
বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বক্তারা
জনগণকে নিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে হবে
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ । ২২:৩১ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ । ২২:৩১
সমকাল প্রতিবেদক

প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি-সমকাল
রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, বাংলাদেশ আজকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। এখানে গণতন্ত্র নিহত, মুক্তিযোদ্ধারা লাঞ্ছিত। এ অবস্থায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। গণবিরোধী সরকারকে টেনে নামাতে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে 'রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কারো দয়ার দান নয়' শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তাঁরা এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন নেই। আছে শুধু লুটপাট। সুইস ব্যাংকে বাড়ছে বাংলদেশিদের টাকা। অথচ সুপ্রিম কোর্ট চাইলেই এসব টাকার মালিকের তালিকা নিতে পারেন। আজকে দেশের মানুষ অধিকার হারা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা হয়েছে। বর্তমানে নাকি আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা! তারা কোথা থেকে এলো? আটজন সচিবও নাকি মুক্তিযোদ্ধা! তাঁরা ভুয়া।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য পাল্টে ফেলেছে। তারা নির্বাচনী ফলাফলও পাল্টে দিতে পারবে।
কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নিতে হতে হবে ঢাকায় বসে; অন্য কোনো দেশের রাজধানীতে নয়। দেশে আর কোনো গৃহপালিত বিরোধী দল চাই না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেন, এভাবে দুর্নীতি ও কুশাসন চলতে থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। এই সরকারের কোনো লজ্জা-শরম নেই। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও জেগে উঠে লড়াইয়ে নামতে হবে। তা না হলে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে রোখা যাবে না।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব এসএম সানাউল্লাহ, সাবেক এমপি আব্দুল বারী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ। প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সমাবেশে বিভিন্ন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com