
নারীর ফাঁদে ফেলে টাকা আদায়, গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২২ । ২০:২৯ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২২ । ২০:৪৩
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নারীর প্রলোভন দেখিয়ে ফেলা হতো ফাঁদে। নারীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলা হতো। ওই নারী প্রতারক চক্রেরই সদস্য। এরপর ওই নারী ও ভুক্তভোগী পুরুষকে নেওয়া হতো চক্রের সুবিধামতো স্থানে। তারা সেখানে গেলে হাজির হতো চক্রের অন্য সদস্যরা।
নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ওই নারীর আপত্তিকর ছবি তুলত ও ভিডিওধারণ করত তারা। ওই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিত। পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে আবারও আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা।
কুমিল্লায় এমন এক প্রতারক চক্রের তিন নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার গভীর রাতে র্যাবের একটি দল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এছাড়া পৃথক অভিযানে চাঁদপুর থেকে ওমর শরীফ ওরফে সোহেল নামে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার এবং সোহরাব হোসেন বিপ্লব নামে জড়িত একজনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, একটি প্রতারক চক্র র্যাব পরিচয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে- এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে মাঠে নামে র্যাব।
সোমবার রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন, দিশাবন্দ এলাকার সাহেব আলীর ছেলে জুম্মন মিয়া, চান্দিনা উপজেলার অম্বলপুর গ্রামের মৃত আলী আজগরের মেয়ে জ্যোসনা আক্তার, আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইউড়া গ্রামের মুছা মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার ও তার ছোট বোন মিন্নি আক্তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে র্যাবের একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, জুম্মন মিয়া পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতো। পরে টার্গেট ব্যক্তিকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলত।
এদিকে শুক্রবার ১৭ লাখ টাকাসহ ব্যবসায়ী কাজী ওমর শরীফ ওরফে সোহেলকে নগরীর রেইসকোর্স এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় তারই বন্ধু সোহরাব হোসেন বিপ্লব। সেখানে সোহেলকে অচেতন করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিয়ে যায় সে; হাতিয়ে নেয় সোহেলের কাছে থাকা টাকা। সোহেল কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার কাজী আবদুর রকিবের ছেলে। সোহরাব চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার লাউকরা গ্রামের মৃত শফিউল্লার ছেলে।
প্রেস বিফিংয়ে র্যাব জানায়, সোহেলের পরিবারের থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার গভীর রাতে র্যাব কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকায় পৃথক অভিযান চালায়। এ সময় সোহরাবকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে হাজীগঞ্জ থেকে সোহেলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব।
মেজর সাকিব হোসেন জানান, পৃথক দুটি ঘটনায় সংশ্নিষ্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২২
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com