দুই মাস পর রহস্য উন্মোচন

স্ত্রীকে বাসায় খুন করে অফিসের সেপটিক ট্যাংকে গুম করে স্বামী

প্রকাশ: ১৩ জুন ২২ । ১৯:২৫ | আপডেট: ১৩ জুন ২২ । ১৯:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো

দুই মাস আগে চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ হাউজিংয়ের একটি বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ গলে যাওয়ার তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি তখন তারা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ভবনে অবস্থিত একটি অফিসের ক্লিনার তার স্ত্রীকে বাসায় হত্যা করে লাশ এনে অফিসের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। পরে সোমবার নগরের খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শওকত আলী (৬৫) খুলশী থানার ওয়ার্লেস কলোনীর ৪ নম্বর লেইনের মৃত মকবুল মিয়ার ছেলে। তিনি এমজিএইচ গ্রুপের নাসিরাবাদ কার্যালয়ের ক্লিনার। 

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক দশকের বেশি সময় আগে ভাসমান নারী লিপি আক্তারকে বিয়ে করেন শওকত আলী। লিপি ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০১৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তিন-চার বছর ধরে তারা আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পারিবারিক কলহের জেরে গত বছরের ১১ নভেম্বর লিপি আক্তারকে তার ভাড়া বাসায় শ্বাসরোধে হত্যা করে শওকত। এরপর কৌশলে সিএনজি অটোরিকশায় করে নাসিরাবাদে তার কর্মস্থলে নিয়ে আসে। সেখানে সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। গত ৪ এপ্রিল ট্যাংক পরিষ্কার করতে এসে নারীর গলিত মরদেহ পায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। 

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার আলী হোসাইন সমকালকে বলেন, ‘মাত্র ১৪দিন আগে হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত ভার পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ওই ভবনে অবস্থিত এমজিএইচ গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নজরদারি শুরু করা হয়। একপর্যায়ে ওই ঘটনায় জড়িত প্রতিষ্ঠানটির ক্লিনার শওকত আলীকে শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তবে ওই নারীর নাম বলতে পারলেও তার কোন ঠিকানা বলতে পারেনি সে। কারণ ওই নারী ভাসমান ছিলেন।’

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com