
রাবনাবাদে সার্ভে ভ্যাসেলডুবি: ২৪ ঘণ্টায়ও শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২১ । ১২:৪৫ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২১ । ১২:৪৫
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ডুবে যাওয়া সার্ভে ভ্যাসেল
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের কাজে নিয়োজিত ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে ডুবে যাওয়া এক্সপ্রেস-৫৪ সার্ভে ভ্যাসেলটির উদ্ধারকাজ ২৪ ঘণ্টাতেও শুরু হয়নি। ডুবে যাওয়া ভ্যাসেলটিকে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ভ্যাসেলটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে রাবনাবাদ চ্যানেলের ৫ ও ৬ নম্বর বয়ার পায়রা বন্দরের ফেয়ার বয় থেকে আনুমানিক ৭ নটিক্যাল দূরত্বে রাবনাবাদ চ্যানেলের ইনার সাইটে ইঞ্জিন রুমের পাশ দিয়ে ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১২ জনকে নিয়ে ভেসেলটি ডুবে যায়।
প্রথমে চ্যানেলে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টারের নেতৃত্বে পৃথক দু'টি দল তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ১০ বিদেশি নাবিকসহ ১২ জনই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে ড্রেজিংকাজে নিয়োজিত জান ডি নুল কোম্পানির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরীফুর রহমান জানান, গত প্রায় এক বছ ধরে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল খনন কাজে নিয়োজিত রয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল। এ কোম্পানির সার্ভে ভ্যাসেল এক্সপ্রেস-৫৪ রোববার ভোরে প্রতিদিনের মতো চ্যানেলের সাগর মোহনার ৫ ও ৬ নম্বর বয়ার ( কেপি-৩৩ পয়েন্টে) সার্ভে কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ ৩৬ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ সার্ভে ভ্যাসেলটির পেছন দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ডুবে যায়। এসময় ভ্যাসেলে থাকা ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাবিক ও দুই বাংলাদেশি সার্ভেয়ার নদীতে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জেলেরা ভাসমান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার ও মেরিন কমোডোর মামুন অর-রশীদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকরা হলেন- ভ্যাসেলের মাস্টার আরহাম আব্দুল রহিম, চিফ অফিসার মোহাম্মদ রিজাল, সেকেন্ড অফিসার দারমাওয়ান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নূর, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ত্রিইয়ান্ত ওয়েলার-১রহমত ফাদিল্লা, ওয়েলার-২ মুহা. আগাম ফয়েজ জুলফা, এবি-১ আদি ক্রিস্টিয়ান, এবি-২ রুডি রহমান, কুকার জোজুয়া এ্যাঞ্জেল ব্রেট এবং বাংলাদেশি সার্ভেয়ার শহিদুজ্জামান ইমন ও সোহানুজ্জামান সুমন।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরীফুর রহমান জানান, ডুবে যাওয়া ভ্যাসেলটির উচ্চতা প্রায় ৫ মিটার। আর দুর্ঘটনাস্থলে পানির গভীরতা প্রায় ৯ মিটার রয়েছে। চ্যানেলে জাহাজ কিংবা ভ্যাসেল চলাচলে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় এজন্য তারা দ্রুত ডুবে যাওয়া ভ্যাসেলটি উদ্ধারের জন্য বেলজিয়ামের জান ডি নুল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশি ও সিঙ্গাপুরের উদ্ধারকারী কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করার আলোচনা চলছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পান্ন হলে উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com