
বাহারি নামের কোরবানির পশু
দাদারাজ ২৫ যুবরাজ ১০ ও বাদশার দাম ১৬ লাখ টাকা
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ০২ জুলাই ২২ । ১১:৩৯ | প্রিন্ট সংস্করণ
সমকাল ডেস্ক

কোরবানী উপলক্ষ্যে শলৈকুপার দাদারাজরে দাম ২৫ লাখ টাকা, ওজন ৪০ মণ
জাতে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান। খামারে বেড়ে ওঠা এদের। উচ্চতা, সৌন্দর্য আর আকৃতিতে বিশাল। এ বিশালতাকে কেন্দ্র করেই এদের নিয়ে খামারিদের স্বপ্ন। সামনে কোরবানির ঈদ। সেই ঈদকে কেন্দ্র করে খামারে বেড়ে ওঠা এ ষাঁড়গুলো বিক্রি হবে উঁচু দরে। তাই খামারিরা দামও হাঁকছেন বেশ জোরেশোরে। ঝিনাইদহের শৈলকুপার 'দাদারাজে'র দাম চাওয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। ১৬ লাখ টাকা হলে কিনতে পাওয়া যাবে পাবনার 'বাদশা'কে। আর বগুড়ার এক খামারি দুই ষাঁড়ের মূল্য চাইছেন ২১ লাখ টাকা।
শৈলকূপার 'দাদারাজে'র ওজন ৪০ মণ। এ ঈদে এটাই ওই এলাকার সবচেয়ে বড় গরু। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুর মালিক শৈলকুপার ভগবান নগর গ্রামের ব্রাদার্স এগ্রো ফার্মের মালিক ফিরোজ আহম্মেদ। সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, একটা গাভী দিয়ে তার খামারের পথচলা শুরু। সাড়ে তিন বছর আগে খামারেই ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুর জন্ম। কোরবানিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি এর পরিচর্যা করে আসছেন। তিনি বলেন, সরকারি চিকিৎসকের পরামর্শে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি মোটাতাজাকরণ হয়েছে। তিনি জানান, ষাঁড়ের দাম ২৫ লাখ টাকা চাচ্ছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১৪-১৫ লাখ দাম উঠেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, শৈলকুপায় এবার ৩৬ হাজার গবাদি পশু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মোটাতাজাকরণ হয়েছে।
পাবনার খামারি ফিরোজ শেখের সাদাকালো ডোরাকাটা ষাঁড় 'বাদশা'র ওজন ৩১ মণ। ২০১৫ সালে ফিরোজ অনেকটা শখের বসেই শুরু করেছিলেন গরুর খামার। দুটি গরু দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার খামারে গরুর সংখ্যা ১৫। ফিরোজ জানান, চার বছর আগে খামারেই বাদশার জন্ম। অন্য গরুর চেয়ে দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় এর লালন-পালনে নেওয়া হয় বাড়তি যত্ন। গত বছর হাটে তোলা হলেও করোনা মহামারির কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে ফেরত নিয়ে যান বাদশাকে। এ ঈদে ১৬ লাখ দাম চাওয়া হলেও ১৪-১৫ লাখে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ফিরোজ।
বগুড়ার শিবগঞ্জের ফ্রিজিয়ান জাতের দুই ষাঁড়ের ওজন যথাক্রমে প্রায় ২৮ ও ২৯ মণ। ষাঁড় দুটির মালিক শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামের ট্রাকচালক আব্দুল করিম। শখ করে ষাঁড়ের নাম রেখেছেন যুবরাজ। তিনি একটি ঝুপড়ি ঘরে চার বছর আগে এদের লালন-পালন শুরু করেন। তিনি বলেন, এ ষাঁড় দুটি প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার দানাদার খাবার খায়; পাশাপাশি ঘাসও খায়। আব্দুল করিম জানান, ঈদে দুটি ষাঁড় তিনি ১১ লাখ ও ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান বলেন, উপজেলায় এ দুটি গরু সবচেয়ে বড়। খামারি আব্দুল করিমকে সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) থেকে তাজনুর রহমান, পাবনা থেকে এবিএম ফজলুর রহমান ও বগুড়া থেকে এসএম কাওসার)
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com