‘পিপলস লিজিংয়ে টাকা রেখে না পাওয়ায় দুইবার স্ট্রোক করেছে আমার ছেলে'

প্রকাশ: ২২ মে ২২ । ২০:৫৫ | আপডেট: ২২ মে ২২ । ২০:৫৬

সমকাল প্রতিবেদক

টাকা বাড়বে সেই আশায় রাজধানীর মিরপুরের জমি ও বাড়ি বিক্রি করা ৪৫ লাখ টাকা ২০১৯ সালে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে রেখেছিলেন সালাহউদ্দিন সিকদার। কয়েক মাস পরই প্রতিষ্ঠানটির অবসায়নের ঘোষণা আসে। বর্তমানে এটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও কোনো টাকা ফেরত পাননি। দুশ্চিন্তায় দুইবার স্ট্রোক করেছেন সালাহউদ্দিন সিকদার।

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে যোগ দিতে আসেন তিনি। অসুস্থ থাকায় সালাহউদ্দিন সিকদারের সঙ্গে আসেন তার মা মমতাজ বেগম।

মমতাজ বেগম বলেন, ‘পিপলস লিজিংয়ে টাকা রেখে না পাওয়ায় দুইবার স্ট্রোক করেছে আমার ছেলে। এখন আমরা খুব কষ্টে চলছি। বসুন্ধরায় ছোট একটা ভাড়া বাসায় থাকি। ছেলেটা স্ট্রোক করল, টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও করাতে পারছি না।’

প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীর পক্ষে প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আমানতকারীদের কাউন্সিল। সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন এই বিনিয়োগকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আমানতকারী টাকা ফেরত পাওয়ার অনিশ্চয়তায় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। ২০১৯ সালের ১ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের অফিসে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে সেই অফিসেই আনোয়ার হাসান মারা যান বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী সামরিন হাসান। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর প্রায় ৫০ লাখ টাকা ছিল পিপলস লিজিংয়ে। কোম্পানি চলমান অবস্থায় তিনি টাকা তুলতে যান পিপলস লিজিংয়ের অফিসে। কী হয়েছে জানি না, সেখানেই আমার স্বামী মারা যান। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা দেয়নি।’

সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন থেকে দুটি দাবি জানানো হয়। একটি হলো, পিপলস লিজিংয়ে আমানতের অর্থ ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা। দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত পি কে হালদার ও দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমানতকারীদের অর্থ লুটকারীরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, তাদের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্ধ করা এবং তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com