
সাক্ষাৎকার
সেদিন আমরা কেঁদেছিলাম, খুশি হয়েছিল আ'লীগ: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২২ । ০২:৩৫ | প্রিন্ট সংস্করণ
--

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি। তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামের রাউজানে। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়াকালে চূড়ান্ত পরীক্ষা না দিয়ে ভারতে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহাম্মদ
সমকাল :বাকশাল সমর্থন না করেও বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছিলেন। আপনার সাক্ষাৎকারে পড়েছি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আপনাকে পাশে চেয়েছিলেন।
জাফরুল্লাহ :এটাই বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা। সমর্থক নয়, এমন ব্যক্তিদেরও পাশে রাখতে চাইতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ দেখা হয়। তখন সাভারে থাকি। গণস্বাস্থ্য করছি। আগের দিন পুলিশ খবর দিল, রাষ্ট্রপতি ডেকেছেন। ১৩ আগস্ট গেলাম। বিলেত ফেরত ডাক্তার ছিলাম।
বঙ্গবন্ধু কখনও আপনি ডাকতেন। আবার যখন মনে পড়ত- আরে, একে তো আমি ছোট থেকে চিনি; তখন তুই-তুমি ডাকতেন। ১৩ আগস্ট সকাল ১০টায় এখনকার গণভবনে বঙ্গবন্ধুর অফিসে যাই। দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিলাম। চার ঘণ্টায় দু'বার চা খাওয়ান। বঙ্গবন্ধুর পছন্দের লাঠি বিস্কুট খাওয়ান। বঙ্গবন্ধু শুরুতেই বললেন, 'ডাক্তার, আমার সাথে যোগ দিতে হবে।'
বললাম, 'আপনার সাথেই আছি।
বঙ্গবন্ধু বললেন, 'এখন থেকে আপনার দল করব।'
বঙ্গবন্ধুকে বললাম, 'আমি তো কমিউনিস্ট হইতে চাইছিলাম। পারি নাই। এটা বড় শক্ত কাজ।'
বঙ্গবন্ধু বললেন, 'ওইটাই পথ।'
আমি বললাম, 'আমি তো রাজনীতি করি না।'
বঙ্গবন্ধু বললেন, 'তুমি আমাকে শেখাও- তুমি রাজনীতি করো না! আর তুমি ওইখানে (সাভারে) পইড়া আছ।'
বঙ্গবন্ধুকে বললাম, 'মুজিব ভাই, আপনি বাকশাল কইরেন না। এটা রং ওয়ে।'
বঙ্গবন্ধু বললেন, 'না, সবাইকে নিয়া করব।'
আমি বললাম, 'আপনি তো এটা (সমাজতন্ত্র) বিশ্বাস করেন না। আপনি একটা গল্প বলতেন- ভল্কগ্দার (রাশিয়ার একটি নদী) পাড়ে বৃষ্টি হয়েছে, লাল মিয়ারা রমনায় ছাতা ধরেছে। এটা ছিল আপনার স্ট্যান্ডার্ড জোক।'
বঙ্গবন্ধুর অদ্ভুত স্মরণশক্তি ছিল। তিনি বললেন, 'ডাক্তার, তুই শীতে বউ নিয়া কক্সবাজার বেড়াইতে গেছিলি। কম্বল পাস নাই।' পাশে থাকা মন্ত্রীকে বললেন, 'সাত কোটি কম্বল পাইছ। আমারও তো একটা ছিল। সব বেইচ্চা দিছ! ডাক্তারের বউ বিলাতি মেয়ে। সে শীতে কষ্ট পাইছে। আমাদের কী হবে বল।'
বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, 'তোরা না থাকলে এরাই লুটে খাবে।'
তখন বঙ্গবন্ধুকে বললাম, 'মুজিব ভাই, আমার বউ অসুস্থ। আমাকে বিলাত যেতে এনওসি দিচ্ছে না।'
শুনে বঙ্গবন্ধু বললেন, 'কী! তুই তো বিলাত থেকে দেশে আসছিলি মুক্তিযুদ্ধ করতে। এরা তো পলাইয়া গেছিল।'
বঙ্গবন্ধু অফিসে বসেই এনওসি দিলেন। ঢাকা-লল্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করলেন। তিনি খুবই ইনোসেন্ট ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে ফোন করে ১০ পাউন্ড এনে দিলেন। বলে দিলেন, স্ত্রীর চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে বাকশালে যোগ দিতে হবে।
১৫ আগস্ট দুপুরে লন্ডন পৌঁছে দেখি বিমানবন্দরে সাংবাদিকের ভিড়। তারা বাংলাদেশ থেকে আসা বিমানের অপেক্ষায়। যাত্রীদের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিক্রিয়া জানতে চায়। তখনই খবর পাই- বঙ্গবন্ধু নেই। সাংবাদিক বললেন, 'ইয়োর প্রেসিডেন্ট হ্যাজ বিন কিল্ড। হোয়াট ইজ ইয়োর রিঅ্যাকশন?' শুনে চোখ ভেঙে কান্না আসে। বললাম, 'বঙ্গবন্ধু নিজের রক্ত দিয়ে জাতির ঋণ পরিশোধ করেছেন।'
সমকাল :১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুধু রাজনীতি নয়; বলা হয়- বাংলাদেশকেই বদলে দিয়েছে। দেশ উল্টো পথে গিয়েছে।
জাফরুল্লাহ :বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা কেঁদেছিলাম; আওয়ামী লীগ খুশি হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছিলেন, 'জালেমের হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।' তারাই তো দেশকে উল্টো পথে নিয়ে গিয়েছে।
সমকাল :পুরো আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু হত্যায় খুশি হয়েছিল- তা বলা কি ঠিক হবে? কেউ কেউ খুশি হয়েছিল, যারা হত্যায় জড়িত ছিল। তার প্রমাণও তো পরবর্তীকালে হয়েছে।
জাফরুল্লাহ :এ জন্যই মুখ খুলতে চাই না। কাদের সিদ্দিকী ছাড়া আর কেউ ওই অর্থে প্রতিবাদ করেনি। খুশি না হলেও প্রতিবাদ করেনি। হাইকমিশন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফেলে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের একজন নেতাও আসেনি। তারাই পরে আওয়ামী লীগের কা ারি হয়েছে। তারা কীভাবে দেশকে সঠিক পথে নেবে? শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম, 'আপনার দল করি না; কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করি।'
সমকাল :দেশে ফিরলেন কবে? এসে কী পরিবর্তন দেখলেন?
জাফরুল্লাহ :আগস্টের শেষদিকে ফিরি। এসে দেখি এলোমেলো অবস্থা। সরকারের চরিত্রই বদলে গেছে। একটা অদ্ভুত সরকার। সেনাবাহিনীতে টালমাটাল অবস্থা। জিয়াউর রহমান ভার্সেস খালেদ মোশাররফের ঠান্ডা লড়াই চলছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা থাইল্যান্ড চলে গেল। খালেদ মোশাররফ বরাবরই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তাঁকে চিঠিতে লেখেছিলাম- 'ফিউচার রুলার অব বাংলাদেশ'।
সমকাল :বঙ্গবন্ধু তো আপনাকে ডেকেছিলেন। খন্দকার মোশতাকও কি ডেকেছিলেন?
জাফরুল্লাহ :মোশতাক সরকারের জেনারেল ওসমানী ছাড়া আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না।
সমকাল :দু'জনই বাকশালের বিরোধী ছিলেন বলেই কি এই যোগাযোগ?
জাফরুল্লাহ :আমাদের বাকশাল-বিরোধিতা প্রকাশ্যেই ছিল। খালেদ মোশাররফের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। তাঁর প্রজ্ঞা ছিল। তবে খালেদের মনোভাব ছিল- যুদ্ধ করব আমি, দেশ মুক্ত করব আমি, আর চেয়ারে বসবে ও- এটা হবে না।
সমকাল :বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাজনীতির পরিবর্তন কী দেখলেন?
জাফরুল্লাহ :রাজনীতিই তো ছিল না। অস্থিরতা ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে শাহরিয়ার, নূর ও ডালিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ডালিমকে বলেছিলাম, 'এটা কী করলা!'
সমকাল :খুনিদের অনুশোচনা ছিল?
জাফরুল্লাহ :বিন্দুমাত্রও না। তারা মনে করত, এ ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। নূরের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ থেকেই আমার বন্ধুত্ব। তাকে বললাম, 'এটা (বঙ্গবন্ধু হত্যা) কেমনে করলা!'
বঙ্গবন্ধু শুধু সাহসীই নন, কথাও বলতে জানতেন। তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্ব সামনের লোককে প্রভাবিত করত। নূর জানিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু নেমে আসার পর তারা নরম হতে শুরু করেছিল। তারা (বঙ্গবন্ধুর খুনিরা) বলেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, আটক করতে চেয়েছিল। শেখ কামালের কারণে গোলাগুলি হয়।
সমকাল :বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে না চাইলে সেরনিয়াবাত ও শেখ মনির বাড়িতে হামলা হলো কেন?
জাফরুল্লাহ :মনি তো খুনিদের দেখে বলেছিল, 'মামা (বঙ্গবন্ধু) পাঠাইছে?' শেখ মনির কারণে তাজউদ্দীন আহমদকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়। এটাই শেখ সাহেবের জন্য কাল হয়। বঙ্গবন্ধুর সামনে কথা বলার মতো আর কেউ থাকেনি।
সমকাল :বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষীদের জবানিতে পুরো ঘটনাক্রম উঠে এসেছে। আজও (শনিবার) আইনমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের ষড়যন্ত্র ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে।
জাফরুল্লাহ :মামলা বা সব জায়গায় হাফ ট্রুথ এসেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, এরা ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন করেছে। আন্তর্জাতিক শক্তিও জানত। তারা বাধা দেয়নি। আর যাদের দায়িত্ব ছিল, তারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারেনি। এটাও দেখা দরকার।
সমকাল :বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধান বদলে ফেলা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ যায়। বঙ্গবন্ধু দেশকে বাম দিকে নিতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মোশতাক পুরো ডান দিকে রওনা হলেন।
জাফরুল্লাহ :বাম দিকে দেশ কখনও যায়নি। জিয়াউর রহমান একটু ডান দিকে ঝুঁকে মধ্যপথে নিয়ে গেছেন। জিয়াউর রহমান খুব বাস্তববাদী ছিলেন। রুথলেসও (নিষ্ঠুর) ছিলেন। তাহেরকে ফাঁসি দিয়েছেন। তাহেরকে রক্ষায় জিয়াউর রহমানের কাছে তদবির নিয়েও গিয়েছিলাম। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তাহেরকে ক্ষমা করেননি। বঙ্গবন্ধু এত প্র্যাকটিক্যাল ছিলেন না।
সমকাল :বঙ্গবন্ধু প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরার দাবি আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরাও করছে। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা সরকার সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ফিরিয়ে এনেছে। তবে বাহাত্তরের মূল সংবিধান পুনরুদ্ধার হয়নি।
জাফরুল্লাহ :বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া উচিত কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধান অনেকটা আলোচনা ছাড়াই, ব্রিটিশ সংবিধানকে অনুসরণ করে করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর তিন বছরেই চারবার সংবিধান সংশোধন করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দুই কারণ সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান প্রত্যাগতদের বিরোধ এবং ভারত। বঙ্গবন্ধু তো মুসলিম লীগ করা নেতা। তিনি ভারতের চরিত্র জানতেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল; কিন্তু ভারতকে ছাড় দেননি। ভারতও তাঁকে পুরোপুরি বিশ্বাস করত না। পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বঙ্গবন্ধু দিল্লিতে বলেন, 'আমি মুসলমান।' ভারত যা বোঝার বুঝে গেল। জিয়াউর রহমান, সফিউল্লাহ ও খালেদ মোশাররফ তিনজনই ছিলেন সমসাময়িক। তিনজনই বিশ্বাস করতেন- মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করায় সেনাপ্রধান পদ তাঁর পাওনা। ওসমানীর কথা মেনে খাজা ওয়াসিউদ্দিনকে সেনাপ্রধান করলে এই সমস্যাটা হতো না। তিনি সিনিয়র ছিলেন। তাঁকে সেনাপ্রধান করলে সেনাবাহিনীতে সমসাময়িকদের এই বিরোধ হতো না।
সমকাল :বঙ্গবন্ধু হত্যা না হলে কি সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হতো?
জাফরুল্লাহ :এটা বলা মুশকিল। সত্তরের দশক ছিল সমাজতন্ত্রের উত্থানের। এখন সাম্প্রদায়িকতার উত্থানের সময় চলছে। আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধু থাকলে খুন-খারাবিটা কম হতো। বঙ্গবন্ধু এক সময়ে রক্ষীবাহিনী বিলুপ্ত করতেন। বাকশালও বিলুপ্ত করে সীমিত গণতন্ত্র দিতেন। বঙ্গবন্ধু থাকলে অন্তত স্থানীয় সরকার ঠিক হতো, শক্তিশালী হতো। বঙ্গবন্ধু স্থানীয় সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখতেন।
সমকাল :জাতির পিতাকে হত্যার ৪৭ বছর পর এবারের ১৫ আগস্টে জানতে চাই- দেশ কি সঠিক পথে যাচ্ছে?
জাফরুল্লাহ :না। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতেন; চা খেতেন। বিরোধী দল জাসদের সেক্রেটারি আ স ম রব আহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু খবর নিয়েছিলেন। এখনকার সরকার তো বিরোধীদের মুখও দেখতে চায় না। বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের মতো মানুষের অ্যাকসেস ছিল। শেখ হাসিনা মনোকষ্টে বিব্রত। তাঁর পরিবারের সবাইকে আমরা মেরে ফেলেছি। তাঁর মধ্যে রাগ, ক্ষোভ রয়েছে। তিনি যে এখনও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন- এটাই আশ্চর্য ঘটনা। এখন উনার পাশে জুটেছে গোয়েন্দা সংস্থা, মোসাহেব ও আমলারা। তাঁকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তিনি সবচেয়ে জনবিচ্ছিন্ন প্রধানমন্ত্রী। এতে সর্বনাশ হয়েছে। তিনি সরাসরি খবর পান না। এভাবে দেশ সঠিক পথে যাবে না।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com