চবিতে অর্থ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস: সেই মানিক সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২২ । ১৯:২৬ | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২২ । ১৯:২৮

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৮ লাখ টাকা আত্নসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাশকে অফিসার সেলের গ্রন্থাকার সহকারীর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে চবি প্রশাসন।

রোববার সহকারী রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বরখাস্ত আদেশ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল থেকে পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত মানিককে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বরখাস্ত থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি প্রাপ্ত হবেন তিনি।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, মানিক চন্দ্রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বাদী হয়ে মানিকের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ক্ষুণ্ণ করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান চবি উপাচার্য ড. শিরীন আখতার।

শিরীন আখতার বলেন, এই ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। পুলিশ বলেছে মামলা করতে হলে ভুক্তভোগীকেও লাগবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হয়ে এ ধরনের কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই প্রশাসন নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।

গত শনিবার টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বেশ কিছু অডিও ফাঁস হয়। চবি অফিসার সেলের গ্রন্থাকার সহকারী মানিক চন্দ্র ও তার স্ত্রী নিপা রানির বিরম্নদ্ধে এই অভিযোগ করেন মাদারীপুরের তিন চাকরী প্রার্থী। মানিক চন্দ্রের স্ত্রী নিপা রানির মাধ্যমে তাদের পরিচয়।

জানা যায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের তিনজনকে চাকরির প্রস্তাব দেন মানিক ও তার স্ত্রী। প্রথমে এক লাখ টাকা চাইলেও পরে বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছ থেকে আট লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মানিক। এ ঘটনায় এখনো ভুক্তভোগী মাকসুদুল সালেহীন, রাকিব ফরাজী ও সোহেল খান কোনো মামলা করেননি।

এ ঘটনায় শনিবার আমানত হলের প্রাধ্যক্ষ নির্মল কুমার সাহাকে আহবায়ক চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরো রয়েছেন সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীর, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রশীদুল হায়দার জাবেদ ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিম। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রথম কর্মদিবস শেষে তদন্ত কমিটির আহবায়ক নির্মল কুমার সাহা সমকালকে বলেন, আজ আমরা মানিক চন্দ্রকে তার বক্তব্য জানানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। ভুক্তভোগীদের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com