সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব

৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২১ । ১৬:০৭ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২১ । ১৩:৫৫

বিশেষ প্রতিনিধি

আশিকের আগের (বাঁয়ে) ও বর্তমান ছবি

জিজ্ঞাসাবাদে আশিক তরুণীকে ধর্ষণ ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আশিক আরও জানিয়েছে, তার চক্রে ৩০-৩৫ জন সদস্য রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে সে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, ডাকাতি, মাদক কারবার, বিভিন্ন হোটেল ম্যানেজারদের সঙ্গে যোগসাজশে পর্যটকদের ফাঁদে ফেলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

খন্দকার আল মঈন বলেন, 'হৃদরোগে আক্রান্ত আট মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে স্বামী-সন্তানসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যান ওই নারী। পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন গ্রেপ্তার আশিক ও তার সহযোগীরা। এ অর্থ না দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী।' 

তিনি জানান, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক (২৯) স্থানীয়ভাবে 'টর্নেডো' আশিক নামে পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনার পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ হওয়ায় আশিক দাড়ি-গোফ কেটে, ভ্রু প্লাক করে কক্সবাজার থেকে এসি বাসে প্রথমে ঢাকায় আসে। পরে আরেকটি বাসে মাদারীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। সেখান থেকে কুয়াকাটায় গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল তার। তবে কুয়াকাটা যাওয়ার চেষ্টাকালে রোববার রাতে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আশিককে ধর্ষণ মামলার তদন্ত সংস্থা কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com