
ধারাবাহিক: বাংলাদেশের একাত্তর
বাংলাদেশে পাকিস্তান
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২১ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আফসান চৌধুরী

পর্ব :৩
বাংলাদেশে পাকিস্তানের পরাজয় : পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, জনগণ এবং শাসকগোষ্ঠী কোনোদিনই ভাবেনি- পূর্ব পাকিস্তানে তাদের পরাজয় হবে। এই বিশ্বাস তাদের এত গভীর ছিল যে, যখন ১৬ ডিসেম্বর তারা জানতে পারে এখানে তারা সারেন্ডার করেছে, গোটা পাকিস্তানের মানুষের ওপরে একটা বিরাট ধাক্কা লাগে। সেই ধাক্কাটা তারা এখনও সামলে উঠতে পারেনি। কিন্তু সামলাবার চেষ্টা করেছে নানাভাবে, নানা পদ্ধতিতে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে এই পরাজয়ের জন্য বিভিন্ন লোককে তারা দোষারোপ করেছে, মিথ্যে কথা বলেছে এবং একই সঙ্গে আত্মসমালোচনাও করেছে কিছু কিছু।
সমালোচনার কাজটা তারা একাধিকভাবে করেছে। গোপনীয় বা অভ্যন্তরীণভাবে কী কী হয়েছে, সেটার কথা আমরা জানি না। আর যে দলিলের কেবল কিছুটা অংশ প্রকাশ করা হয়েছে সেটা হচ্ছে, এই হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট। এই রিপোর্টের মধ্যেও নানা ধরনের জটিলতা আছে। গোটা রিপোর্টটি কোনোদিন কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আমরা বস্তুতপক্ষে জানিও না, প্রকাশিত এই রিপোর্টটিও আসল হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট কিনা। এবং এই রিপোর্টটিও একাধিক সংস্করণে হয়েছে।
পাকিস্তানের যেটা আত্মা- সেই আত্মাটাই আঘাতপ্রাপ্ত হয় বাংলাদেশে তাদের এই পরাজয়ে। এই আত্মসমর্পণ তাদের পক্ষে কোনোদিনই গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। রিপোর্টে দেখা যায়, একাত্তরের এই ঘটনা ঘটানোর কারণ হিসেবে তারা বিভিন্ন রকম অজুহাত তৈরি করেছে। বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, সে অভিযোগের বিপরীতে পাকিস্তানিরা এটাকে দেখানোর চেষ্টা করছে বাঙালিদের কৃতকর্মে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। তারা যদিও বলছে, এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য না এবং একই সঙ্গে বলছে, এটা এই কারণে ঘটেছে। মনে রাখা দরকার, পাকিস্তান মূলত একটি সামরিক রাষ্ট্র। সামরিক বাহিনী সেখানে একবার ক্ষমতায় এসেছে এমন নয়। প্রথম এসেছে ১৯৫৮ সালে, তারপর ১৯৬৯ সালে এবং শেষ পর্যন্ত গিয়ে ১৯৭১ সালে। তাই এটাকে যদি একটি কাঠামোর ভেতর দিয়ে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের বেসামরিক শাসনব্যবস্থা কোনোদিনই এই অরাষ্ট্র পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার মতো ছিল না। তাকে টিকিয়ে রাখতে বারবার সামরিক শক্তি ক্ষমতা দখল করেছে।
পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তান যে কোনোদিনই একক রাষ্ট্র হতে পারেনি- তার প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তান গোড়া থেকেই ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন বা জাতীয় একত্রীকরণ নামে একটি অফিস সব সময় চালু রেখেছিল। এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর নেই যে, পাকিস্তান কোনোদিনই সংমিশ্রিত বা একত্রিত রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়ায়নি। আমরা যে ঐতিহাসিক সত্যটাকে বারবার অস্বীকার করি- তা হলো পাকিস্তান বস্তুতপক্ষে রাষ্ট্র ছিল না। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান ছিল দুটি আলাদা রাষ্ট্র। অতএব এই যে দ্বন্দ্ব, এ দ্বন্দ্ব দুটি আলাদা রাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। এমনকি ঐতিহাসিকভাবেই পাকিস্তান একটি অরাষ্ট্র এবং এর সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যে যুক্ত ছিল- এটি উপনিবেশ হিসেবে যুক্ত ছিল, রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে নয়। এবং পাকিস্তানের অনেক দলিলপত্র দেখলে এটা বোঝা যায়, তাদের পক্ষে ধারণা করা সম্ভব ছিল না যে কীভাবে এটাকে টিকিয়ে রাখবে? উল্টোদিকে পরবর্তীকালে পাকিস্তানি অনেক গবেষক বলেছেন যে, পূর্ব পাকিস্তানকে কোনোদিনই সামরিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব ছিল না। বর্তমানেও কিছু কিছু গবেষক এটা বলছেন। তাহলে এটা আরও বোঝা যায় যে, কেন পাকিস্তান একটি অরাষ্ট্র ছিল।
পাকিস্তান যে কতটা অরাষ্ট্র ছিল তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে, ১৯৭১ সালেও তারা ভাবছে যে, পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তা রয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে। এইরকম অদ্ভুত একটি ভাবনা তাদের থাকা সম্ভব ছিল, কারণ এই রাষ্ট্রের গঠনটি হয়েছে মূলত পশ্চিম পাকিস্তান ও তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই। পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তা সেখানে কোনোদিন ভাবনার বিষয় ছিল না কেন্দ্রীয় পাকিস্তানের কাছে। পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্ব সেই কেন্দ্রের কাছে একটি উপনিবেশ- সেই উপনিবেশ টিকে থাকল কি থাকল না, সেই চিন্তাটাও কোনোদিন পূর্ব পাকিস্তানের নিজের স্বার্থে ছিল না। বরং নিরাপত্তার চেয়ে ভারত কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের দখলটা যে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে অপমানের, সেটিই ছিল বড় বিষয়, পূর্ব পাকিস্তানের বাঁচা-মরা সেখানে বড় বিষয় ছিল না কখনোই। এবং হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্টেও যে বারবার বলছে পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার গ্যারান্টার হলো পশ্চিম পাকিস্তান- অর্থাৎ ধরেই নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রটা মোটামুটি পশ্চিম পাকিস্তানেরই। অতএব একাত্তরে যে সেনাবাহিনী এখানে ছিল, দখলদার হিসেবেই ছিল। রাষ্ট্ররক্ষার সৈনিক হিসেবে ছিল না।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তানিরা শুরু থেকে যে কাজটা করার চেষ্টা করেছিল, সেটা হলো কেন হেরে গেল তার কারণ অনুসন্ধান করা। এটা তারা জনগণকে জানানোর জন্যই করেছিল। হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্টেও দেখা যায় তারা পুরোপুরি দোষটা দিচ্ছে কয়েকজন লোককে। তবে মূল যে বিষয়টি এখানে স্থান পেয়েছে তা হলো কেন তারা পরাজিত হয়েছে।
একটা কারণ দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক। ১৯৫৮ সালে যখন সেনাবাহিনী অর্থাৎ আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে, তখন থেকেই বিপদটা শুরু হয়ে যায়। কারণ সেনাবাহিনী যে ক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে, সেটা তারা কোনোভাবেই রাখতে পারেনি। তারা রক্ষা করতে পারেনি দেশকে। এবং এই ক্ষমতা দখল করাটাও তাদের বিপক্ষেই গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীকেই প্রথম দোষটা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ১৯৬৯ সালে যখন ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় আসে, সে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত নিজের ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য, পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য নয়। এবং এর পরে তারা বলছে, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে- যার মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে অপমানজনক ঘটনাটি ঘটেছে। সেটি হলো ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করা। একই সঙ্গে উল্লেখ করছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য রয়েছে অর্থাৎ, ইয়াহিয়া খান, রহিম খান, আব্দুল হামিদ খান, নিয়াজি- এরা নৈতিকভাবে এবং আরও অন্যান্যভাবে যে অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবং তাদের সমস্ত রকম চারিত্রিক দোষ ছিল- পয়সা মারা থেকে আরম্ভ করে চুরি, বাটপাড়ি ও নারী লোলুপতা পর্যন্ত। অর্থাৎ রিপোর্টে তাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে যে, তাদের কারণে পাকিস্তানের এই পরিণতি।
অন্য যে কথাটি পাওয়া যায় তা হলো, তারা বলছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সমঝোতা করা গেলে পাকিস্তানের এই অবস্থা হতো না। কিন্তু ইয়াহিয়া খানের এতে কোনো আগ্রহ ছিল না। কারণ ইয়াহিয়া খান শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, সে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা দেবে না। যে কারণে রাজনৈতিক সমধানটা হয়নি। এবং পরবর্তী সময়েও যখন সুযোগ তৈরি হয়েছিল তখনও সেটা করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত, তার কোনোটাই নেওয়া হয়নি। তাই এই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
তৃতীয় বিষয়টি বলা হচ্ছে, সরাসরি যুদ্ধে কেন এবং কীভাবে তারা পরাজিত হলো। এখানে তারা নিয়াজির সমালোচনা করছে। এবং এই কমিশনের কাছে নিয়াজি সাক্ষ্য দিয়েছে। আরও অনেকেই দিয়েছে। সেখানে নিয়াজি নানাভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছে।
সরাসরি যুদ্ধে পাকিস্তানের যে রণনীতি ছিল, সেই রণনীতি নিয়ে এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে। জুলফিকার আলী ভুট্টোর যে ভাবনা ছিল, পশ্চিম পাকিস্তান হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের মূল গ্যারান্টি- এই কথাটা উঠে এসেছে রিপোর্টে। এবং এ দৃষ্টিকোণ থেকেই সেখানে বলা হচ্ছে, তাহলে কেন পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করা হলো না?
রাষ্ট্র হিসেবে যে পাকিস্তানের পরিপকস্ফতার সীমাবদ্ধতা- সেটাও এখানে লক্ষণীয়। কারণ পরিকল্পনাটা যদি পাকিস্তান করে থেকে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই তাতে সম্মতি দিয়েছে জেনারেল হেড কোয়ার্টার। আর পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করার যে পরিকল্পনাটা নিয়াজি করেছিল, সেটা ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতার বিপরীতে আবার জেনারেল হেড কোয়ার্টার অর্থাৎ ইয়াহিয়া খানকে দোষ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এই যুদ্ধে নিয়াজি আসলে কী ছিল, সে সম্পর্কেও এখানে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে। নিয়াজি কি থিয়েটার কমান্ডার ছিল? থিয়েটার কমান্ডার মানে কি এখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান, নাকি সে কেবল কর্পস কমান্ডার? এসব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এ থেকেও পাকিস্তান সোনাবাহিনী এবং রাষ্ট্র উভয়কে নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়। এ ছাড়া নিয়াজি সম্পর্কে আরও নানারকম কথা বলা হয়েছে- নারীলোলুপতা তো আছেই, পূর্ব পাকিস্তান থেকে পান রপ্তানি করতে গিয়ে চুরি করেছে এমন কথাও বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ এবং যুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত দোষত্রুটি নিয়ে জেনারেল নিয়াজিকে কমিশনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল। এবং অভিযোগের বিপরীতে তার দেওয়া বক্তব্য কমিশন আমলে নেয়নি বলে এই রিপোর্টের উপসংহারে উল্লেখ আছে।
সেনাবাহিনীর রণকৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিয়াজির পরিকল্পনা সম্পর্কে বলা হচ্ছে- নিয়াজির মূল পরিকল্পনা ছিল মোট ২৫টি দুর্গ থাকবে এবং ছয়টি স্ট্রং পয়েন্ট থাকবে। এই দুর্গ আর স্ট্রং পয়েন্টগুলোই রক্ষা করা হবে। অর্থাৎ এগুলোই পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করবে। সেজন্য তিনটি জিনিসের দরকার ছিল- একটা হচ্ছে এই দুর্গগুলো অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা ও যোগাযোগ, আরেকটি হচ্ছে এই দুর্গগুলো নিজে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং তৃতীয়ত, স্থানীয় জনগণ তাদের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোনো ক্ষেত্রেই এই তিনটির একটিও ছিল না। তার ফলে যা দাঁড়িয়েছে, তা হলো পাকিস্তানের এই দুর্গ পরিকল্পনা কাজ করেনি। শক্তি না থাকার পরেও এমন একটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল- যেটা অনেক বেশি সৈন্য থাকলে উপযুক্ত হতো। কিন্তু সেই পর্যাপ্ত সৈন্য ছিল না, তাই এটা ব্যর্থ হয়েছে। অন্য যে বিষয়টা বলা হয়েছে, জেনারেল নিয়াজির পরিকল্পনায় যেটা একেবারেই দুর্বলভাবে এসেছে- তা হলো ঢাকাকে রক্ষা করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল; কারণ গোটা পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করা তার পক্ষে সম্ভব হতো না। পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করা যদি সম্ভব না হয়ে থাকে, তাহলে বিচ্ছিন্নভাবে এত সৈন্যসামন্ত রাখারও দরকার ছিল না। ঢাকাটাকে রক্ষা করাই মূল বিষয় ছিল। কারণ শেষ দিকে ঢাকাটাকে যদি দুই সপ্তাহ রক্ষা করতে পারত পাকিস্তান- ততদিনে জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির একটা ব্যবস্থা তারা করে ফেলতে পারত। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই পূর্ব পাকিস্তান রক্ষা হয়ে যেত।
ভারতীয় বাহিনীও জানত যে, দুই সপ্তার আগেই তাকে যুদ্ধে জিততে হবে। এবং ভারতীয়রা ঠিক পাশ কাটিয়েই চলে গিয়েছিল। যার ফলে যুদ্ধ না করেই তারা ঢাকার কাছাকাছি চলে যাচ্ছিল। হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্টেও বলা হচ্ছে, এই যে দুর্গগুলো ছিল- এই দুর্গগুলো কিন্তু যুদ্ধ ছাড়াই খুব দ্রুত পতিত হয়ে গিয়েছিল। প্রথমেই তারা বলছে যশোরের কথা। যশোরের প্রধান ছিল সম্ভবত রহিম খান। যে কিনা পালিয়ে চলে আসে। যার ফলে সেই দুর্গের পতন হয়ে যায় এবং ভারতীয়রা দ্রুতই কাছে চলে আসতে থাকে। কার্যত এটা যুদ্ধ ছাড়াই ঘটে গিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল যে, মুক্তিবাহিনী চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, জনগণ তো এমনিতেই তাদের বিপক্ষে রয়েছে আর সৈন্যবাহিনীর তখন সেই সক্ষমতা নেই, যার মাধ্যমে ভারতীয়দের সঙ্গে লড়তে পারে। এতটা বিরাট অঞ্চলকে রক্ষা করতে না গিয়ে ঢাকাকে রক্ষা করা উচিত ছিল- এই কথাটা রিপোর্টে বারবার বলা হচ্ছে।
[ক্রমশ]
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com