
শিল্পকলা
প্রাচীন প্রবাদের শিল্পায়ন
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২২ । ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিসর্গ সনাতন

'দ্য রিভারাইন স্টোরি-৬'
জন্ম, মৃত্যুর জন্য। মৃত্যু জন্মের জন্য।
প্রাচীন এ প্রবাদের কাচের ভেতর দিয়ে পৃথিবীটা দেখলে চেনা দৃশ্য অচেনা অর্থ হয়ে ধরা দেয়।
জেলে মাছ মারছে, এতে তার প্রাণ রক্ষা হয়। তার যে সুখবোধ, তা মাছের পরাজয়ের কাছে বাঁধা। আবার তার যে দুঃখবোধ, তা কিন্তু মাছের সুখের কাছে বাঁধা নয় সবসময়। মানুষ তখনই তার প্রাচীন এ পেশায় হতাশার মুখে পড়ে, যখন শিকার স্বয়ং প্রতিকূলতা পোহাতে থাকে। যখন মাছ পায় না, বুঝতে হয় মাছও তার অনুকূল পরিবেশ হারিয়েছে। খাদ্য শেকলের শীর্ষে থাকা মানুষ তার পরিপার্শ্বের সঙ্গে যে বোঝাপড়ায় চলে গেছে, সেখানে শিকার প্রাণীর দুঃখ বোঝাটা বোঝাস্বরূপ। মানুষের স্বার্থপর অংশ তাকে পিঠে তুলতে চায় না।
কিন্তু একজন সত্য শিল্পী এর ব্যতিক্রম। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মাছকে বলেছিলেন জলের দুলাল। নগরবাসী বর্মণ জলের দুলালের ব্যথা, তার মৃত্যুযাতনাকে একজন সত্য শিল্পীর মতো গ্রাহ্য করেছেন বলেই হয়। কেবল মানুষের সংগ্রামকে উপস্থাপনের ভেতর তাঁর সংগ্রাম সীমাবদ্ধ থাকেনি। যদি থাকত, আমরা হয়তো নিপাট মানুষের পোর্ট্রেট পেতাম। তা কি আমরা পেয়েছি?
নগরবাসী বর্মণের চিত্রকলা নিয়ে গ্যালারি কায়ায় আয়োজিত 'পেইন্টিংস অ্যান্ড গ্রাফিকস' শিরোনামে এ প্রদর্শনী মূলত এক ধরনের আয়নাছবির মেলা। এখানে একের পোর্ট্রেটে অপর কেউ ধরা পড়ে।
আমরা মাছের মর্মস্পর্শী সব পোর্ট্রেট পেয়েছি। মাছের দাঁতাল, কাঁটাল, রুগ্ণ, মৃত পোর্ট্রেট জেলের অবস্থা বলে। আদিম অস্ত্রের ছবি, টিমটিমে আলো, অন্ধকার, নির্জন পটভূমি-পেছনপট, নিঃসীম নিসঙ্গতা- এসব মৃত্যুভীষণা আবহের ভেতর নীরব অভিশপ্ত জেলে জীবনকে দেখায়। সেই জীবনপথে নির্বান্ধব জেলের একটাই বন্ধু। মাছ। যাকে সে বাঁচার জন্য হত্যা করে। যে মাছ নিহত হওয়ার জন্য জন্ম নেয়। জেলে যখন মাটিতে মিশে প্রকৃতির নীরব অংশ হয়ে যায়, জলে ভেসে আসে খাদ্যকণা হয়ে, উদ্ভিদের পুষ্টি জোগায়, তখন বেড়ে ওঠার কালে মাছ তাকে গ্রহণ করে, কাঁকড়া তাকে খুঁটে খায়। কখনও সরাসরি তাকে, কখনও রূপান্তরিত তাকে।
'লেবারাস জার্নি' নামে একটা ছবি আছে। পেটে ডিম নিয়ে ছুটে যাচ্ছে মাছ। কাঁটাল, রুক্ষ শরীর। নিয়তিতাড়িতের মতো মুখ। জন্ম দেওয়ার উদগ্র বাসনা নেই। ভবিষ্যতের নিহতদের জন্ম দেওয়ার একটা চক্রে সে পড়ে গেছে। মাছটা একটা বদ্ধ ক্ষেত্রের ভেতর আঁকা। পেছনপট সবুজাভ ধূসর। সিংহভাগ ছবি প্রথম দর্শনে নিছক নান্দনিক। দ্বিতীয় দর্শনে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো অনুভূতি দিতে পারে।
দ্য রিভারাইন স্টোরি সিরিজের ছবিগুলো তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে সলতে আঁকড়ে জ্বলতে থাকা আগুন কখনও হেলে আছে, কখনও স্থির। অন্ধকারে আগুন প্রতিকূলতায় জীবনের প্রতীক। জীবনের সেই চিহ্ন যখন বেঁকে যাচ্ছে, তা বাঁকবদলের ইশারা জানাচ্ছে। জেলের সংকটময় জীবনে, জলজের মৃত্যুময় জীবনে, সংকটের সীমা নেই। আছে মাত্রাবদল। রিভারাইন স্টোরি সিরিজের ছবিগুলোর মাছ ভয়াল ভেঙচিতে নিজেরা নিজেদের বিদ্রুপ করছে। হার্পুনে গেঁথে যাওয়া কাঁকড়া, পাত্রে পাঁজরভাঙা মাছ; তারা অদৃশ্য প্রাকৃত আয়নায় জেলেজীবনের প্রতিনিধিত্ব করছে।
শিল্পীর কাজের গভীরতায় ধীবর সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ধরা পড়ে। যেমনটা ধারণ করে অদ্বৈত মল্লবর্মণের 'তিতাস একটি নদীর নাম'। নগরবাসী বর্মণ জেলে জীবনে বেঁচে থাকার ক্ষয় যেন পরিবারের একজন হয়ে অবলোকন করেছেন। এই ক্ষয়ের উপস্থাপন বিস্ময়করভাবে উজ্জ্বল রঙের ভেতর দিয়ে হয়েছে। এতটাই উজ্জ্বল, যেন ছবিগুলো ক্ষয় নয়, এক ধরনের আনন্দ দ্বারা প্রভাবিত।
পতঙ্গ যখন উজ্জ্বল আগুনের কাছে ডানা পোড়ায়, হয়তো তার ক্লিষ্ট মুখেচোখে আনন্দ লেগে থাকে। ছবিগুলোয় ধারণকৃত আনন্দবোধটা তদ্রূপ। শিকারি, শিকার, অস্ত্র, রক্তাক্ততার জ্যামিতিক সজ্জায় প্রকৃতির গোছানো মৃত্যুৎসবের আয়োজন ধরা পড়েছে।
যখন ছবি আঁকা হয়
ছবি আঁকা, তলিয়ে দেখা সমার্থক। ভারতে ইংরেজ শাসনামলের শুরুতে শাসকদের একাংশের জন্য ছবি আঁকতে শেখা বাধ্যতামূলক ছিল। তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতেন এবং কাজের অংশ হিসেবেই স্থানীয় নারী-পুরুষের ছবি আঁকতেন। ছবি যিনি আঁকেন, তিনি গভীর পর্যবেক্ষণে বাধ্য হন। যাকে আঁকা হয়, তার আচার, ব্যবহার, সীমাবদ্ধতা ও শক্তি তখন সুচারু নতুনত্ব নিয়ে ধরা পড়ে। আঁকা পাত্রটির প্রতি মমতা তৈরি হোক বা না হোক, একধরনের সমমর্মিতাবোধ তৈরি হয়। তার অনুভূতির স্থানে নিজেকে বসানো সহজ হয় তখন শিল্পীর পক্ষে।
নগরবাসী বর্মণের আঁকাগুলো দেখে অনুমিত হয়, তিনি তাঁর কলা প্রয়োগে জেলেজীবন, মৎস্যজীবন কেবল ভিন্ন এক মাত্রায় উপস্থাপনই করেননি; অপূর্ব এ চিত্রযজ্ঞ তাঁর জন্য ছিল অনবদ্য শিক্ষানবিশি কাল। ছবির মূর্ততায়, বিমূর্ততায় এক আনন্দিত দীক্ষিতের ছাপ।
দ্য রিভারাইন স্টোরি এখানে দীর্ঘতম সিরিজ ছবি। এ ছাড়া রয়েছে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে অনন্যশৈলীতে অন্ধকারকে প্রধান করে তোলা অ্যাট নাইট অন দ্য রিভার, ব্রোকেন বোট সিরিজ, ব্যালেন্স, ফিশ অ্যান্ড বোট, বোট অ্যান্ড বোট সিরিজ, ফিশিং, ফ্রম দ্য লাইফ অব এ ফিশারম্যান সিরিজ, লেবারিয়াস জার্নি সিরিজ প্রভৃতি।
ছবিগুলোয় এচিং ও একুয়াটিন্টের মতো ছাপচিত্রশৈলী, সঙ্গে অ্যাক্রেটিক ও পেস্টেলের ব্যবহার- নান্দনিকতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এচিং, একুয়াটিন্ট ছবিতে অনন্য গল্পমূল্য ও দার্শনিক গভীরতা তৈরি করেছে। অ্যাক্রেলিক ও পেস্টেল তৈরি করেছে কোমলতা। ছবিগুলো মৃত্যুমতি, তবু জীবনমুখী। এমন দ্বান্দ্বিকতা হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ রেখে যায়।
'পেইন্টিংস অ্যান্ড গ্রাফিকস' শিরোনামে এ প্রদর্শনী গ্যালারি কায়ায় ১১ নভেম্বর শুরু হয়েছে। চলবে ২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
প্রাচীন এ প্রবাদের কাচের ভেতর দিয়ে পৃথিবীটা দেখলে চেনা দৃশ্য অচেনা অর্থ হয়ে ধরা দেয়।
জেলে মাছ মারছে, এতে তার প্রাণ রক্ষা হয়। তার যে সুখবোধ, তা মাছের পরাজয়ের কাছে বাঁধা। আবার তার যে দুঃখবোধ, তা কিন্তু মাছের সুখের কাছে বাঁধা নয় সবসময়। মানুষ তখনই তার প্রাচীন এ পেশায় হতাশার মুখে পড়ে, যখন শিকার স্বয়ং প্রতিকূলতা পোহাতে থাকে। যখন মাছ পায় না, বুঝতে হয় মাছও তার অনুকূল পরিবেশ হারিয়েছে। খাদ্য শেকলের শীর্ষে থাকা মানুষ তার পরিপার্শ্বের সঙ্গে যে বোঝাপড়ায় চলে গেছে, সেখানে শিকার প্রাণীর দুঃখ বোঝাটা বোঝাস্বরূপ। মানুষের স্বার্থপর অংশ তাকে পিঠে তুলতে চায় না।
কিন্তু একজন সত্য শিল্পী এর ব্যতিক্রম। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত মাছকে বলেছিলেন জলের দুলাল। নগরবাসী বর্মণ জলের দুলালের ব্যথা, তার মৃত্যুযাতনাকে একজন সত্য শিল্পীর মতো গ্রাহ্য করেছেন বলেই হয়। কেবল মানুষের সংগ্রামকে উপস্থাপনের ভেতর তাঁর সংগ্রাম সীমাবদ্ধ থাকেনি। যদি থাকত, আমরা হয়তো নিপাট মানুষের পোর্ট্রেট পেতাম। তা কি আমরা পেয়েছি?
নগরবাসী বর্মণের চিত্রকলা নিয়ে গ্যালারি কায়ায় আয়োজিত 'পেইন্টিংস অ্যান্ড গ্রাফিকস' শিরোনামে এ প্রদর্শনী মূলত এক ধরনের আয়নাছবির মেলা। এখানে একের পোর্ট্রেটে অপর কেউ ধরা পড়ে।
আমরা মাছের মর্মস্পর্শী সব পোর্ট্রেট পেয়েছি। মাছের দাঁতাল, কাঁটাল, রুগ্ণ, মৃত পোর্ট্রেট জেলের অবস্থা বলে। আদিম অস্ত্রের ছবি, টিমটিমে আলো, অন্ধকার, নির্জন পটভূমি-পেছনপট, নিঃসীম নিসঙ্গতা- এসব মৃত্যুভীষণা আবহের ভেতর নীরব অভিশপ্ত জেলে জীবনকে দেখায়। সেই জীবনপথে নির্বান্ধব জেলের একটাই বন্ধু। মাছ। যাকে সে বাঁচার জন্য হত্যা করে। যে মাছ নিহত হওয়ার জন্য জন্ম নেয়। জেলে যখন মাটিতে মিশে প্রকৃতির নীরব অংশ হয়ে যায়, জলে ভেসে আসে খাদ্যকণা হয়ে, উদ্ভিদের পুষ্টি জোগায়, তখন বেড়ে ওঠার কালে মাছ তাকে গ্রহণ করে, কাঁকড়া তাকে খুঁটে খায়। কখনও সরাসরি তাকে, কখনও রূপান্তরিত তাকে।
'লেবারাস জার্নি' নামে একটা ছবি আছে। পেটে ডিম নিয়ে ছুটে যাচ্ছে মাছ। কাঁটাল, রুক্ষ শরীর। নিয়তিতাড়িতের মতো মুখ। জন্ম দেওয়ার উদগ্র বাসনা নেই। ভবিষ্যতের নিহতদের জন্ম দেওয়ার একটা চক্রে সে পড়ে গেছে। মাছটা একটা বদ্ধ ক্ষেত্রের ভেতর আঁকা। পেছনপট সবুজাভ ধূসর। সিংহভাগ ছবি প্রথম দর্শনে নিছক নান্দনিক। দ্বিতীয় দর্শনে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো অনুভূতি দিতে পারে।
দ্য রিভারাইন স্টোরি সিরিজের ছবিগুলো তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে সলতে আঁকড়ে জ্বলতে থাকা আগুন কখনও হেলে আছে, কখনও স্থির। অন্ধকারে আগুন প্রতিকূলতায় জীবনের প্রতীক। জীবনের সেই চিহ্ন যখন বেঁকে যাচ্ছে, তা বাঁকবদলের ইশারা জানাচ্ছে। জেলের সংকটময় জীবনে, জলজের মৃত্যুময় জীবনে, সংকটের সীমা নেই। আছে মাত্রাবদল। রিভারাইন স্টোরি সিরিজের ছবিগুলোর মাছ ভয়াল ভেঙচিতে নিজেরা নিজেদের বিদ্রুপ করছে। হার্পুনে গেঁথে যাওয়া কাঁকড়া, পাত্রে পাঁজরভাঙা মাছ; তারা অদৃশ্য প্রাকৃত আয়নায় জেলেজীবনের প্রতিনিধিত্ব করছে।
শিল্পীর কাজের গভীরতায় ধীবর সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ধরা পড়ে। যেমনটা ধারণ করে অদ্বৈত মল্লবর্মণের 'তিতাস একটি নদীর নাম'। নগরবাসী বর্মণ জেলে জীবনে বেঁচে থাকার ক্ষয় যেন পরিবারের একজন হয়ে অবলোকন করেছেন। এই ক্ষয়ের উপস্থাপন বিস্ময়করভাবে উজ্জ্বল রঙের ভেতর দিয়ে হয়েছে। এতটাই উজ্জ্বল, যেন ছবিগুলো ক্ষয় নয়, এক ধরনের আনন্দ দ্বারা প্রভাবিত।
পতঙ্গ যখন উজ্জ্বল আগুনের কাছে ডানা পোড়ায়, হয়তো তার ক্লিষ্ট মুখেচোখে আনন্দ লেগে থাকে। ছবিগুলোয় ধারণকৃত আনন্দবোধটা তদ্রূপ। শিকারি, শিকার, অস্ত্র, রক্তাক্ততার জ্যামিতিক সজ্জায় প্রকৃতির গোছানো মৃত্যুৎসবের আয়োজন ধরা পড়েছে।
যখন ছবি আঁকা হয়
ছবি আঁকা, তলিয়ে দেখা সমার্থক। ভারতে ইংরেজ শাসনামলের শুরুতে শাসকদের একাংশের জন্য ছবি আঁকতে শেখা বাধ্যতামূলক ছিল। তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতেন এবং কাজের অংশ হিসেবেই স্থানীয় নারী-পুরুষের ছবি আঁকতেন। ছবি যিনি আঁকেন, তিনি গভীর পর্যবেক্ষণে বাধ্য হন। যাকে আঁকা হয়, তার আচার, ব্যবহার, সীমাবদ্ধতা ও শক্তি তখন সুচারু নতুনত্ব নিয়ে ধরা পড়ে। আঁকা পাত্রটির প্রতি মমতা তৈরি হোক বা না হোক, একধরনের সমমর্মিতাবোধ তৈরি হয়। তার অনুভূতির স্থানে নিজেকে বসানো সহজ হয় তখন শিল্পীর পক্ষে।
নগরবাসী বর্মণের আঁকাগুলো দেখে অনুমিত হয়, তিনি তাঁর কলা প্রয়োগে জেলেজীবন, মৎস্যজীবন কেবল ভিন্ন এক মাত্রায় উপস্থাপনই করেননি; অপূর্ব এ চিত্রযজ্ঞ তাঁর জন্য ছিল অনবদ্য শিক্ষানবিশি কাল। ছবির মূর্ততায়, বিমূর্ততায় এক আনন্দিত দীক্ষিতের ছাপ।
দ্য রিভারাইন স্টোরি এখানে দীর্ঘতম সিরিজ ছবি। এ ছাড়া রয়েছে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে অনন্যশৈলীতে অন্ধকারকে প্রধান করে তোলা অ্যাট নাইট অন দ্য রিভার, ব্রোকেন বোট সিরিজ, ব্যালেন্স, ফিশ অ্যান্ড বোট, বোট অ্যান্ড বোট সিরিজ, ফিশিং, ফ্রম দ্য লাইফ অব এ ফিশারম্যান সিরিজ, লেবারিয়াস জার্নি সিরিজ প্রভৃতি।
ছবিগুলোয় এচিং ও একুয়াটিন্টের মতো ছাপচিত্রশৈলী, সঙ্গে অ্যাক্রেটিক ও পেস্টেলের ব্যবহার- নান্দনিকতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এচিং, একুয়াটিন্ট ছবিতে অনন্য গল্পমূল্য ও দার্শনিক গভীরতা তৈরি করেছে। অ্যাক্রেলিক ও পেস্টেল তৈরি করেছে কোমলতা। ছবিগুলো মৃত্যুমতি, তবু জীবনমুখী। এমন দ্বান্দ্বিকতা হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ রেখে যায়।
'পেইন্টিংস অ্যান্ড গ্রাফিকস' শিরোনামে এ প্রদর্শনী গ্যালারি কায়ায় ১১ নভেম্বর শুরু হয়েছে। চলবে ২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com