
শেয়ার বাজার
সূচক আটকে গেছে ৬২০০ পয়েন্টে
ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে ৩১৫ শেয়ার ও ফান্ড
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ০০:০০ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ১১:৩০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সমকাল প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর ফ্লোর প্রাইসে আটকে যাওয়ায় বাজার মূল্যসূচক এবং লেনদেনও একটি জায়গায় আটকে গেছে। ডিএসইএক্স সূচক আটকে গেছে ৬২০০ পয়েন্টে। আর লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। দৈনিক গড়ে কেনাবেচা হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকার শেয়ার।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯০ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৯০টির কেনাবেচা হয়েছে। অর্থাৎ ১০০ শেয়ার ও ফান্ডের কোনোই লেনদেন হয়নি। অবশ্য এর মধ্যে তিন কোম্পানির শেয়ার এজিএম সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে স্থগিত ছিল। বাকি ৯৭ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে পড়েছিল এবং ক্রেতার সংকটের কারণেই লেনদেন হয়নি।
লেনদেন হওয়া ২৯০ শেয়ারের মধ্যে মাত্র ১৭টির বাজারদর বেড়েছে, কমেছে ৫৫টির। বাকি ২১৮ শেয়ার ও ফান্ডের দর অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল। এসব শেয়ারের প্রায় সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে কেনাবেচা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা শেয়ারগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ শেয়ারদর হারানোয় ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২২৮ পয়েন্টের নিচে নেমেছে।
গতকাল ডিএসইতে ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ জুলাইয়ের পর এ নিয়ে তৃতীয় দিন লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে হলো। বাজার সংশ্নিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে ব্রোকারেজ হাউসগুলো অনেকটা খালি হয়ে পড়েছে। বাজার একটি জায়গায় আটকে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগ বিষয়ে খোঁজ নেওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত বা অন্য কোনো পেশায় নেই, এমন অল্প কিছু লোক ব্রোকারেজ হাউসে বা মার্চেন্ট ব্যাংকে এসে সময় কাটান। তাঁদের বেশিরভাগই শেয়ার কেনাবেচা করতে পারছেন না।
সূচকের ওঠানামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এ সপ্তাহে সূচকের যাত্রা শুরু হয় ৬২৪৫ পয়েন্ট থেকে। গত রোববার ও সোমবার মিলে প্রায় ৩৩ পয়েন্ট হারিয়েছিল সূচক। মঙ্গল ও বুধবার দু'দিনে সূচক ২১ পয়েন্ট বাড়ে। গতকাল প্রায় ৬ পয়েন্ট হারিয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইএক্স সূচক সাড়ে ১৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২২৮ পয়েন্টের নিচে নেমেছে। এ সময়ে লেনদেনের মাঝে সূচকটি সর্বনিম্ন ৬২০৪ পয়েন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৬২৫১ পয়েন্ট পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। অন্যদিকে লেনদেন ওঠানামা করেছে দিনে ২৭১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার মধ্যে।
সপ্তাহ শেষে পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসা শেয়ার সংখ্যা ৩১৫টিতে উন্নীত হয়েছে। শেয়ারের দরপতন রোধে শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমাভিত্তিক এ নিয়ম গত ৩১ জুলাই কার্যকর হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এদিকে ডিএসইর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক হিসাবে এ সপ্তাহে মাত্র ২০ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৭৫টির। এ ছাড়া ২৭৭টি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত থেকেছে। সর্বাধিক সাড়ে ৩৩ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত শেয়ার ওরিয়ন ইনফিউশনস। সাড়ে ১৪ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি। অন্যদিকে দর সংশোধনের পর সোনালি আঁশের শেয়ারদর ৪৪ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে ছিল।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com