
চবি ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২২ । ১৫:০৯ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২২ । ১৫:০৯
চবি প্রতিনিধি

ছবি: সমকাল
পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সংঘাত বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে মূল ফটকে আটকে দেয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবি করা ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর জেরে গত কয়েকদিন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখনও ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়ের’ এক নেতার জন্মদিনে অনুষ্ঠানে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে ‘সিএফসির’ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে মঙ্গলবার সারাদিন বিজয়ের নেতা-কর্মীরা হলে ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন। অন্যদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলের সামনে। হঠাৎ করে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। পরে দুই পক্ষেই রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে দুই হলের সামনে অবস্থান নিয়ে ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে সিএফসির অন্তত ৭ কর্মী ও বিজয়ের ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, বিজয়ের সামদানি রহমান জিকু, ইমরান ও ফয়সাল আহমেদ এবং সিএফসির আপন ইসলাম মেঘ, শান্ত আহমেদ, কোফিল উদ্দিন, নিষাদ,স্বদেশ ও নাসিরউদ্দিন। এদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। চারজন চিকিৎসা নেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা বিজয়ের নেতা মো. ইলিয়াস সমকালকে বলেন, সভাপতি-সেক্রেটারি মূলত পূর্ণাঙ্গ কমিটি বানচালের জন্যই এই সব সংঘর্ষ ঘটাচ্ছেন। রাত ১২টার দিকে বিনা উষ্কানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করেছেন।
অন্যদিকে সিএসসির নেতা সুমন নাসির সমকালকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা ‘স্লেজিং’ করছেন। এ কারণে তারা ‘রিপ্লাই’ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখন ছাত্রলীগের প্রাণের দাবি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি দেওয়ার। কমিটি বানচালের কথা ভিত্তিহীন।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি ঝামেলা এড়াতে সতর্ক রয়েছে।
২০১৯ সালের ১৫ জুলাই শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছয় মসের মধ্যে কমিটি পূণাঙ্গ করার নির্দেশনা থাকলেও দুই বছর পার হলেও তা হয়নি। এটি নিয়েই মূলত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শাখা ছাত্রলীগের এগারটি পক্ষে ভাগ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে। একদিকে সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। অন্যদিকে রয়েছে বাকি পক্ষগুলো।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com