প্রয়াণ দিবস

গানে কথায় রবীন্দ্রবন্দনা

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২২ । ০২:৪২ | প্রিন্ট সংস্করণ

সমকাল প্রতিবেদক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ছায়ানটে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা - সমকাল

শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ূক ঝরে/তোমারি সুরটি আমার মুখের 'পরে, বুকের 'পরে- সম্মিলিত কণ্ঠে শিল্পীরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটি যখন ধরলেন, তখন চারপাশে সৃষ্টি হলো অলৌকিক এক আবহ। অন্যরকম এক মায়াজাল। এভাবেই ৮২তম প্রয়াণ দিবসে গতকাল শনিবার ছায়ানট মিলনায়তনে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়। ছায়ানটই নয়, অন্য অনেক সংগঠন এদিন কথা ও সুরে কবিগুরুকে স্মরণ করেছে।

সম্মিলিত সংগীতের মাধ্যমে ছায়ানটের অনুষ্ঠান শুরু হলেও পরে একক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। সেমন্তী মঞ্জুরী গেয়ে শোনান- 'সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর' ও 'যেতে দাও যেতে দাও গেল যারা'। এটিএম জাহাঙ্গীর শোনান 'সঘন গহন রাত্রি' ও 'কোলাহল তো বারণ হলো' শীর্ষক সংগীত। সত্যম কুমার দেবনাথ গেয়েছেন 'আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি' ও 'যাওয়া-আসারই এই কি খেলা'।

পাঠ পর্বে সুমনা বিশ্বাস উপস্থাপন করেন 'মেঘলা দিনে' শীর্ষক পরিবেশনা। ফারজানা আক্তার পপি পরিবেশন করেন 'আজি তোমায় আবার চাই শুনাবারে' শীর্ষক সংগীত। মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য গেয়েছেন 'আমারে করো জীবনদান' ও 'আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে'। সেঁজুতি বড়ুয়া শোনান- 'যদি হল যাবার ক্ষণ' ও 'যে রাতে মোর দুয়ারগুলি'। আবদুল ওয়াদুদের গাওয়া গানের শিরোনাম ছিল- 'ওই মরণের সাগরপারে' ও 'এসো গো, জ্বেলে দিয়ে যাও প্রদীপখানি'। 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর' শীর্ষক আবৃত্তি উপস্থাপন করেন জহিরুল হক খান। লাইসা আহমদ লিসা গেয়েছেন 'শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ণ সন্ধ্যায়' এবং তোমায় নতুন করে পাব ব'লে। সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় 'কোন পুরাতন প্রেমের টানে'। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

শিল্পকলা একাডেমির স্মরণ: কবির প্রয়াণ দিবসে 'শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি :রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। গানের সুরে, কবিতার শিল্পিত উচ্চারণ ও নাচের নান্দনিকতায় সাজানো ছিল অনুষ্ঠান। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় 'ঐ মহামানব' শীর্ষক নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় পরিবেশনাটির নির্দেশনায় ছিলেন জয়দীপ পালিত।

'বড় বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে' শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করেন সালমা আকবর। একক কণ্ঠের পরিবেশনায় প্রত্যেক শিল্পী গেয়েছেন একাধিক গান। রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুশিল্পী মাহদিয়া রহমান মারিশা গেয়েছেন 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে'। মামুন জাহিদ খান শুনিয়েছেন 'সার্থক জনম আমার'। শাহানাজ নাসরিন গেয়েছেন 'ও আমার দেশের মাটি'। কামাল আহমেদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় 'দিন শেষে ঘুমের দেশে'। অণিমা রায় শুনিয়েছেন 'এই কথাটি মনে রেখো'। সোহাইলা আফসানা ইকো গেয়েছেন 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে'। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন সাজেদ আকবর, জয়িতা, ইউসুফ আহমেদ খান, তরিকুল ইসলাম মৃধা ও রিদওয়ানা আফরীন। মাঝে 'বিপুল তরঙ্গ রে' গানের সুরে পরিবেশিত হয়েছে সমবেত নৃত্য।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com