নায়ক হয়ে গেলেন পার্থ, তাকে মজার মানুষ বললেন অপর্ণা

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২২ । ১৮:২৯ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২২ । ১৮:৩২

রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ

'আমি গানের মানুষ। গানই আমার ধ্যান-জ্ঞান, নেশা-পেশা সবকিছু। তাই গানের বাইরে যা কিছুই করি, তা শখ কিংবা ভালো লাগা থেকে করা'- জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক পার্থ বড়ূয়ার মুখে এ কথা বহুবার শোনা গেছে।

যা থেকে স্পষ্ট, সংগীতের মতো আর কোনো কিছুই তাঁর কাছে প্রাধান্য পায় না। দুই দশক পরে অভিনয় শখ হিসেবেও থেকে গেছে। অবাক লাগে এটি দেখে যে, মঞ্চ নাটক ছাড়া এরই মধ্যে অভিনয়ের সব মাধ্যমেই কাজ করা হয়ে গেছে পার্থ বড়ূয়ার। টিভি নাটক, টেলিছবি, ওয়েব সিরিজ থেকে সিনেমায় অভিনয়- বাদ যায়নি কিছুই।

অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন এ শিল্পী। এবার পুরোপুরি বড় পর্দায় নায়কই বনে গেছেন সোলস ব্যান্ডের এ তারকা। এটি কীভাবে সম্ভব হলো? এ প্রশ্ন করতেই পার্থ বড়ূয়া হেসে বলেন, "সিনেমার নায়ক হব- এই ভাবনা তো কোনো দিনই ছিল না। কিন্তু সেটিই যেন কীভাবে হয়ে গেল। 'মেইড ইন চিটাগং' যেহেতু চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ছবি, আর নিজেও একই অঞ্চলের মানুষ, তাই অভিনয় নিয়ে বেশি কিছু ভাবতে হয়নি। নির্মাতারা যেভাবে পরিকল্পনা করেছেন, তাতে মনে হয়েছে, কাজটি তত কঠিন হবে না। যদিও অভিনয় কঠিন কাজ। তারপরও গত দুই দশকে যত নাটক, টেলিছবিতে কাজ করেছি, তা একটু হলেও সাহস জুগিয়েছে। তা ছাড়া সিনেমায় আগেও অভিনয় করেছি, তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে এই প্রথম। এখন দেখি 'মেইড ইন চিটাগং' নিয়ে দর্শক কী বলেন।''

এ তো গেল পার্থ বড়ূয়ার কথা। এবার শুনি অপর্ণা ঘোষ কী বলেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত এই শিল্পীর অভিনয় নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না- এটি ধরেই নেওয়া যায়। তা ছাড়া অপর্ণা সবসময় বাছবিচার করে কাজ করেন, যার বেশিরভাগই দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাই এ অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া, 'মেইড ইন চিটাগং' তার অন্য সিনেমাগুলো থেকে কতটা আলাদা? এর উত্তরে অপর্ণা ঘোষ বলেন, 'আমি এক কথায় বলতে চাই- আমার আগের সব সিনেমা থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। আমার জানামতে, এটিই দেশের প্রথম আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা। এর আগে বহু ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রের মুখে আঞ্চলিক ভাষা শোনা গেছে। কিন্তু পুরো সিনেমা কোনো একটি অঞ্চলের প্রচলিত ভাষা নিয়ে নির্মিত হয়নি। এ জন্যই অভিনয় করেছি, ঠিক তা নয়; এর গল্প যেমন মজার, তেমনি চরিত্রগুলো মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো। দর্শক ছবিটি দেখে নিরাশ হবেন না- এটুকু অন্তত বলতে পারি।'

পার্থ বড়ূয়ার নায়িকা হওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এর উত্তরে অপর্ণা বলেন, 'পার্থ বড়ূয়া মজার মানুষ। তাঁর সঙ্গে কাজে আলাদা আনন্দ আছে। এর আগে সহশিল্পী হিসেবে বেশ কিছু নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। তাঁর সঙ্গে সোলসের গানের মডেল হিসেবেও কাজ করেছি। সে জন্য যে কোনো কাজে আমাদের বোঝাপড়াও বেশ ভালো। তাই নির্মাতার পরিকল্পনা অনুযায়ী সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও দারুণ।' তাহলে কি ভবিষ্যতে আবারও জুটি হিসেবে দেখা যাবে? এর উত্তরে অপর্ণা হেসে বলেন, 'এটি দর্শক ঠিক করবেন, তাঁরা আমাদের বারবার জুটি হিসেবে দেখতে চান কিনা। তবে আমার বিশ্বাস জুটি হিসেবে আমরা দর্শক মনে ছাপ ফেলতে পারব।'

অপর্ণার মতো একই রকম আশা প্রকাশ করেছেন 'মেইড ইন চিটাগং' ছবির পরিচালক ইমরাউল রাফাত। তাঁর কথায়, পার্থ-অপর্ণার পাশাপাশি চিত্রলেখা গুহ, সাজু খাদেম, মুকিত আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খানসহ ছবির অন্য শিল্পীদের অভিনয়ও দর্শক মনোযোগ কাড়বে। বাড়তি ভালো লাগা যোগ করবে আঞ্চলিক ভাষার গানগুলো; যা এরই মধ্যে শ্রোতাদের মাঝে আলোড়ন তুলেছে।


© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com