
কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিমের পরিবারে ক্ষোভ-হতাশা
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২২ । ২২:১০ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২২ । ২২:১০
খুলনা ব্যুরো

ড. মো. সেলিম হোসেন - ফাইল
'মানসিক নিপীড়নে' মৃত্যু হওয়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের পরিবারে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য 'দায়ী'দের বিরুদ্ধে পরিবার মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
ড. সেলিমের স্ত্রী কুয়েটে চাকরির জন্য আবেদন করলেও তা ঝুলে আছে। এ ছাড়া এখনও কুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওনা টাকা পায়নি ড. সেলিমের পরিবার। এসব নিয়েই ক্ষোভ-হতাশা তাদের।
ড. সেলিমের বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা ও ভগ্নিপতি মো. আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা মামলার জন্য খানজাহান আলী থানায় যান। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর ওসি থানায় আসেন এবং কাগজপত্রে লেখায় কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে জানান। পরে তা সংশোধন করে বিকেলে তারা থানায় যান। তখন ওসি মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর পর তারা লিখিত অভিযোগ রিসিভ করে রাখার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ রিসিভ করে কোনো কপি তাদের দেয়নি। পরে তারা মামলার এজাহার থানায় রেখে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
ড. সেলিমের মৃত্যুর ৫৬ দিন পর কেন মামলার উদ্যোগ- এমন প্রশ্নে তার বাবা বলেন, সেলিমের মৃত্যু কীভাবে এবং কেন হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে তাদের সময় লেগেছে। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ ছিলেন। সে কারণে মামলা করতে যেতে দেরি হয়েছে। মামলার আবেদনে তিনি কুয়েটের ৪৪ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস সমকালকে বলেন, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ড. সেলিমের বাবার লিখিত অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তাতে বেশ কয়েকজন ছাত্রের নাম রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ড. সেলিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।
ড. সেলিমের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি তার যোগ্যতা অনুযায়ী কুয়েটে একটা চাকরির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আশ্বাস দিলেও এখনও চাকরি মেলেনি। যদি চাকরি না হয় তাহলে তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকার (৬) লেখাপড়া ও সংসার কীভাবে চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ ছাড়া কুয়েট কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। তার স্বামীর পাওনা টাকা এখনও পাননি।
এ ব্যাপারে কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র রবিউল ইসলাম সোহাগ বলেন, ড. সেলিমের স্ত্রীর চাকরির আবেদন কুয়েট কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। তার পাওনা পরিশোধের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com