শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বেত্রাঘাত শিশু শিক্ষার্থীকে

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২২ । ২২:৫৭ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২২ । ২২:৫৭

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে শিশু শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত সাঈদ ইসলাম নীরব (১৩) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী আফতাব উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নীরবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রতন আলী খানের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে প্রধান শিক্ষক এমন কাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও অন্যান্য শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

আহত ছাত্রের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ সোমবার দুপুরে স্কুল চলাকালীন ওই ছাত্র নতুন স্কুল ভবনের সামনে অসাবধানতা সাইকেল নিয়ে জানালার ওপর পড়ে গেলে কাচ ভেঙে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে অভিভাবক নিয়ে স্কুলে আসতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিভাবক স্কুলে না আসায় গতকাল শিশু দিবসের রচনা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ওই ছাত্রকে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়।


স্কুলছাত্র নীরব জানায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর খাতায় দাগ টেনেছি মাত্র। হঠাৎ পেছন থেকে হেড স্যার জোড়া বেত দিয়ে আমাকে অনেকক্ষণ ধরে পেটান। স্যারের সঙ্গে কথা বলতে আমার মা আজই আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। স্যারকে কথাটা বলার পরও তিনি আমার কথা শোনেননি।


আহত ছাত্রের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক ফোনে আমাকে স্কুলে আসতে বলেছিলেন। আমি আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই তিনি আমার ছেলেকে অহেতুক পিটিয়ে আহত করেছেন। তিনি সম্পর্কে আমার আত্মীয়। নইলে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম।


বেত্রাঘাত করার অভিযোগ স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রতন আলী খান বলেন, রাগের বশে এমনটা হয়ে গেছে। আসলে আমার ভুল হয়েছে।


মহম্মদপুরের ইউএনও রামানন্দ পাল বলেন, আমি ফেসবুকে ঘটনাটি দেখেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। ওই পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করব। দোষী হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com