শরীর না পুড়লে ভালোবাসার পরিমাণ বুঝতে পারতাম না: রনি

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২২ । ১৩:৪৮ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২২ । ১৩:৫১

বিনোদন প্রতিবেদক

আবু হেনা রনি

'এতোদিন তো শুধু কাজ করেছি, মানুষ আমার কাজ দেখে আনন্দ পেয়েছেন। তারা কতটা ভালো আমাকে বাসতেন তা অনুমান করতে পারতাম না। শরীর দগ্ধ হওয়ার পর এবার তাদের ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারলাম। মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে। তাই মনে হচ্ছে এপোড়াটা দরকার ছিল। ’ বলছিলেন গাজীপুরের একটি অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ট্যান্ড-আপ কমিডিয়ান ও অভিনেতা আবু হেনা রনি।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রনি। সেদিন বেলুন ওড়ানোর কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি বেলুন ওড়ানোর চেষ্টাও করেন; কিন্তু বেলুনগুলো ওড়েনি। যিনি বেলুন ওড়ানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি পরে চেষ্টা করেন ওই বেলুন ওড়াতে। বিষয়টি কাছ থেকে দেখতে গিয়েছিলেন রনি। আর ওই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসার পর তাঁরা দুজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

শরীরের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘আগে বেশ ব্যথা ছিল শরীরজুড়ে। এখন ব্যথাটা নেই। জীবনে প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। ভেবেছিলাম জীবনটা বুঝি এখানেই শেষ। কিন্তু ঘটনার পর মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি যে তাতে মনে হচ্ছে না পুড়লে এই ভালোবাসার পরিমাণটা বুঝতে পারতাম না।’

‘মীরাক্কেল' থেকে উঠে আসার পর রনি মঞ্চ থেকে অসংখ্য নাটক-অনুষ্ঠানে মানুষকে প্রাণখুলে হাসার খোরাক জুগিয়েছেন। প্রাণ খুলে হাসানো সেই রনি টানা ২৫ দিন হাসপাতালের বিছানায় কাতরালেন। এ ২৪ দিন মানুষের ভালোবাসা উপলব্ধি করেছেন তিনি। সে ভালোবাসা আর দোয়ার কারণেই  দ্রুত সুস্থতা বলে দাবি তার।

এদিকে বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানালেন, রনির ডান হাতটা ভালো হয়েছে। বাঁ হাতের ক্ষত শুকাতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। যে পুলিশ সদস্য এখানে ছিলেন তিনিও সুস্থ হয়ে গেছেন। আগামী সপ্তাহে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় মিডিয়াকে জানানো হবে।


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com