
জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২২ । ১৩:১৪ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২২ । ১৩:৪৬
সমকাল প্রতিবেদক

ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোন মামলার রায় হলো।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসালাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি সালাহউদ্দিন হাওলাদার সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মামলায় ১০ জন সাক্ষী দিয়েছেন। সব আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম অনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। রায়ের কপি পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে র্যাবের হাতে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। পরে তার বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। পরদিন তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ২৭ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে সত্যতা মেলেনি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এস.এম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করেন। সে মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে।
এ ছাড়া অন্যান্য আসামিরা নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে জনগনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃস্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করেছেন।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com