
ওমিক্রন: উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারত
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২১ । ১৮:৩২ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২১ । ১৯:০১
অনলাইন ডেস্ক

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গোটা ইউরোপ, ইংল্যান্ডসহ ১১টি দেশকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে ভারত, যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের নামটিও।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ওমিক্রন’কে করোনা ‘ভয়ঙ্কর ধরন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার পর ভারত সরকার
এই তালিকা তৈরি করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া উচ্চঝুুঁকির তালিকায় থাকা দেশগুলো হল- বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
‘ওমিক্রন’ সংক্রমণের পর ভারত বিমান চলাচল সীমিত করার পরিকল্পনা করছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উচ্চঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে যাত্রীরা ভারতে আসা মাত্র আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। ওই পরীক্ষার ফলাফল আসা পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হবে। ফলাফল ছাড়া তারা অন্য কানেক্টিং ফ্লাইটেও যাত্রীরা যেতে পারবেন না।
যাত্রীদের মধ্যে যারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হবেন, তাদের আইসোলেশনে যেতে হবে। তাদের কারও মধ্যে ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হলে, তাদের নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত আইসোলেশন সেন্টারে থাকতে হবে। যদি তারা অন্য কোনো ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হন, তবে তাদের ভারত ত্যাগের বিষয়টি নির্ভর করবে চিকিৎসকের মতামতের ওপর। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক তাদের ভারত ছাড়ার অনুমতিপত্র দিলেই কেবল তারা ভারত ত্যাগ করতে পারবেন।
জটিলতার শেষ এখানেই নয়। উচ্চ ঝুঁকির দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীরা করোনা নেগেটিভ হলেও তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। ভারতে আসার আট দিন পর তাদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সেই পরীক্ষায় যদি তারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন, তবে তাদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হেল্পলাইনে জানাতে হবে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভারতে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের ভ্রমণ ইতিহাস জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা এক ভারতীয় নাগরিকের নমুনায় ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ-ডোম্বিভ্যালি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। তিনি কোথা থেকে ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি কর্মকর্তারা।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com