

জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) শাখা থেকে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের অপচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীনের আদালত এ আদেশ দেন। সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতে নগরের কোর্ট বিল্ডিংয়ের হকার মার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত এলএ শাখার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিনকে সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সোমবার ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের অপচেষ্টায় জড়িত একটি চক্রের তিন সদস্যকে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তারা হলেন- উখিয়ার বাসিন্দা জোহুরা বেগম, তার বাবা ওসমাণ গণি ও বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিম। এ মামলায় গ্রেপ্তার জোহুরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও সহকারী কমিশনার মো. উমর ফারুক জানান, সম্প্রতি জোহুরা একটি রেজিস্টার্ড পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলমূলে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের আবেদন করেন। এ সময় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দাতাদের পরিচয় ও তার সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন।

জহুরা জানান, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতাদের তিনি চেনেন না। মূলত তার স্বামী পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল সম্পাদন করেছেন। তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, স্বামী প্রবাসী এবং দুমাস ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তার কথাবার্তা ও বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতাদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেন। পরে পাওয়ার অব এটর্নি দলিলে বর্ণিত ঠিকানায় আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের দুইজন লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা জানান, তারা জোহুরা নামের কাউকে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য কোনো প্রকার ক্ষমতা অর্পণ করেননি। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলে ব্যবহৃত দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও তাদের নয়। বিষয়টি জালিয়াতি বুঝতে পেরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, 'জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোহুরা বেগমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় চক্রের আরও দুই সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com