
আসামি ধরতে গিয়ে মুসল্লির সঙ্গে র্যাবের হাতাহাতি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২২ । ২২:৩৭ | আপডেট: ১১ মার্চ ২২ । ২২:৪৯
পাবনা অফিস

পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থানীয়দের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে র্যাব সদস্যদের। তারা সাদা পোশাকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ূলিয়ায় আসামি ধরতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গ্রামের জফিরপাড়া জামে মসজিদের সামনের এই ঘটনায় র্যাব সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, স্থানীয় মাদ্রাসা হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে জফির প্রামাণিকের ছেলে সন্টু প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাইদের বিরোধ চলছে। হাটের ইজারা পান ফারুক-কামাল-জিহাদ প্রামাণিকরা। পরে একই হাট পার্শ্ববর্তী আলহাজ মোড়কে কাঁচাবাজার উল্লেখ করে ইজারা নেন সন্টু প্রামাণিক। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এক পর্যায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্টু লোকজন নিয়ে কাঁচাবাজারে গেলে তার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে ২৮ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেটি থানা পুলিশই তদন্ত করছে। এ মামলায় র ্যাব সদস্যদের অভিযানে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। অভিযানের বিষয়টিও আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকায় র ্যাবের একটি পিস্তল খোয়া গেলে সেটি খুঁজতে যাওয়ার কথা শুনেছি। স্থানীয়দের মাধ্যমে অস্ত্রটি উদ্ধার হলে র ্যাব সদস্যরা ফিরে যান।
এ বিষয়ে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) কিশোর রায় বলেন, একটি মামলার আসামি ধরতে সেখানে র ্যাব সদস্যরা গিয়েছিলেন। পরে যা ঘটেছে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলেই ভালো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
থানা পুলিশ যে মামলা তদন্ত করছে, সে মামলার আসামি ধরতে আপনারা কেন গিয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাদী আমাদের বলার কারণে র্যাব সদস্যরা সেখানে যান।'
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com