সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক জব্দ

বিএনপির আরও ২৪০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২২ । ০৩:৩০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সমকাল ডেস্ক

প্রতীকী ছবি

পুলিশের ওপর হামলা, ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচিতে ককটেল নিক্ষেপ, সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে বিস্ম্ফোরক আইনে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির ২৪০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিএনপি নেতারা এগুলোকে ২০১৮ সালের মতো 'কাল্পনিক ঘটনা' আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সারাদেশে বিএনপির গণসমাবেশে জমায়েত ঠেকাতে পরিবহন ধর্মঘটের মতো ক্ষমতাসীনরা পুলিশের সহায়তায় মামলা দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে। বেশিরভাগ মামলার এজাহারের বর্ণনার সঙ্গে ঘটনার কোনো মিল নেই। এসব 'গায়েবি মামলা' প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় শনিবার রাতে ছাত্রদল মশাল মিছিল বের করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। পরে এ ঘটনায় বিএনপির ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার দুপুরে মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক মামুন মিয়া। পরে পুলিশ ছাত্রদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া বলেন, আন্দোলন ঠেকাতে এ গায়েবি মামলা করা হয়েছে। তবে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৬২টি মশাল ও ৬টি ককটেল জব্দের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় শনিবার রাতে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে গতকাল বিকেলে থানার এসআই সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সিআইখোলা এলাকায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী শনিবার রাতে যাননি। ফলে ককটেল নিক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার সিংগাইরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও ককটেল বিস্ম্ফোরণের অভিযোগ এনে বিএনপির ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চালক রুবেল মিয়া। পরে সিংগাইর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন থানায় গত এক সপ্তাহে ছয়টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। আতঙ্কে নেতাকর্মীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

জেলা বিএনপি সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই পুলিশ ও ক্ষমতাসীনরা গায়েবি মামলা দিচ্ছে। কোথাও বিস্ম্ফোরণের ঘটনা না ঘটলেও এজাহারে ককটেল জব্দের দাবি করা হচ্ছে।

সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমকে চার বছর আগের নাশকতার মামলায় গতকাল রোববার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত। তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com