
সেই ‘হাস্যকর’ পেনাল্টির শোধ নিতে চান লভরেনরা
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ১৬:৫৪ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২২ । ১৭:১৩
স্পোর্টস ডেস্ক

২০১৪ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেইমারের পেনাল্টি। ছবি: ফাইল
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। লুকা মডরিচ, ইভান রাকিটিচ, ডিজান লভরেনরা তখন ফর্মের তুঙ্গে। ‘সোনালি প্রজন্ম’ খেতাব নিয়ে ব্রাজিলে পা রাখলেও আসর শেষ হয়েছিল হতাশায়। ক্রোয়াটদের মতে, ওই স্বপ্নভঙ্গের কারণ ছিল ‘হাস্যকর’ এক পেনাল্টি।
ম্যাচের শুরুতেই লিড নিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের লেফট ব্যাক মার্শেলো আত্মঘাতী গোল করে এগিয়ে দিয়েছিল ক্রোয়াটদের। নেইমার তার ‘কানা বাঁ-পায়ের’ শটে দূর থেকে গোল করে দলকে সমতা এনে দিয়েছিলেন। এরপর ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন সেই সময় সদ্য ইউরোপে পা রাখা তরুণ নেইমার।
শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটা হেরেছিল ৩-১ গোলে। ক্যামেরুনের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতে দুর্দান্ত কামব্যাক দেখিয়েছিলেন মডরিচরা। পরের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় তারা। লভরেনদের মতে, ব্রাজিলের বিপক্ষে বিতর্কিত ওই পেনাল্টিই তাদের আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ।
কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ওই হারের শোধ নেওয়ার দামামা বাজাচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লভরেন, ‘অবশ্যই আমি এখনও রাগান্বিত। চিকৎকার করে বলা ছাড়া এখন কি-ই বা করার আছে। তারা এখনও টিভিতে বিষয়টি দেখতে পারে। ওমন পেনাল্টি দেওয়া একজন কী করে বিশ্বকাপে রেফারির দায়িত্ব পান! এবারও যদি ওমন কিছু হয়, তাহলে ব্রাজিলকে আমরা বিশ্বকাপ দিয়ে দেব।’
ওই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কোচ ছিলেন নিকো কোভাক। তিনি জানান, এখনকার মতো ভিএআর থাকলে ব্রাজিল ওই পেনাল্টি পেত না, ‘স্টেডিয়াম থেকে কারো যদি মনে হয়ে থাকে ওটা পেনাল্টি ছিল তাহলে তিনি হাত তুলুক। আমার মনে হয় না, ওটা পেনাল্টি ছিল। ওভাবে পেনাল্টি দিতে থাকলে তো ম্যাচে ১০০ পেনাল্টি হবে।’ যদিও তৎকালীন ব্রাজিল কোচ লুইস লিফিপে স্কলারির মতে, মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু রেফারির থাকে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com