
খাল খননে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ, নির্দেশনা মানা হয়নি দাবি সিডিএর
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২১ । ১৩:১৯ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২১ । ১৩:১৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো

হেলে পড়া ভবন
চট্টগ্রামে দুইটি ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়ছে। সোমবার রাতে নগরের মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড এলাকায় ভবন দুটি হেলে পড়ার বিষয়টি নজরে আসে। ভবন দুটির বাসিন্দাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করার সময় ভবন দুটি ও মন্দির হেলে পড়েছে। খাল খননে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে সিডিএ বলছে, এগুলো অবৈধ ভবন। নির্মাণের সময় সঠিকভাবে নির্দেশনা মানা হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্ট্যান্ডরোড পার্বতী ফকির পাড়া এলাকার গোলজার খালের পাড়ে ভবনগুলোর অবস্থান। হেলে পড়া তিনতলা ভবনটি গিয়ে পড়েছে একটি একতলা মন্দিরের ওপর। এর পাশে একটি দুইতলা ভবনও হেলে পড়েছে। ফাটল ধরেছে খালের পাশে থাকা বেশ কয়েকটি ঘরেও।
তিনতলা ভবনের মালিক স্বপন দাস। ভবনটিতে তারা তিন ভাই থাকেন। তিন-চার বছর আগে ভবনটি নির্মাণ করেছেন তারা।
স্বপন দাস বলেন, আমরা অনুমোদন নিয়েই ভবন নির্মাণ করেছি। খাল খনন করার আগে যে অংশ অবৈধ ছিল সেটা ভেঙে দিয়েছে সিডিএ। এরপরও খাল খননে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ায় এটি ভেঙে পড়েছে। এটি তারা বার বার বলার পরও কর্ণপাত করছে না।
সিডিএ-এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিন উল ইসলাম খান বলেন, এগুলো অবৈধ ভবন। নকশা অনুমোদনের সময় আমরা খাল থেকে ১২ ফুট দূরে ভবন নির্মাণের নির্দেশনা দিই। তা না মানায় ভবন ভেঙে পড়ছে। এরপরও যদি তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে, ভবন যদি বৈধ হয় আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। আমরা এখন সিটি কর্পোরেশনকে এ ব্যাপারে জানাব। ভবনগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন নেবে। আইন অনুয়ায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের দায়িত্ব তাদের।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী বলেন, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। খালের পাশে মাটি ধসে না পড়ার জন্য প্রায় ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত শিট ফাইলিং করেছি। মূলত ভবনগুলোর ভীত ঠিক না রাখায় ধসে পড়ছে।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন বলেন, সোমবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে খবর পেয়েছি। এরপর ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনগুলোর বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি। ভবনগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এগুলো আর কোনভাবে ব্যবহার উপযোগী নেই।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com