চবি শিক্ষকের মৃত্যুর পর সড়কে জেব্রাক্রসিং, হচ্ছে গতিরোধক

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক আফতাব হোসেনের মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকার সড়কে জেব্রাক্রসিং দেওয়া হয়েছে।

এমনকি ওই সড়কে গতিরোধকও তৈরি করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে সড়কে গতিরোধক নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত তিন বছরে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

গত বছরের ২০ অক্টোবর বাসের ধাক্কায় দুই শ্রমিক নিহত হন। এরপর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জেব্রাক্রসিং ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সড়ক বিভাগকে ফুটওভার ব্রিজ করার জন্য আগেই দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ তারা ফুটওভার ব্রিজের জন্য বাজেট পাস করেছে বলে জানিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আফতাব হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফতাব হোসেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর অভিমুখে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী আফতাব হোসেন। এসময় একটি মাইক্রোবাস নগর থেকে হাটহাজারীর দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আফতাব হোসেন গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক মাইক্রোবাসের চালক মাসুদ পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।

আফতাব হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০১১ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে একই বিভাগের শিক্ষক ইসমত আরার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।