চিকিৎসক গৌরাঙ্গ হত্যা: আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

খুলনায় মৈত্রী নার্সিং হোমের মালিক ডা. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল ঢালীকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাসেল ঢালী ওই নার্সিং হোমের ওয়ার্ড বয় ছিলেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি। এছাড়া আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।

রায়ের পর সুজিত চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের বলেন, আসামি অনেকদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। এই বিবেচনায় হাইকোর্ট তার দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, খুলনা নগরীর মৈত্রী নার্সিং হোমের ওয়ার্ড বয় রাসেল ঢালীর সঙ্গে একই ক্লিনিকে কর্মরত এক নার্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনা জানার পর ক্লিনিকের মালিক ডা. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস তাকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে নিষেধ করেন। এতে রাসেল তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাসেল ক্লিনিকের মধ্যে গৌরাঙ্গ দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিতা রানী ভৌমিক ওইদিন রাতেই রাসেলকে আসামি করে খুলনার খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি এক রায়ে রাসেল ঢালীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।

এরপর বিধি অনুযায়ী বিচারিক আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিও জেল আপিল দায়ের করেন। বুধবার উভয় আবেদনের শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।