
মাসে ৩০ কোটি টাকার বাণিজ্য অবৈধ রিকশায়
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২২ । ০২:৩৭ | প্রিন্ট সংস্করণ
সাহাদাত হোসেন পরশ ইন্দ্রজিৎ সরকার ও বকুল আহমেদ

মিরপুরে পুলিশের নাম ও মোবাইল নম্বরযুক্ত রিকশা (বামে) ও মহাখালীতে সংকেতিক স্টিকার।
ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। নীতিমালায় না থাকায় এ বাহনটি ঘিরে চলছে অবৈধ বাণিজ্য। রিকশা রাস্তায় নামাতে হলে টাকার বিনিময়ে নিতে হয় টোকেন। আবার টোকেন পেলেও নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ নেই। মূল সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে অভিযানের নামে অটোরিকশা জব্দ করে মোটা অঙ্কের রেকার বিল আদায় করা হয়। রিকশাপ্রতি রেকার বিল গুনতে হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। আবার কোনো রিকশা ডাম্পিং স্টেশনে নেওয়া হলে ২০০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করে রাস্তায় নামাতে হয়। রাজধানীতে অটোরিকশার এই মধুচক্রে পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় অসাধু রাজনৈতিক নেতা ও পাড়ামহল্লার মাস্তানরা জড়িত।
২০১৪ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ২০১৭ সালে এসব পরিবহন বন্ধে আরেক দফা নির্দেশনা আসে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর অটোরিকশা বন্ধ ও আমদানি নিষিদ্ধ করেন সর্বোচ্চ আদালত। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিটি করপোরেশন অভিযান চালালেও তা যেন 'ইঁদুর-বিড়াল' খেলা। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে গত শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অন্তত সাতটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন রিকশাচালকরা। হামলাকারীদের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। আহত হয়েছেন পুলিশের আরও পাঁচ সদস্য। রিকশাচালকরা সংঘবব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণের মতো নজিরবিহীন এই ঘটনার পর আবারও এই খাতের গভীর সমস্যার বিষয়টি সামনে এলো। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার চালকরা বলছেন, তাদের নিয়মিত বখরা দিতে হলেও প্রায়ই অভিযানের নামে চলে নিপীড়ন।
সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় অন্তত ২ লাখের মতো ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। মাসে গড়ে রিকশা দেড় হাজার টাকা টোকেন বাণিজ্য হয়। এই হিসাবে মাসে অবৈধভাবে আদায় করা হয় ৩০ কোটি টাকা।
রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন সমকালকে বলেন, হাইকোর্ট শুধু মহাসড়কে এ জাতীয় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিভিন্ন এলাকার অলিগলি থেকে অটোরিকশা চালকদের ধরে এনে নির্যাতন করছে পুলিশ। বিভিন্ন ব্যক্তি বা সমিতির নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে টাকা। সেই টাকার ভাগ পাচ্ছে পুলিশ। এর বাইরে রেকার-ডাম্পিংয়ের মতো ঘটনা তো আছেই।
তিনি বলেন, আদালত এক আদেশে উল্লেখ করেন, সারাদেশে ৪০ লাখ ইজিবাইক ও অটোরিকশা জাতীয় যান চলাচল করে। আমাদের ধারণা, প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা এখন অর্ধকোটি ছুঁয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখের বেশি চলে শুধু ঢাকা শহরে। বিপুলসংখ্যক মানুষ এভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এ কারণে সরকার 'থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা'র খসড়া তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে আপাতত অবৈধ হয়ে থাকা যানগুলোকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে সরকার। একটি হিসাব বলছে, এসব যান বছরে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা আয় করছে। সেই টাকা খরচের মাধ্যমে তারা সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রধান ডিআইজি মুনিবুর রহমান বলেন, পুলিশ তো একা অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা বন্ধ করতে পারবে না। এত ব্যাটারি কারা আনছে। কোন পয়েন্ট থেকে এসব ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে তৎপর না হয় তাহলে কোনো সুফল মিলবে না।
তবে দেশের এই সংকটময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত এ অবৈধ রিকশা টানছে হিসাববিহীন বিদ্যুৎ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশাল টিনশেড ঘর তৈরি করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
মিরপুর-পল্লবীর চক্র: দীর্ঘদিন ধরেই পল্লবী ও মিরপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বাণিজ্যের একটি বড় দুষ্টচক্র জড়িত। পুলিশ, স্থানীয় মাস্তান ও অসাধু রাজনৈতিক নেতারা সিন্ডিকেটে আছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে মিরপুরে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী এলাকার তরুণ আব্দুল কুদ্দুস। বর্তমানে মিরপুর-৭ নম্বরে আবাসিক এলাকায় তিনি মা ও বোনকে নিয়ে বসবাস করেন। অটোরিকশা নিয়ে কত ধরনের নৈরাজ্য তা তাঁর বক্তব্যে পরিস্কার। তিনি জানান, পুলিশের ভয়ে অটোরিকশা চালকরা অধিকাংশ সময় অলিগলিতে থাকেন। মূল সড়কে খুব কমসংখ্যক অটোরিকশা চলাচল করে। তবে যাঁদের প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তাঁরা সব জায়গায় যেতে পারেন। বেশিরভাগ রিকশাচালক গলিতে থাকলেও পুলিশের সদস্যরা সেখানে প্রায় প্রতিদিন হানা দেন। অবৈধ যান চলাচলের কথা বলে রিকশা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানোর ভয় দেখান। এরপর প্রতি রিকশা বাবদ ৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। এ ছাড়া মিরপুরের স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে 'কার্ড' নিতে হয়। সেই কার্ডের জন্য মাসে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়। এ টাকা সবাই ভাগ করে নেন। এই হিসাবে শুধু কার্ড পেতে রাস্তায় একটি অটোরিকশা চালাতে হলে বছরে ঘুষ গুনতে হয় ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। এরপর রাস্তায় নামলে কোনো কারণে আবার পুলিশ ধরলে সেখানে জরিমানার নামে টাকা দেওয়া লাগে। কুদ্দুসের ভাষ্য, অনিয়ম করলে জরিমানা হতে পারে। তবে জরিমানার নামে টাকা আদায় করা হলেও সরকারি কোনো রসিদ দেওয়া হয় না। হয় এসব রিকশা একবারে বন্ধ করে দিক, নইলে বৈধভাবে চালানোর সুযোগ দেওয়া উচিত। ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ- এটা সুযোগ নিয়ে সবার পকেট ভারী হচ্ছে।
কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ তার রিকশার পেছনে চোখ গেল। সেখানে লেখা 'কিবরিয়া পুলিশ'। ওই লেখার পাশে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই রিকশার মালিক একজন পুলিশ সদস্য। দিনে ৩০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে কুদ্দুস এটি চালান। পুলিশ সদস্যের রিকশা হওয়ায় অন্যদের তুলনায় রাস্তায় ঝক্কি-ঝামেলা একটু কম। পুলিশের ওই সদস্যের আরও ৭-৮টি রিকশা রয়েছে। পরে কনস্টেবল কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি অফিসে কর্মরত তিনি। ২০১৬ সালে ডিউটি করার সময় দুর্ঘটনায় পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এরপর ৩টি রিকশা কিনে ভাড়া দিয়েছেন। মাঝে মাঝে তাঁর রিকশাও ডাম্পিং করা হয়। মিরপুর-পল্লবীতে এই চক্রে জড়িত আছেন সেলিম মোল্লা, রবিন সিদ্দিকী, আড্ডু, শাহজাহান, সোহেল ও রাসেল। এদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর।
মুগদা-কাজলায় বছরে অন্তত ৩ কোটি টাকা: যাত্রাবাড়ীর কাজলা, মুগদা, মান্ডা ও মানিকনগর এলাকায় অন্তত দুই হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলে। এসব রিকশা চলচলের জন্য মালিকদের অনুমতি নিতে হয় আলাউদ্দিন ও নাসির নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে। অনুমতি হিসেবে একটি কাগজের টোকেন দেওয়া হয়, যেটি রিকশার পেছনে লাগানো থাকে। এই টোকেনের মেয়াদ এক মাস; মাসের হিসাব ধরা হয় ২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী ২৪ তারিখ। আলাউদ্দিন ও নাসির এক মাসের এই টোকেন ফি নেন ১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি মাসেই তাঁদের এ টাকা পরিশোধ করে নতুন টোকেন সংগ্রহ করতে হয় মালিককে। এই টোকেন রিকশায় লাগানো থাকলে থানা পুলিশ কিংবা ট্রাফিক পুলিশ অবৈধ এই রিকশা আটকাবে না। যদি কোনো পুলিশ সদস্য আটকায়ও তাহলে ফোনে দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন আলাউদ্দিন ও নাসির। মাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা হিসাবে প্রতিমাসে এসব রিকশা থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে ২৬ লাখ, যা বছরে দাঁড়ায় ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। থানা ও ট্রাফিক পুলিশসহ স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছেও এই টাকার ভাগ যাচ্ছে প্রতি মাসে।
এসব এলাকায় কখনও 'স্বনির্ভর বাংলাদেশ রিকশা মালিক সমিতি', কখনও 'একতা সমবায় রিকশা মালিক সমিতি'র নামে এই টোকেন দেওয়া হয়। রিকশার পেছনে এসব টোকেন দেখা গেছে। নাসির ওই এলাকায় 'নাসির সাংবাদিক' হিসেবে পরিচিত। কাজলা এলাকার গ্যারেজের মালিক আনোয়ার মান্ডার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে কার্ড এনে বিক্রি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে আনোয়ার দাবি করেন, তিনি রিকশার মালিক। কার্ডের ব্যবসা করেন না। মান্ডার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে ১০-১২টি ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় ছেড়েছেন। আলাউদ্দিন নিজেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের মুগদা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার ১৮টি ব্যাটারিচালিত রিকশা আছে। আমি নিজেই কার্ড খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমি কার্ড দিই না। শত্রুতা করে হয়তো কেউ আমার নাম বলেছে।
কাজলা ও মুগদা এলাকায় ঘুরে একাধিক চালক ও মালিকের সঙ্গে কথা হয়। কাজলার উত্তরপাড়ার বায়েজিদের ১০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। তিনি জানান, তিনি নাসিরের কাছ থেকে প্রতি মাসে টোকেন সংগ্রহ করেন। রিকশাচালক লোকমান বলেন, পুলিশ রিকশা ধরলে নাসিরের নাম বললে ছেড়ে দেয়। কখনও নাসির মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটে এসে রিকশা ছাড়িয়ে নেন পুলিশকে ম্যানেজ করে।
আফতাব নগরের কার্ড ঠিকাদার আলী: আফতাব নগরে অন্তত চারশ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। এর মধ্যে দুইশর বেশি ব্যাটারি রিকশায় একটি করে লাল কার্ড সাঁটানো হয়েছে। এই কার্ডের মাসিক চাঁদা এক হাজার টাকা। আফতাব নগরের একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক আলী এই কার্ড টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করেন। কার্ড থাকলে সাধারণত পুলিশ রিকশা চলতে বাধা দেয় না। কার্ডধারী চালকরা রিকশা নিয়ে জহুরুল হক সিটির প্রধান গেট পর্যন্ত আসতে পারে যাত্রী নিতে। স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব আলীর। কখনও থানা পুলিশ কিংবা ট্রাফিক পুলিশ এসব রিকশা আটক করলে আলী ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন। মেরুল বাড্ডা ও গুদারাঘাট এলাকার দুই শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণ করেন বাড্ডার আনন্দ নগর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহম্মেদ। কার্ডের বিনিময়ে প্রতি রিকশা থেকে নেন এক হাজার টাকা। জানতে চাইলে বশির আহম্মেদ কার্ডের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এসব মিছা কথা। আমার নিজের ৬০টি ব্যাটারির রিকশা আছে। বিভিন্ন সময় ট্রাফিক পুলিশ ধরে রেকারবিল করে।
মহাখালীর অটোরিকশায় 'দোয়েল' স্টিকার: মহাখালী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে একটি বড় চক্র। কড়াইল, সাততলা বস্তি, ওয়্যারলেস, কলেরা হাসপাতাল ও নিকেতনের একাংশ পর্যন্ত চলাচল করে এসব রিকশা। এসব রুটে চলাচলকারী তিনটি অটোরিকশার মালিক এক ব্যক্তি জানান, প্রতি রিকশার জন্য মাসে ১ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া দেলু মিয়া এই রুটের লাইনম্যান। টাকা নিয়ে তিনি 'দোয়েল' পাখির ছবিযুক্ত একটি স্টিকার রিকশায় লাগিয়ে দেন। স্টিকারটি লাইসেন্স হিসেবে কাজ করে। প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই টাকা দিয়ে নতুন স্টিকার নিতে হয়।
রিকশা গ্যারেজের মালিকরা জানান, প্রতিটি রিকশার মালিকের কাছ থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ চাঁদা মূলত দুটি ভাগ হয়। এর মধ্যে দেলুসহ মাঠ পর্যায়ে চাঁদা আদায় ও রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কর্মরত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা একটি ভাগ পান। বাকি টাকা দিতে হয় সংশ্নিষ্ট এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও মগবাজার এলাকায় অটোরিকশার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে আরেকটি পক্ষ। এখানে চাঁদা আদায় করে স্টিকার দেন হানিফ ও সাজু নামে দুই ব্যক্তি।
প্রতিবন্ধীদের নামে বাণিজ্য: কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ ও হাজারীবাগ এলাকায় অটোরিকশা চলে মূলত প্রতিবন্ধীদের নামে। প্রতিবন্ধীদের অন্তত তিনটি সংগঠন এসব এলাকায় সক্রিয়। তারা সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ চাঁদা নেয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবন্ধী সেজে এসব সংগঠনের নেতাদের টাকা দিয়ে কিছু সুস্থ মানুষ অটোরিকশা চালান। কারণ পুলিশ সাধারণত প্রতিবন্ধীদের রিকশা আটকায় না। এ সুযোগে প্রতিবন্ধী সংগঠনের সদস্য পদ দিয়ে সুস্থদের কাছ থেকে দিনে ১০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। আর প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা দেন ৫০ টাকা।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com