
ফেলে যাওয়া জুতা তদন্তকারীদের নিয়ে গেল খুনিদের কাছে
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২২ । ২২:৫৩ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২২ । ২৩:০২
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

হত্যার পর নাছিরের ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। কিন্তু নিহতের গলার গামছা ও লাশের পাশে রেখে যাওয়া দু'টি জুতার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অপরাধীদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পুলেরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন- গফরগাঁওয়ের পাগলার কন্যামন্ডল আদর্শ গ্রামের মকবুল হোসেন (৫৫), পাকুন্দিয়ার ছোট আজলদি ধামর বাড়ি গ্রামের জাবেদ (২৫), আজলদি কোনাপাড়া গ্রামের কাজল মিয়া (৬০), সম্মানিয়া গ্রামের মো. শরীফ (৩২), ও মো. সোহেল মিয়া (২২)।
তাদের মধ্যে আসামি মকবুল হোসেনের কাছ থেকে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সোহেলের কাছ থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে- মুকবুলের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ সীমান্তর্তী এলাকায় চালককে কখন মারপিট, কখনও নেশাজাতীয় দ্রব্য প্রয়োগে অচেতন, আবার কখনও নির্দিষ্টস্থানে রেখে দেওয়া ইজিবাইক ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। মকবুলের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে। মকবুল পেশায় নরসুন্দরের কাজ করেন। কিন্তু চুল কাটার আড়ালে গড়ে তোলেন অপরাধী চক্র। মকবুলের নেতৃত্বে চক্রটি নাছিরের ইজিবাইকটি ভাড়া করে হোসেনপুর সেতুর কাছে নিয়ে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে যায়।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা জানান, মকবুল সেলুনে চুল কাটার আড়ালে অপরাধচক্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও পরিকল্পনা করে থাকেন। খুন-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল চক্রটি।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com