বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি

তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করবে দুদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২২ । ০০:১১ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২২ । ০০:১১

সমকাল প্রতিবেদক

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৫৬টি মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য সংশ্নিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, '৫৬টি মামলার সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। আদালতের নির্দেশনা তদন্ত কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে অর্থ পাচার জড়িত। অভিযোগ প্রমাণে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে।'

দুদক সূত্র জানায়, ৫৬টি মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছর ২১-২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান ও আগারগাঁও থানায় এসব মামলায় ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামসহ ১২০ জনকে আসামি করা হয়। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ব্যাংকের নথিপত্রে সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্নিষ্টতা থাকলেও পরে তাঁকে বাদ দিয়ে মামলাগুলো করা হয়।


অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি কাজী ফখরুলসহ ২৬ কর্মকর্তা, ঋণগ্রহীতা ৫৪ কোম্পানির ৯২ মালিক ও সার্ভে কোম্পানির ১০ জন। তাঁদের অনেকেই একাধিক মামলার আসামি। কাজী ফখরুল ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭, মো. সেলিম ৮, পলাতক ডিএমডি কনক কুমার পুরকায়স্ত ২৩ ও এ মুনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি।


ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নীল সাগর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও পারুমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ৬, এমারেল্ড অয়েল, মেসার্স ড্রেসেস লিমিডেট, অটো ব্রিকস, কোল্ড স্টোরেজ ও ভয়েস এন্টারপ্রাইজের সৈয়দ হাসিবুল গণির বিরুদ্ধে ৫, ভাসাবী, তাহমিনা ডেনিম ও তাহমিনা নিটওয়্যারের ইয়াসির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ৩, মো. কামাল, জামান মোল্লা ও কাজী রিজওয়ান মোমিনুল হকের বিরুদ্ধে ২, প্রোপেল ইন্টারন্যাশনাল ও টেলিওয়েজ ইন্টারন্যাশনালের শওকত আজিম, রিজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।


এ ছাড়া ২টি করে মামলা রয়েছে সৈয়দ রিয়েল এস্টেট, সৈয়দ কন্সট্রাকশনের সৈয়দ হামিদুজ্জামান ও রোজিনা জামান, ডায়নামিক ট্রেডিংয়ের আবুল কালাম মো. রায়হান, বর্ষণ এগ্রো ও বীথি এন্টারপ্রাইজের কামরান শহীদ, সীন টেপ, হাসিব এন্টারপ্রাইজের মো. হাসিবুজ্জামান ও বি আলম শিপিংয়ের বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে।


সূত্র জানায়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চেয়ারম্যান থাকাকালে ঋণের নামে ব্যাংকটির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে আসে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৬টি মামলা করা হয়। বাকি ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৬৫৯ টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধান প্রক্রিয়াধীন।

© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩

সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ

টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com