লাইভে এসে জায়েদ খান-মৌসুমীকে নিয়ে যা বললেন ওমর সানী

প্রকাশ: ১৩ জুন ২২ । ১৫:৪৪ | আপডেট: ১৩ জুন ২২ । ১৭:১৫

বিনোদন ডেস্ক

ছবি ফেসবুক লাইভ থেকে নেওয়া

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতিতে যে অভিযোগ করেছেন তাতে এখনও অটল থাকার কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।

সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ফেসবুক লাইভে তিনি এ কথা বলেন।

যদিও একই দিন চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে ভালো ছেলে বলে মন্তব্য করেছেন ওমর সানীর স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমী। তিনি এক অডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

অডিও বার্তাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর লাইভে এসে নানা বিষয়ে কথা বলেন তার স্বামী।

লাইভ শুরুর প্রথম দিকে অনেকক্ষণ চুপ থাকেন দুই সন্তানের বাবা চিত্রনায়ক ওমর সানী।  এর পর সবাইকে সালাম দিয়ে শুরু করেন কথা বলা।

এ চলচ্চিত্র অভিনেতা বলেন, নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আপনারা বুঝতেই পারছেন একটি বিশেষ কারণে আমি লাইভে আসছি। কারণটি হচ্ছে, দেখুন আমার ৩১/৩২ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে আজ অব্দি কেউ আঙুল দিতে পারবে না। বিশেষ করে আমার স্ত্রীকে আমি বিয়ে করেছি ২৭ বছর। আমার ফুটফুটে দুটি ছেলে মেয়ে আছে। ফারদিন এবং ফাইজা। আমার ছেলে আলহামদুলিল্লাহ বিয়েও করেছে।

‘আমি গতকাল একটি এপ্লাই করেছিলাম শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। আমি কিন্তু সেটিতে এখনও অটল’, লাইভে বলেন ওমর সানী।

লাইভে আসার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার বাংলা চলচ্চিত্রে কিছু নেই। আমি কোনো বিষয়ে ওই ইউটিউব চ্যানেলে আমি আসতে আগ্রহী নই। ক্যামেরার সামনে আসব তাই আমি ফেসবুকটাকেই বেছে নিয়েছি। 

এর ওমর সানী বলেন, তার বিষয়ে আমি যেগুলো বলেছিলাম এগুলো একদমই সত্য কথা। বিশেষ করে তার গাড়ির বিষয়ে আমার আর আমার ছেলে ফারদিনের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ এভিডেন্স (প্রমাণ) আছে। 

এরপর লাইভে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। তিন বলেন, মৌসুমীর সম্পর্কে যদি বলি—  সে আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানের মা, সে একজন গর্জিয়াস মা। আমি তাকে অসম্মান করে একটি কথাও বলব না।

‘কী ভেবে সে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে … শোনেন, ওনার সম্পর্কে বাংলা চলচ্চিত্র জানে, বর্তমান ক্যাবিনেট জানে, প্রযোজক সমিতির ক্যাবিনেট জানে এবং পরিচালক সমিতির ক্যাবিনেট জানে, দর্শক জানে; সবাই জানে। আমি এ ব্যাপারে কথা বলব না।’

তিনি আরও বলেন, সামনে আমার অভিভাবক হিসেবে আমার ছেলে ফারদিন এবং ফাইজা তারা অবশ্যই আপনাদের ক্লিয়ার করবে। আমি আমার গার্ডিয়ান হিসেবে ফারদিনকে মেনে নিলাম। আমার ফ্যামিলির ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমার স্ত্রীর ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত। আমার ছেলে মেয়ের ইজ্জত মানে আমার ইজ্জত।  আমি চাই না এ ২৭ বছরে এসে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি ফ্যামিলির মধ্যে হোক। কিন্তু বাইরের মানুষ এসে যেভাবে ভাঙার চেষ্টা করছে আপনারা নিজেরাই জানেন—সে কে। আমি তার সম্পর্কে আর কিছুই বলব না।

এদিকে রোববার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর অভিযোগ করেছিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। সেখানে অভিযোগের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান এ চিত্রনায়ক।

এর আগে শুক্রবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে সম্পন্ন হয় প্রযোজক ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বড় ছেলের। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। 

বিয়েতে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, আমরা যতটুকু জানি মৌসুমীর সঙ্গে নাকি জায়েদ খান খারাপ আচরণ করেছেন। এটি নিয়ে জায়েদের ওপর মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী ভীষণ বিরক্ত হন। এ বিষয়ে ডিপজলের কাছে বিচারও চান ওমর সানী। ডিপজল উভয়কে ঠাণ্ডা থাকতে বলে দেন। উভয়কে উভয়ের থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দেন। 

তবে ঘটনা সেখানে থেমে থাকেনি। ডিপজলের ওই সমাধান ওমর সানীর ভালো লাগেনি। মেনেও নেননি। তাই জায়েদ খানকে ডিপজলের ছেলের বিয়েতে পেয়েই চড় মেরে বসেন এবং বলেন, তোরে (জায়েদ) না নিষেধ করছি, আমার বউরে বিরক্ত না করতে। কোনো ফাজলামি করবি না। অসম্মান করে কথা বলবি না।

ওমর সানীর চড় ও এমন সব কথা শুনে জায়েদ খান কোমর থেকে পিস্তল বের করে বলেন, ‘গুলি করে দেব।’ 

তবে জায়েদ খানের দাবি, এটি মিথ্যা খবর। এমন কোনো ঘটনাই বিয়েতে ঘটেনি। আমি পিস্তল নিয়ে যাইনি। ওই এলাকায় পিস্তল নিয়ে যাওয়াও যায় না। আর ওমর সানীর চড় মারার তো প্রশ্নই আসে না।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com